রাজধানীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় এক যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আফজাল হোসেন সাত্তার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে যুবলীগের কর্মীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ২টায় হাজারীবাগ থানাধীন ঝিগাতলার তিন মাজার মসজিদের সামনে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তার মাথায় ও বুকে চার রাউন্ড গুলি বিদ্ধ হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের ভাই মোতালেব হোসেন জানান, তার ভাই হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডের ঝিগাতলার ৮২ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। পেশায় ট্যানারি ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক কারণে তিনি একাধিকবার জেলে গেছেন।
তিনি আরও জানান, ২০০৪ সালে একটি খুনের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। গত ছয় মাস আগে তিনি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় যুবলীগের নেতারা তাকে যুবলীগে যোগদানের জন্য আহ্বান জানায়। যোগদানের বিষয়টি নিয়ে তাকে একাধিকবার চাপ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তিনি আরও জানান, দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে ট্যানারির মোড়ে শিফা এন্টারপ্রাইজ নামে নিজ প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। নিহতের স্ত্রী সামিনা চৌধুরী জানান, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তার নামে হাজারীবাগ ও লালবাগ থানায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি মামলা রয়েছে। ওই সব মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সাত্তার ছিলেন বড়। হাজারীবাগ থানার ওসি মইনুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। খুনের কারণ উদঘাটন ও খুনিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৪ সালে একটি খুনের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। গত ছয় মাস আগে তিনি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় যুবলীগের নেতারা তাকে যুবলীগে যোগদানের জন্য আহ্বান জানায়। যোগদানের বিষয়টি নিয়ে তাকে একাধিকবার চাপ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তিনি আরও জানান, দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে ট্যানারির মোড়ে শিফা এন্টারপ্রাইজ নামে নিজ প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। নিহতের স্ত্রী সামিনা চৌধুরী জানান, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তার নামে হাজারীবাগ ও লালবাগ থানায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি মামলা রয়েছে। ওই সব মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সাত্তার ছিলেন বড়। হাজারীবাগ থানার ওসি মইনুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। খুনের কারণ উদঘাটন ও খুনিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
No comments