দেশে একাত্তরের মতো গুম-খুন-গুপ্তহত্যা চলছে : ফখরুল
বিনম্র শ্রদ্ধা, আলোচনা সভাসহ নানা
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করল বিএনপি। রোববার সকালে
নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মিরপুরে শহীদ
বুদ্ধিজীবী স্মতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা শেষে সেখানে
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। আর বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে
বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সকালে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে। দেশে একাত্তর সালের মতো গুম-খুন-গুপ্তহত্যা চলছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আজ কি দেখছি? বিনা ভোটে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনগণ আন্দোলন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, একাত্তরে এদেশকে মেধাশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গুম-খুনের মাধ্যমে আজ আবার সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও ফ্যাসিজমই এর জন্য দায়ী।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন খালেদা জিয়া। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। এরপর বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নাজিমউদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নীরব, এসএ খালেক, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, দেলোয়ার হোসেন দুলু, ফরহাদ হোসেন আজাদ, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। পরে মহানগর বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এদিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা নিবেদনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোডাউন করেছে ছাত্রদল, যুবদল ও মহানগর বিএনপি। স্মৃতিসৌধের আশপাশের সড়কে টানানো হয় নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন। খালেদা জিয়া সেখানে পৌঁছলে রাস্তার দুই পাশে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন সফল হবে। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনও ব্যর্থ হবে না।
এদিকে বিকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৪৩ বছর পর আবার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়েছিল ভিন্ন মতাবলম্বীদের নিধনের জন্য। তেমনিভাবে জাতিসত্তা, মেধা ও মনন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমানে গুম-খুনের মাধ্যমে জাতিসত্তা নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জাতিসত্তা রক্ষায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য দেশের সব বুদ্ধিজীবীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের শপথ নিতে হবে। কারণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে দেশ আবারো বাকশালে ফিরে যাবে।
ফখরুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ, জাবির সাবেক ভিসি প্রফেসর মুস্তাহিদুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
সকালে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে। দেশে একাত্তর সালের মতো গুম-খুন-গুপ্তহত্যা চলছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আজ কি দেখছি? বিনা ভোটে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনগণ আন্দোলন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, একাত্তরে এদেশকে মেধাশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গুম-খুনের মাধ্যমে আজ আবার সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও ফ্যাসিজমই এর জন্য দায়ী।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন খালেদা জিয়া। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। এরপর বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নাজিমউদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নীরব, এসএ খালেক, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, দেলোয়ার হোসেন দুলু, ফরহাদ হোসেন আজাদ, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। পরে মহানগর বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এদিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা নিবেদনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোডাউন করেছে ছাত্রদল, যুবদল ও মহানগর বিএনপি। স্মৃতিসৌধের আশপাশের সড়কে টানানো হয় নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন। খালেদা জিয়া সেখানে পৌঁছলে রাস্তার দুই পাশে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন সফল হবে। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনও ব্যর্থ হবে না।
এদিকে বিকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৪৩ বছর পর আবার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়েছিল ভিন্ন মতাবলম্বীদের নিধনের জন্য। তেমনিভাবে জাতিসত্তা, মেধা ও মনন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমানে গুম-খুনের মাধ্যমে জাতিসত্তা নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জাতিসত্তা রক্ষায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য দেশের সব বুদ্ধিজীবীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের শপথ নিতে হবে। কারণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে দেশ আবারো বাকশালে ফিরে যাবে।
ফখরুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ, জাবির সাবেক ভিসি প্রফেসর মুস্তাহিদুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
No comments