শ্রমিকদের সন্তুষ্ট করতে হবে
ঢাকায় ৭-৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাপারেল সামিট। ২০২১ সালে পোশাকের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ।রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্য অর্জনে কী করণীয়, সে বিষয়ে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন
তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় বর্তমানে ২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন করতে হলে এই আয় দ্বিগুণ করতে হবে। সে জন্য প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। এটি অর্জনযোগ্য লক্ষ্য বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ। তিনি বলেন, অতীতে যত সহজে ১৪-১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এখন ১০ শতাংশ আদায় করা ততটা কঠিন হবে। কারণ, আগে খোলা মাঠে সস্তা শ্রম দিয়ে আমরা এখানে প্রবেশ করেছি। এ ক্ষেত্রে শুরুর যে সুবিধা আমরা পেয়েছিলাম সেটা আর পাওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিযোগী অনেক।
এম এম আকাশ বলেন, এখন চীনসহ অন্য দেশ এই বাজারের যতটুকু ছাড়বে ততটুকুই আমরা ঢুকতে পারব। অন্যদিকে শ্রমিকদের মজুরি চিরকাল কম থাকবে না। সে ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও কর্মপরিবেশের উন্নতি করতে হবে। এ ছাড়া পণ্যের বৈচিত্র্যতা বাড়াতে গবেষণা ও উচ্চমূল্যের পণ্য প্রস্তুতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো উদ্যোক্তাদের বড় মুনাফা করার যে সুযোগ সেটি আর থাকবে না। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে হলে এটি মেনে নিতে হবে। আর শ্রমিক ও মালিকের সম্পর্ক উন্নয়নের দায়িত্বটা সরকারকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করতে হবে সরকারকে।
অবশ্য সবার আগে শ্রমিকদের সন্তুষ্ট করাই হবে প্রথম কাজ, এমনটাই মত দেন এই অর্থনীতিবিদ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ এই শিল্পে বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করে। সরকারদলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে কিংবা তাঁদের ছত্রচ্ছায়ায় গঠিত সংগঠন দিয়ে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার বর্তমান পদ্ধতি বিপদ বয়ে আনবে। মালিকেরা এখন যেভাবে ট্রেড ইউনিয়নকে এড়িয়ে যান সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং এটিকে পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রাখতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী মুনাফার একটি অংশ শ্রমিককল্যাণ তহবিলে দিতে হবে মালিকদের। যাতে আপৎকালীন সময়ে ইতিবাচকভাবে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা যায়।
এম এম আকাশ বলেন, আগে অবকাঠামোর ওপর চাপ কম ছিল। কিন্তু ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে গেলে জমি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও সড়কের ওপর চাপ বাড়বে। স্বল্প সুদে ঋণসুবিধা দিতে হবে উদ্যোক্তাদের। আর এগুলো নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। এ ছাড়া এখনই কারখানা স্থাপনে জমি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ওপরের দিকে নিরাপদ ভবন নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সব মিলিয়ে সরকারের উচিত একটি মাস্টারপ্ল্যান করা।
তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় বর্তমানে ২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন করতে হলে এই আয় দ্বিগুণ করতে হবে। সে জন্য প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। এটি অর্জনযোগ্য লক্ষ্য বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ। তিনি বলেন, অতীতে যত সহজে ১৪-১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এখন ১০ শতাংশ আদায় করা ততটা কঠিন হবে। কারণ, আগে খোলা মাঠে সস্তা শ্রম দিয়ে আমরা এখানে প্রবেশ করেছি। এ ক্ষেত্রে শুরুর যে সুবিধা আমরা পেয়েছিলাম সেটা আর পাওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিযোগী অনেক।
এম এম আকাশ বলেন, এখন চীনসহ অন্য দেশ এই বাজারের যতটুকু ছাড়বে ততটুকুই আমরা ঢুকতে পারব। অন্যদিকে শ্রমিকদের মজুরি চিরকাল কম থাকবে না। সে ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও কর্মপরিবেশের উন্নতি করতে হবে। এ ছাড়া পণ্যের বৈচিত্র্যতা বাড়াতে গবেষণা ও উচ্চমূল্যের পণ্য প্রস্তুতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো উদ্যোক্তাদের বড় মুনাফা করার যে সুযোগ সেটি আর থাকবে না। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে হলে এটি মেনে নিতে হবে। আর শ্রমিক ও মালিকের সম্পর্ক উন্নয়নের দায়িত্বটা সরকারকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করতে হবে সরকারকে।
অবশ্য সবার আগে শ্রমিকদের সন্তুষ্ট করাই হবে প্রথম কাজ, এমনটাই মত দেন এই অর্থনীতিবিদ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ এই শিল্পে বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করে। সরকারদলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে কিংবা তাঁদের ছত্রচ্ছায়ায় গঠিত সংগঠন দিয়ে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার বর্তমান পদ্ধতি বিপদ বয়ে আনবে। মালিকেরা এখন যেভাবে ট্রেড ইউনিয়নকে এড়িয়ে যান সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং এটিকে পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রাখতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী মুনাফার একটি অংশ শ্রমিককল্যাণ তহবিলে দিতে হবে মালিকদের। যাতে আপৎকালীন সময়ে ইতিবাচকভাবে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা যায়।
এম এম আকাশ বলেন, আগে অবকাঠামোর ওপর চাপ কম ছিল। কিন্তু ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে গেলে জমি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও সড়কের ওপর চাপ বাড়বে। স্বল্প সুদে ঋণসুবিধা দিতে হবে উদ্যোক্তাদের। আর এগুলো নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। এ ছাড়া এখনই কারখানা স্থাপনে জমি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ওপরের দিকে নিরাপদ ভবন নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সব মিলিয়ে সরকারের উচিত একটি মাস্টারপ্ল্যান করা।
No comments