অর্ধশিক্ষিত লোকের পক্ষে আইনের অনেক ব্যাখ্যা বোঝা সম্ভব নয় : বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, অর্ধশিক্ষিত কোনো লোকের পক্ষে তো আইনের অনেক ব্যাখ্যা বোঝা সম্ভব নয়। সোমবার ‘প্রধান বিচারপতি বেছে নেওয়া’ শীর্ষক একটি কলাম লেখার কারণে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে করা আবেদনের শুনানিকালে তিনি এ কথা বলেন। আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে তলব করেন আপিল বিভাগ। তাদের আগামী ৫ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।
সোমবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘প্রধান বিচারপতি বেছে নেওয়া’ শীর্ষক একটি মতামত কলামের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। শুনানি শেষে তলবের পাশাপাশি প্রথম আলোর সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলও জারি করেন আপিল বিভাগ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চত করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, মিজানুর রহমান খানের লেখাটি আদালত অবমাননাকর। বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালতকে হেয় করে এ ধরনের লেখা আগে কখনো লেখা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে একাধিক আদালতের আদেশে সংবাদ মাধমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ না। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ দিলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় না।
এর আগে অভিযোগ-সম্পর্কিত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তিনি শুনানিতে বলেন, খান (মিজানুর রহমান খান) তার পুরো লেখায় আপিল বিভাগের মর্যাদাহানি করেছেন। তিনি বলেছেন, বাইরে থেকে লোক এনে যেন প্রধান বিচারপতি বানানো হয়। তার লেখা পড়ে মনে হয়, যেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি অথবা উত্তরপাড়া থেকে কোনো লোক এনে প্রধান বিচারপতি করা হয়। আপনাদের কারো যোগ্যতা নেই প্রধান বিচারপতি হওয়ার। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অর্ধশিক্ষিত কোনো লোকের পক্ষে তো আইনের অনেক ব্যাখ্যা বোঝা সম্ভব নয়। রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ জন্য অর্ধশিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত ভালো। কোনো এক জ্ঞানী মনীষী বলেছেন, তোমরা অশিক্ষিতের কাছে যাও কিন্তু অর্ধশিক্ষিতের কাছে যেয়ো না।
রোকন উদ্দিন মাহমুদ কলামের একটি অংশ পড়ে শুনিয়ে বলেন, তিনি লিখেছেন- নিম্ন আদালতের বিচারক অথবা বাইরে থেকে যোগ্য যে কাউকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে সংবিধান বাধা নয়। এ উক্তির মাধ্যমে তিনি আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নিয়োগ বিএনপি সরকারের আমলে স্থায়ী হয়। এ লেখার দ্বারা তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? এ সময় আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। বিচারপতি এস কে সিনহার চাকরিও বিএনপির আমলে স্থায়ী হয়।
ব্যারিস্টার রোকন আরো বলেন, তিনি লিখেছেন- প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংসদ এবং নির্বাহি বিভাগের মতামত নিতে হবে। তিনি নির্বাহি বিভাগের প্রেমে পড়েছে। এ সময় একজন বিচারপতি বলেন, এটা খুবই বিপজ্জনক কথা। রোকন উদ্দিন মাহমুদ এ সময় আদালত অবমাননার রুল ইস্যু এবং প্রথম আলোর সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদককে তলবের আবেদন জানান।
আদালত এ পর্যায়ে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চান। মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আদালতের এখতিয়ার কখনো চ্যালেঞ্জ করা যায় না। আপনারা তো তাদের বিরুদ্ধে এখনই কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, শোকজ করা যেতে পারে। তারা তাদের ব্যাখ্যা দিক।
সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, মিজানুর রহমান খান স্বভাবজাত আদালত অবমাননাকারী। অতীতে তিনি অনেকবার আদালত অবমাননা করেছেন। আপনারা রুল ইস্যু করেন এবং তলব করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কলামের কিছু অংশ আদালতে উপস্থাপন করে বলেন, তার এ লেখা আদালত অবমানাকর। ১৯৪৭-এর পর আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এভাবে কেউ কোনো লেখা অতীতে কখনো লেখেনি। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন। এর আগে সকালে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ মিজানুর রহমান খানের লেখাটি আদালতের নজরে আনেন। আদালত তাকে লিখিত আবেদন দায়েরের পরামর্শ দেন। পরে একজন আইনজীবী এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন।
সোমবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘প্রধান বিচারপতি বেছে নেওয়া’ শীর্ষক একটি মতামত কলামের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। শুনানি শেষে তলবের পাশাপাশি প্রথম আলোর সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলও জারি করেন আপিল বিভাগ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চত করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, মিজানুর রহমান খানের লেখাটি আদালত অবমাননাকর। বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালতকে হেয় করে এ ধরনের লেখা আগে কখনো লেখা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে একাধিক আদালতের আদেশে সংবাদ মাধমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ না। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ দিলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় না।
এর আগে অভিযোগ-সম্পর্কিত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তিনি শুনানিতে বলেন, খান (মিজানুর রহমান খান) তার পুরো লেখায় আপিল বিভাগের মর্যাদাহানি করেছেন। তিনি বলেছেন, বাইরে থেকে লোক এনে যেন প্রধান বিচারপতি বানানো হয়। তার লেখা পড়ে মনে হয়, যেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি অথবা উত্তরপাড়া থেকে কোনো লোক এনে প্রধান বিচারপতি করা হয়। আপনাদের কারো যোগ্যতা নেই প্রধান বিচারপতি হওয়ার। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অর্ধশিক্ষিত কোনো লোকের পক্ষে তো আইনের অনেক ব্যাখ্যা বোঝা সম্ভব নয়। রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ জন্য অর্ধশিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত ভালো। কোনো এক জ্ঞানী মনীষী বলেছেন, তোমরা অশিক্ষিতের কাছে যাও কিন্তু অর্ধশিক্ষিতের কাছে যেয়ো না।
রোকন উদ্দিন মাহমুদ কলামের একটি অংশ পড়ে শুনিয়ে বলেন, তিনি লিখেছেন- নিম্ন আদালতের বিচারক অথবা বাইরে থেকে যোগ্য যে কাউকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে সংবিধান বাধা নয়। এ উক্তির মাধ্যমে তিনি আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নিয়োগ বিএনপি সরকারের আমলে স্থায়ী হয়। এ লেখার দ্বারা তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? এ সময় আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। বিচারপতি এস কে সিনহার চাকরিও বিএনপির আমলে স্থায়ী হয়।
ব্যারিস্টার রোকন আরো বলেন, তিনি লিখেছেন- প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংসদ এবং নির্বাহি বিভাগের মতামত নিতে হবে। তিনি নির্বাহি বিভাগের প্রেমে পড়েছে। এ সময় একজন বিচারপতি বলেন, এটা খুবই বিপজ্জনক কথা। রোকন উদ্দিন মাহমুদ এ সময় আদালত অবমাননার রুল ইস্যু এবং প্রথম আলোর সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদককে তলবের আবেদন জানান।
আদালত এ পর্যায়ে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চান। মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আদালতের এখতিয়ার কখনো চ্যালেঞ্জ করা যায় না। আপনারা তো তাদের বিরুদ্ধে এখনই কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, শোকজ করা যেতে পারে। তারা তাদের ব্যাখ্যা দিক।
সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, মিজানুর রহমান খান স্বভাবজাত আদালত অবমাননাকারী। অতীতে তিনি অনেকবার আদালত অবমাননা করেছেন। আপনারা রুল ইস্যু করেন এবং তলব করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কলামের কিছু অংশ আদালতে উপস্থাপন করে বলেন, তার এ লেখা আদালত অবমানাকর। ১৯৪৭-এর পর আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এভাবে কেউ কোনো লেখা অতীতে কখনো লেখেনি। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন। এর আগে সকালে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ মিজানুর রহমান খানের লেখাটি আদালতের নজরে আনেন। আদালত তাকে লিখিত আবেদন দায়েরের পরামর্শ দেন। পরে একজন আইনজীবী এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন।
No comments