অবশেষে বাড়ির দলিল বুঝে পাচ্ছেন যুদ্ধাহত কজন মুক্তিযোদ্ধা
দীর্ঘ হয়রানি শেষে ছয়জন যুদ্ধাহত
মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকটি শহীদ পরিবার সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া বাড়ির দলিল আজ
বুঝে পাচ্ছেন। এদের মধ্যে একজনের দুর্ভোগের অবসান ঘটছে ৩৯ বছর পর। গৃহায়ন
ও পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লার রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কয়েকজনের দীর্ঘ হয়রানির আজ অবসান ঘটতে যাচ্ছে। রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করার পর দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার নিজে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বাড়ির দলিল হস্তান্তর করবেন।
বাড়ির দলিল পেতে যাচ্ছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক তালুকদার, হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. ফরিদ মিয়া, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল মোস্তফা চৌধুরী, মো. মান্নান আলী, শুকুর আলী ও বেগম সকিনা বেগম (শহীদ পরিবার) প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রোববার যুগান্তরকে বলেন, জিল্লার রহমান স্যার বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেয়ার পর প্রথমে এ বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, যাদের রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি তাদের কোনোভাবে হয়রানি করা যাবে না। এর ফলে প্রথম পর্যায়ে গত সপ্তাহে বড় একটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সবচেয়ে যারা বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তাদের হাতে সোমবার বাড়ির দলিল তুলে দেয়া সম্ভব হবে। জানা গেছে, ঢাকার মিরপুরে (বাড়ি নম্বর ২-জি/৫-৬) দোতলাবিশিষ্ট সরকারের পরিত্যক্ত তালিকার বাড়িটি ১৯৭৫ সালের ৪ ডিসেম্বর দুজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্তরা হলেন এসএম আবদুল আলী ও আবদুল হক তালুকদার। বাড়িটির দ্বিতীয় তলা বরাদ্দ পাওয়া এসএম আবদুল আলীকে ২০০৪ সালের ১৮ জুলাই দলিল সম্পাদন করে দেয়া হয়। কিন্তু নানা জটিলতা আর হয়রানির জাঁতাকলে পড়ে ৩৯ বছরেও বাড়ির দলিল বুঝে পাননি আবদুল হক তালুকদার। মিরপুরের (২-ই/৪-৩) বাড়িটি হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. ফরিদ মিয়াকে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। একতলাবিশিষ্ট পরিত্যক্ত বাড়িটি ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত। কিন্তু গত ১৫ বছরেও তিনি বাড়ির দলিল বুঝে পাননি। মিরপুরের সাড়ে ৭ কাঠার (৬-সি/৯-১০) বাড়িটি ২০১০ সালে বরাদ্দ দেয়া হয় ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। এর মধ্যে দুটি শহীদ পরিবার ছাড়াও ৩ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা হলেন বেগম খাদিজা চৌধুরী (শহীদ পরিবার), মো. নুরুল মোস্তফা চৌধুরী (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা), মো. মান্নান আলী (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা), শুকুর আলী (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা) ও বেগম সকিনা বেগম (শহীদ পরিবার)। ইতিমধ্যে খাদিজা চৌধুরীর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অংশ দলিল করে দেয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও দলিল পাননি।
মিরপুরে পৌনে ২ কাঠার (১০-সি/১৪-৪) একতলা বাড়িটি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রেনুকা বেগমের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় ২০০৬ সালে। তিনিও গত ৮ বছরে দলিল পাননি। মোহাম্মদপুরের (১৬/৩০ ব্লক-ডি) বাড়িটি শহীদ পরিবারের সদস্য রেজিয়া বেগমের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় ২০০৭ সালে। ২০১১ সালে তিনি মারা গেলে তার ওয়ারিশরা এই বাড়ির মালিক হিসেবে গণ্য হন। ওদিকে মিরপুরের (১৩-বি/৭-৬) পরিত্যক্ত একতলা বাড়িটি পৌনে ২ কাঠা জমির ওপর নির্মিত। ১৯৮৮ সালে বাড়িটি বরাদ্দ পান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লার রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কয়েকজনের দীর্ঘ হয়রানির আজ অবসান ঘটতে যাচ্ছে। রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করার পর দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার নিজে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বাড়ির দলিল হস্তান্তর করবেন।
বাড়ির দলিল পেতে যাচ্ছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক তালুকদার, হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. ফরিদ মিয়া, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল মোস্তফা চৌধুরী, মো. মান্নান আলী, শুকুর আলী ও বেগম সকিনা বেগম (শহীদ পরিবার) প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রোববার যুগান্তরকে বলেন, জিল্লার রহমান স্যার বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেয়ার পর প্রথমে এ বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, যাদের রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি তাদের কোনোভাবে হয়রানি করা যাবে না। এর ফলে প্রথম পর্যায়ে গত সপ্তাহে বড় একটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সবচেয়ে যারা বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তাদের হাতে সোমবার বাড়ির দলিল তুলে দেয়া সম্ভব হবে। জানা গেছে, ঢাকার মিরপুরে (বাড়ি নম্বর ২-জি/৫-৬) দোতলাবিশিষ্ট সরকারের পরিত্যক্ত তালিকার বাড়িটি ১৯৭৫ সালের ৪ ডিসেম্বর দুজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্তরা হলেন এসএম আবদুল আলী ও আবদুল হক তালুকদার। বাড়িটির দ্বিতীয় তলা বরাদ্দ পাওয়া এসএম আবদুল আলীকে ২০০৪ সালের ১৮ জুলাই দলিল সম্পাদন করে দেয়া হয়। কিন্তু নানা জটিলতা আর হয়রানির জাঁতাকলে পড়ে ৩৯ বছরেও বাড়ির দলিল বুঝে পাননি আবদুল হক তালুকদার। মিরপুরের (২-ই/৪-৩) বাড়িটি হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. ফরিদ মিয়াকে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। একতলাবিশিষ্ট পরিত্যক্ত বাড়িটি ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত। কিন্তু গত ১৫ বছরেও তিনি বাড়ির দলিল বুঝে পাননি। মিরপুরের সাড়ে ৭ কাঠার (৬-সি/৯-১০) বাড়িটি ২০১০ সালে বরাদ্দ দেয়া হয় ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। এর মধ্যে দুটি শহীদ পরিবার ছাড়াও ৩ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা হলেন বেগম খাদিজা চৌধুরী (শহীদ পরিবার), মো. নুরুল মোস্তফা চৌধুরী (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা), মো. মান্নান আলী (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা), শুকুর আলী (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা) ও বেগম সকিনা বেগম (শহীদ পরিবার)। ইতিমধ্যে খাদিজা চৌধুরীর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অংশ দলিল করে দেয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও দলিল পাননি।
মিরপুরে পৌনে ২ কাঠার (১০-সি/১৪-৪) একতলা বাড়িটি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রেনুকা বেগমের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় ২০০৬ সালে। তিনিও গত ৮ বছরে দলিল পাননি। মোহাম্মদপুরের (১৬/৩০ ব্লক-ডি) বাড়িটি শহীদ পরিবারের সদস্য রেজিয়া বেগমের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় ২০০৭ সালে। ২০১১ সালে তিনি মারা গেলে তার ওয়ারিশরা এই বাড়ির মালিক হিসেবে গণ্য হন। ওদিকে মিরপুরের (১৩-বি/৭-৬) পরিত্যক্ত একতলা বাড়িটি পৌনে ২ কাঠা জমির ওপর নির্মিত। ১৯৮৮ সালে বাড়িটি বরাদ্দ পান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ।
No comments