ডাকাত আতঙ্কে চলছে রাত জেগে পাহারা
ডাকাত আতঙ্কে ফরিদপুর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে লোকজন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। ছবিটি গত সোমবার শহরের বদরপুর এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো |
ডাকাত
আতঙ্কে ফরিদপুর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন
স্থানীয় ব্যক্তিরা। লাঠি, রামদা, বল্লম, টর্চলাইট নিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে
পাহারা দেওয়া হচ্ছে। রাত নয়টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত চলছে এই পাহারা।
গত সোমবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মিয়াপাড়া সড়কে ৩০ জন তিনটি দলে ভাগ হয়ে পাহারা দিচ্ছেন। একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইকবাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছি। টাকা-পয়সা বড় কথা নয়, নারীদের ওপর নির্যাতনের আতঙ্কই বেশি। তাই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।’
তবে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু তাতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। আমার ধারণা, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই গুজব ছড়াচ্ছে।’
জনপ্রতিনিধি ও হাড়োকান্দি, বদরপুরের স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ দিন ধরে ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং সর্বশেষ শহরের বিভিন্ন পাড়ায় ও মহল্লায় ডাকাতির ঘটনায় এই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণপিটুনি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। প্রথমে কৈজুরি ইউনিয়নের হাড়োকান্দি এলাকায় সমশের আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। এরপর ২১ জুন বদরপুরের হিন্দুপাড়ার রহমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২৪ জুন রাতে বদরপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয় তিনজন। পরদিন শহরের ব্রাহ্মণকান্দা এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি গণপিটুনিতে নিহত হন। গত শুক্রবার শহরের মোল্লাবাড়ী সড়কের একটি বাড়িতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার রাতে সদরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত রোববার সকালে সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের মল্লিকডাঙ্গি এলাকায় এক মাইক্রোবাসচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে সদরের শোভারামপুর এলাকায় ডাকাত সন্দেহে দুই ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হয়। ওই দিন বিকেলে শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার এলাকায় আরও দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শহরতলির আলীয়াবাদ, ধলার মোড়সহ বিভিন্ন মসজিদ থেকে রাতে মাইকিং করে ডাকাতদের মোকাবিলায় সতর্ক থাকার জন্য এলাকাবাসীকে আহ্বান করা হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন মহল্লা ও সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে শুরু হয় নৈশকালীন টহল।
শহরের ওয়ারলেসপাড়ায় নৈশকালীন প্রহরার একটি দলের নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান ওরফে সাবুল। তিনি বলেন, হঠাৎ করে একটি আতঙ্কজন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সদর উপজেলার রণকাইল, রামখণ্ড, মাচ্চরসহ কয়েকটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর ও গ্রাম সর্বত্রই বিরাজ করছে ডাকাতের আতঙ্ক। সদর উপজেলার কানাইপুরের জাহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর গ্রামের মানুষ ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। রাত জেগে তরুণেরা পাহারা দিচ্ছেন।
সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমি প্রতি রাতেই ডাকাত পড়েছে বলে ৮-১০টি ফোন পাই। পরে খবর নিয়ে দেখি কিছুই হয়নি। গুজব থেকেও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।’
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী বলেন, গোয়ালচামট ১ নম্বর সড়কের মাথায় একটি ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনার জন্য এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মিয়াপাড়া সড়কে ৩০ জন তিনটি দলে ভাগ হয়ে পাহারা দিচ্ছেন। একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইকবাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছি। টাকা-পয়সা বড় কথা নয়, নারীদের ওপর নির্যাতনের আতঙ্কই বেশি। তাই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।’
তবে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু তাতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। আমার ধারণা, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই গুজব ছড়াচ্ছে।’
জনপ্রতিনিধি ও হাড়োকান্দি, বদরপুরের স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ দিন ধরে ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং সর্বশেষ শহরের বিভিন্ন পাড়ায় ও মহল্লায় ডাকাতির ঘটনায় এই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণপিটুনি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। প্রথমে কৈজুরি ইউনিয়নের হাড়োকান্দি এলাকায় সমশের আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। এরপর ২১ জুন বদরপুরের হিন্দুপাড়ার রহমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২৪ জুন রাতে বদরপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয় তিনজন। পরদিন শহরের ব্রাহ্মণকান্দা এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি গণপিটুনিতে নিহত হন। গত শুক্রবার শহরের মোল্লাবাড়ী সড়কের একটি বাড়িতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার রাতে সদরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত রোববার সকালে সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের মল্লিকডাঙ্গি এলাকায় এক মাইক্রোবাসচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে সদরের শোভারামপুর এলাকায় ডাকাত সন্দেহে দুই ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হয়। ওই দিন বিকেলে শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার এলাকায় আরও দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শহরতলির আলীয়াবাদ, ধলার মোড়সহ বিভিন্ন মসজিদ থেকে রাতে মাইকিং করে ডাকাতদের মোকাবিলায় সতর্ক থাকার জন্য এলাকাবাসীকে আহ্বান করা হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন মহল্লা ও সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে শুরু হয় নৈশকালীন টহল।
শহরের ওয়ারলেসপাড়ায় নৈশকালীন প্রহরার একটি দলের নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান ওরফে সাবুল। তিনি বলেন, হঠাৎ করে একটি আতঙ্কজন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সদর উপজেলার রণকাইল, রামখণ্ড, মাচ্চরসহ কয়েকটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর ও গ্রাম সর্বত্রই বিরাজ করছে ডাকাতের আতঙ্ক। সদর উপজেলার কানাইপুরের জাহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর গ্রামের মানুষ ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। রাত জেগে তরুণেরা পাহারা দিচ্ছেন।
সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমি প্রতি রাতেই ডাকাত পড়েছে বলে ৮-১০টি ফোন পাই। পরে খবর নিয়ে দেখি কিছুই হয়নি। গুজব থেকেও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।’
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী বলেন, গোয়ালচামট ১ নম্বর সড়কের মাথায় একটি ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনার জন্য এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
No comments