বড় চ্যালেঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন
ঢাকায় ৭-৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাপারেল সামিট। ২০২১ সালে পোশাকের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ।রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্য অর্জনে কী করণীয়, সে বিষয়ে সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন
প্রথম আলো: পোশাক রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও রানা প্লাজা ধসের পর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার, সম্মেলনের এই দুই উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছে?
আতিকুল ইসলাম: সম্মেলনে গ্যাপ, এইচ অ্যান্ড এম, লি অ্যান্ড ফাংসহ বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আসেন। তাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখেন। আর হিসাব করলে এসব প্রতিষ্ঠান আমাদের পোশাক রপ্তানির ৭০ শতাংশের অংশীদার। এই প্রতিনিধিদের আমরা কয়েকটি কারখানা পরিদর্শনে নিয়ে যাই। আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেট হারম্যান তো তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘আই কান্ট বিলিভ, ইজ ইট বাংলাদেশ!’ (আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা বাংলাদেশ!)। এককথায় বলতে গেলে, তাঁরা আমাদের কারখানা দেখে অভিভূত হয়েছেন। এ ছাড়া একাধিক দেশের মন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং উদ্যোক্তা ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা নয়টি সেমিনার করেছি। এসব সেমিনারে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে চ্যালেঞ্জ ও ‘কী করা উচিত’ সেসব বেরিয়ে এসেছে। সম্মেলনের পাশাপাশি নিরাপত্তা-সরঞ্জাম নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হয়েছে। দেশের উদ্যোক্তারা বর্তমানে কর্মপরিবেশ উন্নতিতে কাজ করছেন। অনেক কারখানার মালিক আমাকে বলেছেন, এই প্রদর্শনীর কারণে তাঁদের আর বিদেশ যেতে হবে না। সব মিলিয়ে সম্মেলনের একেকটি জায়গায় আমরা যতটুকু চেয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। তাই বলা যায়, আমরা দারুণভাবে সফল।
প্রথম আলো: সম্মেলনে নয়টি সেমিনারে উঠে আসা পরিকল্পনা নিয়ে বিজিএমইএ কীভাবে এগোবে?
আতিকুল ইসলাম: ২০২১ সালের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ ও এগিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা কী হবে, সে বিষয়গুলো বেরিয়ে এসেছে। দেশের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এগুলো বিশ্লেষণ করে একটি মলাটের মধ্যে নিয়ে আসার পর এটি সরকারকে দেওয়া হবে। তারপর সব পক্ষকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সংলাপের আয়োজন করা হবে। সেখানেই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সময়সীমা নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্দিষ্ট হবে।
প্রথম আলো: রপ্তানি আয়ে এই মাইলফলক অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি বলে আপনি মনে করেন?
আতিকুল ইসলাম: সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন। তবে এটা দুঃখজনক যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ শেষ করতে এত সময় লাগছে। তবে আমাদের বুঝতে হবে, পোশাকশিল্পের সরবরাহব্যবস্থা যত নির্বিঘ্ন করা যাবে, উৎপাদন খরচ তত কমে আসবে এবং একই সঙ্গে প্রতিযোগী দেশের চেয়ে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা ও কম সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থাও এই অবকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা এই শিল্পের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সম্মেলনে উপস্থিত থেকেছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা যখনই কোনো সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছি তিনি গুরুত্ব দিয়ে তা শুনেছেন, সমাধান করেছেন। তাই আমরা বিশ্বাস করি, সরকার যথাসম্ভব সমস্যাগুলো সমাধান করবে।
প্রথম আলো: পোশাক রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও রানা প্লাজা ধসের পর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার, সম্মেলনের এই দুই উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছে?
আতিকুল ইসলাম: সম্মেলনে গ্যাপ, এইচ অ্যান্ড এম, লি অ্যান্ড ফাংসহ বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আসেন। তাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখেন। আর হিসাব করলে এসব প্রতিষ্ঠান আমাদের পোশাক রপ্তানির ৭০ শতাংশের অংশীদার। এই প্রতিনিধিদের আমরা কয়েকটি কারখানা পরিদর্শনে নিয়ে যাই। আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেট হারম্যান তো তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘আই কান্ট বিলিভ, ইজ ইট বাংলাদেশ!’ (আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা বাংলাদেশ!)। এককথায় বলতে গেলে, তাঁরা আমাদের কারখানা দেখে অভিভূত হয়েছেন। এ ছাড়া একাধিক দেশের মন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং উদ্যোক্তা ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা নয়টি সেমিনার করেছি। এসব সেমিনারে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে চ্যালেঞ্জ ও ‘কী করা উচিত’ সেসব বেরিয়ে এসেছে। সম্মেলনের পাশাপাশি নিরাপত্তা-সরঞ্জাম নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হয়েছে। দেশের উদ্যোক্তারা বর্তমানে কর্মপরিবেশ উন্নতিতে কাজ করছেন। অনেক কারখানার মালিক আমাকে বলেছেন, এই প্রদর্শনীর কারণে তাঁদের আর বিদেশ যেতে হবে না। সব মিলিয়ে সম্মেলনের একেকটি জায়গায় আমরা যতটুকু চেয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। তাই বলা যায়, আমরা দারুণভাবে সফল।
প্রথম আলো: সম্মেলনে নয়টি সেমিনারে উঠে আসা পরিকল্পনা নিয়ে বিজিএমইএ কীভাবে এগোবে?
আতিকুল ইসলাম: ২০২১ সালের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ ও এগিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা কী হবে, সে বিষয়গুলো বেরিয়ে এসেছে। দেশের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এগুলো বিশ্লেষণ করে একটি মলাটের মধ্যে নিয়ে আসার পর এটি সরকারকে দেওয়া হবে। তারপর সব পক্ষকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সংলাপের আয়োজন করা হবে। সেখানেই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সময়সীমা নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্দিষ্ট হবে।
প্রথম আলো: রপ্তানি আয়ে এই মাইলফলক অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি বলে আপনি মনে করেন?
আতিকুল ইসলাম: সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন। তবে এটা দুঃখজনক যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ শেষ করতে এত সময় লাগছে। তবে আমাদের বুঝতে হবে, পোশাকশিল্পের সরবরাহব্যবস্থা যত নির্বিঘ্ন করা যাবে, উৎপাদন খরচ তত কমে আসবে এবং একই সঙ্গে প্রতিযোগী দেশের চেয়ে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা ও কম সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থাও এই অবকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা এই শিল্পের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সম্মেলনে উপস্থিত থেকেছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা যখনই কোনো সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছি তিনি গুরুত্ব দিয়ে তা শুনেছেন, সমাধান করেছেন। তাই আমরা বিশ্বাস করি, সরকার যথাসম্ভব সমস্যাগুলো সমাধান করবে।
No comments