‘পছন্দের লোক’ নিতে পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন!
বাংলাদেশ
পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইনটি মোটেই পুরোনো বা সময়ের বিবেচনায় পিছিয়ে
পড়া কোনো আইন ছিল না। ‘বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট’ নামে
এ আইনটি করা হয় ২০১২ সালে। এই আইন অনুসারে ২০১৩ সালে গঠন করা হয় পরমাণু
শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি
(বিএইআরএ)।
এরপর বছর না ঘুরতেই গত মাসে সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে আইনটি সংশোধন করে সরকার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। গত ২৬ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও দুজন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও দুই সদস্য শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে। এই আইন অনুসারে সরকার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নঈম চৌধুরীকে। তাঁর জৈবপ্রযুক্তি (বায়োটেকনোলজি) বিষয়ে পড়াশোনা রয়েছে। দুই সদস্যের একজন পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানা আফরোজ, যিনি পরমাণু চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। অপর সদস্য হচ্ছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী। তিনি একজন প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ।
সরকার এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই বলে এসেছে যে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ‘গাইডলাইন’ অনুসরণ করে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইএইএর ‘টেকনিক্যাল রিপোর্টস সিরিজ নম্বর ২০০’-তে ‘ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট ফর নিউক্লিয়ার পাওয়ার’ শীর্ষক নির্দেশিকায় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে নিযুক্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
সেখানে বলা হয়েছে, পরমাণু প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এমন ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান (চেয়ারম্যান) হবেন যার পাঁচ বছর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার। এ ছাড়া পারমাণবিক নিরাপত্তা, এ-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত বিধিবিধান সম্পর্কে এক-দুই বছরের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার।
কর্তৃপক্ষের সদস্যদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল কিংবা নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। নিয়ন্ত্রণ কমিশনে নিযুক্ত কারও তা নেই। এ ছাড়া আইএইএর গাইডলাইন অনুযায়ী, একটি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে প্রায় ৫৫ জন বিশেষায়িত জনবল দরকার, যার ৮০ শতাংশই হওয়া উচিত বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের প্রকৌশলী।
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা সম্পর্কে দেশের ২০১২ সালের আইনে প্রকৌশলবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নসহ প্রায়োগিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষায়িত জনবলের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত আইনে তার পরিবর্তে যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন ও পরমাণু শক্তি ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ (অ্যাডিকোয়েট কোয়ালিফিকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স ইন অ্যাটমিক এনার্জি ম্যানেজমেন্ট) যেকোনো ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে নিয়োগের বিধান করা হয়।
আইএইএর গাইডলাইন ও আইন সংশোধন করে বিএইআরইতে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ই-মেইলে আইএইএর ‘প্রেস অফিস’ থেকে প্রথম আলোকে বলা হয়, আইনগত অবস্থানের কারণে এ ধরনের প্রশ্নের জবাব তাঁরা দিতে পারেন না। তাঁদের ভূমিকা হচ্ছে উপদেশদাতার। কোনো দেশ তা মানতে পারে, না-ও মানতে পারে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সমগ্র বিষয়ই নিজ নিজ দেশের জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ন্ত্রণ কমিশনে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দুজন দীর্ঘ পেশাগত জীবনে পরমাণু শক্তি নিয়েই কাজ করেছেন। আরেকজন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ। তাঁরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়াদি বুঝবেন না, এ ধারণা অমূলক। তা ছাড়া এ প্রকল্পের সব বিষয়ে আইএইএর উপদেশ, পরামর্শ পাওয়া যাবে।
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাজ হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আইনি ও কারিগরি বিধিমালা তৈরি; প্রকল্পের নিরাপত্তা বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন; স্থাপনকারী কোম্পানির সব প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইসেন্স দেওয়া; সর্বোপরি প্রকল্পের ডিজাইন, যন্ত্রপাতি তৈরি, সেগুলো স্থাপন করা ও পরিচালনা সুনির্দিষ্ট আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজাইন অনুমোদনও কর্তৃপক্ষের কাজ।
আইন সংশোধন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আগে নির্দিষ্ট কয়েকটি ডিসিপ্লিনের লোক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা ছিল। যোগ্যতর লোক পাওয়ার জন্য সেই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে লোক বাছাই করার ক্ষেত্রটি আরও বিস্তৃত হয়েছে।
অবশ্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এ মতিন বলেন, সংশোধিত আইনে উল্লিখিত ‘যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন’-এর কোনো সংজ্ঞা নেই। আর ‘পরমাণু শক্তি ব্যবস্থাপনা’-এর সঙ্গে পারমাণবিক নিরাপত্তার সম্পর্ক খুবই কম। এই সংশোধনীর ফলে সরকার এখন যে কাউকে নিয়ন্ত্রণ কমিশনে নিয়োগ দিতে পারে।
