তেলের দাম আরও কমল
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আরও এক দফা কমেছে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (আইইএ) আগামী ২০১৫ সালে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমবে—এমন পূর্বাভাস দেওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম পড়ে যায়। আইইএ হলো তেল নিয়ে গবেষণা পরিচালনা, চাহিদা-সরবরাহ সম্পর্কে পূর্বাভাস প্রদান ও জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ে পরিসংখ্যান প্রকাশকারী একটি পরামর্শক সংস্থা। ২৯টি দেশ মিলে এটি গঠন করেছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক কেনাবেচায় শুক্রবার প্রতি ব্যারেল (১১৯ দশমিক ২৪ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমে ৬১ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলারে নেমে গেছে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ের পরে এটিই হলো বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সর্বনিম্ন দর। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কেনাবেচায় প্রতি ব্যারেল ইউএস ক্রুড অয়েলের দাম কমে ৫৭ দশমিক ৮১ ডলারে নেমে পড়েছে। এটিও ২০০৯ সালের মে মাসের পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কেনাবেচায় সর্বনিম্ন দর। এ নিয়ে গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৪৬ শতাংশ কমেছে।
আইইএ ২০১৫ সালের জন্য ইতিপূর্বে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের যে চাহিদা প্রাক্কলন করেছিল সেটি কাটছাঁট করেছে। সংস্থাটির নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী আলোচ্য বছরে বিশ্বে তেলের দৈনিক চাহিদা বৃদ্ধি পাবে নয় লাখ ব্যারেল; যা এর আগের পূর্বাভাসের চেয়ে দুই লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল কম। বিশেষ করে রাশিয়াসহ অন্যতম কয়েকটি রপ্তানিকারক দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে তেলের ব্যবহার কমবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে গত জুন মাসের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমছে। তখন ব্যারেলপ্রতি দাম ছিল ১০৭ দশমিক ২৬ ডলার। বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণেই মূলত পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। সাধারণত বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে গেলে রপ্তানিকারক দেশগুলো উত্তোলন-সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে সেটি ঠেকিয়ে থাকে। কিন্তু এবার রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে পণ্যটির দামকে আরও নিম্নগামী করে তুলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব ও অন্যতম আরেক উৎপাদনকারী দেশ ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করায় দাম আরও কমে যায়।
এদিকে ওপেক বলেছে, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী বছরে তেলের এ দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইইএ অবশ্য বলেছে, চাহিদা ও সরবরাহে মধ্যে সমন্বয়ের সুবাদে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা শুরু হতে আরও সময় লাগবে। নরওয়ের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ডিএনবি মার্কেটস বলছে, জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ আগামী ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে।
মার্কিন ব্যাংক মরগ্যান স্ট্যানলি তাদের পূর্বাভাসে বলছে, ২০১৫ সালে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য গড়ে ৫৩ ডলারে নেমে আসবে। এর আগে ব্যাংকটি অবশ্য বলেছিল, এ গড় মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলার হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি, এপি, ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক কেনাবেচায় শুক্রবার প্রতি ব্যারেল (১১৯ দশমিক ২৪ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমে ৬১ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলারে নেমে গেছে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ের পরে এটিই হলো বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সর্বনিম্ন দর। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কেনাবেচায় প্রতি ব্যারেল ইউএস ক্রুড অয়েলের দাম কমে ৫৭ দশমিক ৮১ ডলারে নেমে পড়েছে। এটিও ২০০৯ সালের মে মাসের পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কেনাবেচায় সর্বনিম্ন দর। এ নিয়ে গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৪৬ শতাংশ কমেছে।
আইইএ ২০১৫ সালের জন্য ইতিপূর্বে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের যে চাহিদা প্রাক্কলন করেছিল সেটি কাটছাঁট করেছে। সংস্থাটির নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী আলোচ্য বছরে বিশ্বে তেলের দৈনিক চাহিদা বৃদ্ধি পাবে নয় লাখ ব্যারেল; যা এর আগের পূর্বাভাসের চেয়ে দুই লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল কম। বিশেষ করে রাশিয়াসহ অন্যতম কয়েকটি রপ্তানিকারক দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে তেলের ব্যবহার কমবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে গত জুন মাসের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমছে। তখন ব্যারেলপ্রতি দাম ছিল ১০৭ দশমিক ২৬ ডলার। বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণেই মূলত পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। সাধারণত বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে গেলে রপ্তানিকারক দেশগুলো উত্তোলন-সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে সেটি ঠেকিয়ে থাকে। কিন্তু এবার রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে পণ্যটির দামকে আরও নিম্নগামী করে তুলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব ও অন্যতম আরেক উৎপাদনকারী দেশ ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করায় দাম আরও কমে যায়।
এদিকে ওপেক বলেছে, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী বছরে তেলের এ দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইইএ অবশ্য বলেছে, চাহিদা ও সরবরাহে মধ্যে সমন্বয়ের সুবাদে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা শুরু হতে আরও সময় লাগবে। নরওয়ের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ডিএনবি মার্কেটস বলছে, জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ আগামী ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে।
মার্কিন ব্যাংক মরগ্যান স্ট্যানলি তাদের পূর্বাভাসে বলছে, ২০১৫ সালে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য গড়ে ৫৩ ডলারে নেমে আসবে। এর আগে ব্যাংকটি অবশ্য বলেছিল, এ গড় মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলার হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি, এপি, ব্লুমবার্গ।
No comments