‘তুমি কি আমাকে নেবে?’
সিয়েরা লিওনের ছোট্ট সুইটির যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে তার বাবা মারা গেছেন। পরে মা-ও মারা যান। ইবোলার ভয়ে অসহায় মেয়েটিকে কেউ নিজের কাছে রাখতে চাইছে না। না আত্মীয়-স্বজন, না গ্রামের বাসিন্দারা। তাই যাকেই দেখছে, তার কাছেই মেয়েটি জানতে চাইছে, ‘তুমি কি আমাকে নেবে?’
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে আজ রোববার বলা হয়েছে, ইবোলায় সুইটির বাবা মারা যাওয়ার পর তার মাও এতে আক্রান্ত হন। রক্ত বমি করতে করতে দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মা। একদিন অ্যাম্বুলেন্স এল, মাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলো। সঙ্গে গেল সুইটিও। ইবোলা-আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ক্লিনিকে সে মায়ের পিছু পিছু থাকত। তার মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন, সুইটি তাঁকে ওষুধ দেওয়ার বায়না ধরল। সে মাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। মায়ের ধূলিমাখা কাপড়-চোপড় ধুয়ে দিচ্ছিল, যদিও খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে পারেনি।
একদিন সুইটির মা মারা গেলেন। ইবোলা সুইটির পরিবারে ছড়িয়ে পড়লেও তার শরীরে রোগটিতে সংক্রমণের কোনো লক্ষণ নেই। দুই সপ্তাহের বেশি সময় সে দূষিত এলাকায় ছিল, তাই ছোট এই মেয়েটিকে কেউ নিজের কাছে রাখতে রাজি নয়।
মায়ের মৃত্যুর পর ছোট্ট এ মেয়েটি ক্লিনিকের দরজায় বসে বাদামি চোখে দাঁড়িয়ে থাকত। তাকে নেওয়ার কেউ নেই। একদিন তাকে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। হলঘরে একা সুইটি ভয়ে-আতঙ্কে চমকে ওঠে।
নার্সরা জানান, ছোট্ট মেয়েটি তার মায়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিল। তার বয়স খুব বেশি হলে চার বছর। নার্সরা তার আসল নাম জানেন না। তাই তাঁরা তাকে ‘সুইটি সুইটি’ বলে ডাকেন।
সমাজকর্মীরা সুইটিকে দত্তক নেবেন, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে সে বুঝে গেছে তাকে কারও অধিকারে যেতে হবে। কিছু দিন আগে এক দর্শনার্থীকে সে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কি আমাকে নেবে?’
ইবোলা পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন, গিনি, লাইবেরিয়ার শিশুদের জন্য হতভাগ্য নিয়ে এসেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইবোলায় এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার শিশু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে অন্তত এক হাজার ২০০ জন।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে আজ রোববার বলা হয়েছে, ইবোলায় সুইটির বাবা মারা যাওয়ার পর তার মাও এতে আক্রান্ত হন। রক্ত বমি করতে করতে দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মা। একদিন অ্যাম্বুলেন্স এল, মাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলো। সঙ্গে গেল সুইটিও। ইবোলা-আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ক্লিনিকে সে মায়ের পিছু পিছু থাকত। তার মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন, সুইটি তাঁকে ওষুধ দেওয়ার বায়না ধরল। সে মাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। মায়ের ধূলিমাখা কাপড়-চোপড় ধুয়ে দিচ্ছিল, যদিও খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে পারেনি।
একদিন সুইটির মা মারা গেলেন। ইবোলা সুইটির পরিবারে ছড়িয়ে পড়লেও তার শরীরে রোগটিতে সংক্রমণের কোনো লক্ষণ নেই। দুই সপ্তাহের বেশি সময় সে দূষিত এলাকায় ছিল, তাই ছোট এই মেয়েটিকে কেউ নিজের কাছে রাখতে রাজি নয়।
মায়ের মৃত্যুর পর ছোট্ট এ মেয়েটি ক্লিনিকের দরজায় বসে বাদামি চোখে দাঁড়িয়ে থাকত। তাকে নেওয়ার কেউ নেই। একদিন তাকে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। হলঘরে একা সুইটি ভয়ে-আতঙ্কে চমকে ওঠে।
নার্সরা জানান, ছোট্ট মেয়েটি তার মায়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিল। তার বয়স খুব বেশি হলে চার বছর। নার্সরা তার আসল নাম জানেন না। তাই তাঁরা তাকে ‘সুইটি সুইটি’ বলে ডাকেন।
সমাজকর্মীরা সুইটিকে দত্তক নেবেন, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে সে বুঝে গেছে তাকে কারও অধিকারে যেতে হবে। কিছু দিন আগে এক দর্শনার্থীকে সে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কি আমাকে নেবে?’
ইবোলা পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন, গিনি, লাইবেরিয়ার শিশুদের জন্য হতভাগ্য নিয়ে এসেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইবোলায় এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার শিশু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে অন্তত এক হাজার ২০০ জন।
No comments