শিল্প ঋণের সুদের হার আরও কমানোর পরামর্শ
শিল্প ঋণের সুদের হার আরও কমিয়ে
যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের
(এমডি) পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সোমবার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যিক
ব্যাংকগুলোর এমডিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় তিনি এ পরামর্শ
দিয়েছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেছেন, ব্যাংক ঋণের সুদের
হার প্রত্যাশিত মাত্রায় কমছে না। কমছে ধীরে ধীরে। দেশের প্রবৃদ্ধির হার
বাড়াতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু শিল্প ঋণের সুদের হার না কমলে বিনিয়োগ
বাড়বে না। এই কারণে শিল্প ঋণের সুদের হার আরও কমিয়ে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে
নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে খেলাপি ঋণের আদায় বাড়ানো, নবায়ন ও অবলোপন করতে বলা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে বড় অংকের ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত নীতিমালা আংশিক শিথিল করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসকে সুর চৌধুরীসহ অন্যান্য ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। তাদের এই ঋণ কমাতে হবে প্রচলিত নিয়ম মেনেই।
ব্যাংকগুলোর এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) সভাপতি ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে খেলাপি ঋণ ও ঋণের সুদের হার কমানোর বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, আমানত ও ঋণের সুদের হারের ব্যবধান বা স্প্রেড গত চার মাসের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এখনও ২০টি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে এই স্প্রেড চারের কাছাকাছি নামিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে গভর্নর প্রশ্ন তুলে বলেন, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম সেসব ব্যাংকের স্প্রেড কেন এত বেশি হবে। অতি মুনাফার কারণেই এমনটি হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই অতি মুনাফার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংকের খরচ বেড়েছে। যে কারণে মুনাফার পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে এখন মুনাফা কম হচ্ছে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ নেয়ার বিষয়ে গভর্নর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে কোনো কোনো ব্যাংক বিভিন্ন সেবার বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ বা ফি আদায় করছে। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন ধরনের সেবার বিপরীতে কি ধরনের ফি, চার্জ বা কমিশন আরোপিত আছে এসবের একটি তালিকা গ্রাহকদের অবগতির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট, শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তালিকা ছয় মাস পরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলের জন্য নির্দেশনাও রয়েছে। এর আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তদারকি করছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে গ্রাহকদের আরও সহজে জানানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এতে সার্ভিস চার্জের সমুদয় তথ্যগুলো সংযোজন করা হবে।
বৈঠকে বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণের হার যে কোনোভাবে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য আদায় বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণ নবায়নের নীতিমালা শিথিল করার দাবি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলা হয়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর বড় অংকের ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা ছাড় দেয়া হবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বৈঠকে বলা হয়, এ বছর সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় থাকলেও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার প্রতি প্রান্তিকেই সামান্য হারে বেড়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।
সভায় কয়েকটি ব্যাংকের এমডি বলেন, এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বাড়তি ফি আরোপ করার প্রস্তাব করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে নীতিগত সম্মতি প্রদান করে। ফলে এক্ষেত্রে গ্রাহকদের ওপর আরও ফি আরোপ হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একে নমনীয় পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে খেলাপি ঋণের আদায় বাড়ানো, নবায়ন ও অবলোপন করতে বলা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে বড় অংকের ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত নীতিমালা আংশিক শিথিল করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসকে সুর চৌধুরীসহ অন্যান্য ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। তাদের এই ঋণ কমাতে হবে প্রচলিত নিয়ম মেনেই।
ব্যাংকগুলোর এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) সভাপতি ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে খেলাপি ঋণ ও ঋণের সুদের হার কমানোর বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, আমানত ও ঋণের সুদের হারের ব্যবধান বা স্প্রেড গত চার মাসের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এখনও ২০টি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে এই স্প্রেড চারের কাছাকাছি নামিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে গভর্নর প্রশ্ন তুলে বলেন, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম সেসব ব্যাংকের স্প্রেড কেন এত বেশি হবে। অতি মুনাফার কারণেই এমনটি হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই অতি মুনাফার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংকের খরচ বেড়েছে। যে কারণে মুনাফার পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে এখন মুনাফা কম হচ্ছে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ নেয়ার বিষয়ে গভর্নর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে কোনো কোনো ব্যাংক বিভিন্ন সেবার বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ বা ফি আদায় করছে। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন ধরনের সেবার বিপরীতে কি ধরনের ফি, চার্জ বা কমিশন আরোপিত আছে এসবের একটি তালিকা গ্রাহকদের অবগতির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট, শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তালিকা ছয় মাস পরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলের জন্য নির্দেশনাও রয়েছে। এর আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তদারকি করছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে গ্রাহকদের আরও সহজে জানানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এতে সার্ভিস চার্জের সমুদয় তথ্যগুলো সংযোজন করা হবে।
বৈঠকে বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণের হার যে কোনোভাবে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য আদায় বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণ নবায়নের নীতিমালা শিথিল করার দাবি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলা হয়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর বড় অংকের ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা ছাড় দেয়া হবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বৈঠকে বলা হয়, এ বছর সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় থাকলেও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার প্রতি প্রান্তিকেই সামান্য হারে বেড়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।
সভায় কয়েকটি ব্যাংকের এমডি বলেন, এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বাড়তি ফি আরোপ করার প্রস্তাব করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে নীতিগত সম্মতি প্রদান করে। ফলে এক্ষেত্রে গ্রাহকদের ওপর আরও ফি আরোপ হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একে নমনীয় পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
No comments