সরকারের অন্যান্য সূত্রও বলছে, পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাজ একেবারেই বিশেষায়িত। এ ধরনের কাজে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটি তাত্ত্বিক গবেষণাভিত্তিক সংস্থা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে তাদের কাজের মূলগত ব্যবধান রয়েছে।
এরপর বছর না ঘুরতেই গত মাসে সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে আইনটি সংশোধন করে সরকার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। গত ২৬ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও দুজন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও দুই সদস্য শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে। এই আইন অনুসারে সরকার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নঈম চৌধুরীকে। তাঁর জৈবপ্রযুক্তি (বায়োটেকনোলজি) বিষয়ে পড়াশোনা রয়েছে। দুই সদস্যের একজন পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানা আফরোজ, যিনি পরমাণু চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। অপর সদস্য হচ্ছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী। তিনি একজন প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ।
সরকার এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই বলে এসেছে যে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ‘গাইডলাইন’ অনুসরণ করে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইএইএর ‘টেকনিক্যাল রিপোর্টস সিরিজ নম্বর ২০০’-তে ‘ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট ফর নিউক্লিয়ার পাওয়ার’ শীর্ষক নির্দেশিকায় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে নিযুক্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
সেখানে বলা হয়েছে, পরমাণু প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এমন ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান (চেয়ারম্যান) হবেন যার পাঁচ বছর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার। এ ছাড়া পারমাণবিক নিরাপত্তা, এ-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত বিধিবিধান সম্পর্কে এক-দুই বছরের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার।
কর্তৃপক্ষের সদস্যদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল কিংবা নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। নিয়ন্ত্রণ কমিশনে নিযুক্ত কারও তা নেই। এ ছাড়া আইএইএর গাইডলাইন অনুযায়ী, একটি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে প্রায় ৫৫ জন বিশেষায়িত জনবল দরকার, যার ৮০ শতাংশই হওয়া উচিত বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের প্রকৌশলী।
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা সম্পর্কে দেশের ২০১২ সালের আইনে প্রকৌশলবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নসহ প্রায়োগিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষায়িত জনবলের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত আইনে তার পরিবর্তে যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন ও পরমাণু শক্তি ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ (অ্যাডিকোয়েট কোয়ালিফিকেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স ইন অ্যাটমিক এনার্জি ম্যানেজমেন্ট) যেকোনো ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে নিয়োগের বিধান করা হয়।
আইএইএর গাইডলাইন ও আইন সংশোধন করে বিএইআরইতে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ই-মেইলে আইএইএর ‘প্রেস অফিস’ থেকে প্রথম আলোকে বলা হয়, আইনগত অবস্থানের কারণে এ ধরনের প্রশ্নের জবাব তাঁরা দিতে পারেন না। তাঁদের ভূমিকা হচ্ছে উপদেশদাতার। কোনো দেশ তা মানতে পারে, না-ও মানতে পারে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সমগ্র বিষয়ই নিজ নিজ দেশের জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ন্ত্রণ কমিশনে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দুজন দীর্ঘ পেশাগত জীবনে পরমাণু শক্তি নিয়েই কাজ করেছেন। আরেকজন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ। তাঁরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়াদি বুঝবেন না, এ ধারণা অমূলক। তা ছাড়া এ প্রকল্পের সব বিষয়ে আইএইএর উপদেশ, পরামর্শ পাওয়া যাবে।
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাজ হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আইনি ও কারিগরি বিধিমালা তৈরি; প্রকল্পের নিরাপত্তা বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন; স্থাপনকারী কোম্পানির সব প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইসেন্স দেওয়া; সর্বোপরি প্রকল্পের ডিজাইন, যন্ত্রপাতি তৈরি, সেগুলো স্থাপন করা ও পরিচালনা সুনির্দিষ্ট আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজাইন অনুমোদনও কর্তৃপক্ষের কাজ।
আইন সংশোধন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আগে নির্দিষ্ট কয়েকটি ডিসিপ্লিনের লোক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা ছিল। যোগ্যতর লোক পাওয়ার জন্য সেই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে লোক বাছাই করার ক্ষেত্রটি আরও বিস্তৃত হয়েছে।
অবশ্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এ মতিন বলেন, সংশোধিত আইনে উল্লিখিত ‘যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন’-এর কোনো সংজ্ঞা নেই। আর ‘পরমাণু শক্তি ব্যবস্থাপনা’-এর সঙ্গে পারমাণবিক নিরাপত্তার সম্পর্ক খুবই কম। এই সংশোধনীর ফলে সরকার এখন যে কাউকে নিয়ন্ত্রণ কমিশনে নিয়োগ দিতে পারে।
সরকারের অন্যান্য সূত্রও বলছে, পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাজ একেবারেই বিশেষায়িত। এ ধরনের কাজে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটি তাত্ত্বিক গবেষণাভিত্তিক সংস্থা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে তাদের কাজের মূলগত ব্যবধান রয়েছে।
No comments