পাঁচ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন ২১ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র মাত্র ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এর অর্থমূল্য ১৫,৮৯৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন ৮০,৩১৫ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ব্যয়ের ৫,৬৮৫ কোটি টাকার প্রকল্পও এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৬,০০০ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হচ্ছে। গতকাল পরিকল্পনা কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতির এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ তথ্য হালনাগাদ করে থাকে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ২০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ১৩,১৫৬ কোটি টাকা। গতবার পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন এডিপির আকার ছিল ৬৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা।
বাস্তবায়ন: প্রথম পাঁচ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন টাকা খরচ করতে পারেনি। তাদের তিনটি প্রকল্পে ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অন্যদিকে বরাদ্দের ১০ শতাংশের কম খরচ করেছে আরও ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ। এদিকে বরাদ্দ পাওয়া শীর্ষ ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে চলতি এডিপির ৬৫,১৬১ কোটি টাকা রয়েছে। জুলাই-নভেম্বর মাসে এসব মন্ত্রণালয় ১৩,৯৭০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যা প্রায় বরাদ্দের প্রায় ২১ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প পরিচালক বদলে গেলে কাজের অনেক সমস্যা হয়। এখন থেকে পরিচালক বদলের আগে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ সারা বছরই হয়, কিন্তু প্রথম দিকে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করে না বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ফলে এডিপির বাস্তবায়ন হার কম দেখা যায়, কিন্তু মাঠের চিত্র ভিন্ন। শেষ তিন মাসে ঠিকাদারদের বিল দেয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদম দিনক্ষণ দিয়ে বলা যাবে না এ প্রকল্প কবে শেষ হবে। তবে আমি আশাবাদী, আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১ ধরনের সমস্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ১১টি সমস্যা চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সমস্যাগুলো হলো- ভূমি অধিগ্রহণ, ওয়ার্ক প্ল্যান প্রণয়ন, নির্মাণক্ষেত্রে রেট সিডিউলের বার বার পরিবর্তন, স্থাপনা সম্পর্কিত, পরামর্শক/ফার্ম নিয়োগ, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, জনবল নিয়োগ, প্রকল্পের ডিপিপির/ টিপিপি সঠিক প্রণয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং, চাহিদার তুলনায় এডিপিতে কাঙিক্ষত অপর্যাপ্ত বরাদ্দ, বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে অথপ্রাপ্তি সমস্যা। সমস্যাগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক বদলির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে বদলি করতে পারবেন। কিন্তু যে কোন সময় পিডি বদল করতে হলে কমিটির সুপারিশ নিতে হবে।
৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন শূন্য: অর্থ বছরের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) এক টাকাও ব্যয় করতে পারেননি সাত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হচ্ছে সেতু বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন।
বাস্তবায়ন: প্রথম পাঁচ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন টাকা খরচ করতে পারেনি। তাদের তিনটি প্রকল্পে ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অন্যদিকে বরাদ্দের ১০ শতাংশের কম খরচ করেছে আরও ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ। এদিকে বরাদ্দ পাওয়া শীর্ষ ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে চলতি এডিপির ৬৫,১৬১ কোটি টাকা রয়েছে। জুলাই-নভেম্বর মাসে এসব মন্ত্রণালয় ১৩,৯৭০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যা প্রায় বরাদ্দের প্রায় ২১ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প পরিচালক বদলে গেলে কাজের অনেক সমস্যা হয়। এখন থেকে পরিচালক বদলের আগে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ সারা বছরই হয়, কিন্তু প্রথম দিকে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করে না বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ফলে এডিপির বাস্তবায়ন হার কম দেখা যায়, কিন্তু মাঠের চিত্র ভিন্ন। শেষ তিন মাসে ঠিকাদারদের বিল দেয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদম দিনক্ষণ দিয়ে বলা যাবে না এ প্রকল্প কবে শেষ হবে। তবে আমি আশাবাদী, আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১ ধরনের সমস্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ১১টি সমস্যা চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সমস্যাগুলো হলো- ভূমি অধিগ্রহণ, ওয়ার্ক প্ল্যান প্রণয়ন, নির্মাণক্ষেত্রে রেট সিডিউলের বার বার পরিবর্তন, স্থাপনা সম্পর্কিত, পরামর্শক/ফার্ম নিয়োগ, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, জনবল নিয়োগ, প্রকল্পের ডিপিপির/ টিপিপি সঠিক প্রণয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং, চাহিদার তুলনায় এডিপিতে কাঙিক্ষত অপর্যাপ্ত বরাদ্দ, বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে অথপ্রাপ্তি সমস্যা। সমস্যাগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক বদলির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে বদলি করতে পারবেন। কিন্তু যে কোন সময় পিডি বদল করতে হলে কমিটির সুপারিশ নিতে হবে।
৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন শূন্য: অর্থ বছরের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) এক টাকাও ব্যয় করতে পারেননি সাত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হচ্ছে সেতু বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন।
No comments