বিয়ে করলেই মামলা তুলে নেবো
‘ভালবেসে রুবেলকে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম। রুবেলের প্রেমে পাগল ছিলাম আমি। কিন্তু রুবেল আমাকে ব্যবহার করেছে। আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমাকে বিয়ে করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে এখন সটকে পড়ার চেষ্টা করছে। আমি রুবেলকে বিয়ে করতে চাই। রুবেলের বউ হতে চাই। আমাকে বিয়ে করলে মামলা তুলে নেবো। রুবেলের সঙ্গে আমার গভীর প্রেমের সম্পর্কের অনেক প্রমাণ রয়েছে। প্রয়োজনে আমি এসব প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করবো।’ কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা এ অভিনেত্রীকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। রুবেলের বিরুদ্ধে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের হেফাজতে রাখে। গতকাল তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। পরে তাকে বাবা-মায়ের হেফাজতে দিয়ে দেয় পুলিশ। অপরদিকে মামলা দায়েরের পর শনিবার রাতে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, রুবেলের হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। তারা চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করছেন। পুলিশের একজন কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশের মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) নিশারুল আরিফ বলেন, ‘যেহেতু মামলা হয়েছে, আমরা রুবেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। শনিবার রাতে রুবেল অবস্থান করতে পারে এমন কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘যদি দুই পক্ষের মধ্যে আপস হয়ে যায়, তাহলে পুলিশের কিছু করার নেই।’ অপরদিকে পরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হ্যাপির ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমরাও যত দ্রুত রিপোর্ট দেয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করবো।
গতকাল দুপুরের পর নাজনীন আক্তার হ্যাপিকে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়ার পর থেকে তিনি রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৬ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। মানবজমিন-র সঙ্গে আলাপে হ্যাপি জানান, প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রুবেলই তাকে প্রথম ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরিচিত ক্রিকেটারের নাম দেখে তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এরপর তাদের ফেসবুকে নিয়মিত চ্যাটিং হতো। একদিন রুবেলের আমন্ত্রণে মিরপুর ২ নম্বরের একটি রেস্টুরেন্টে তাদের প্রথম দেখা হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই তাদের সঙ্গে দেখা হতো। চলতো মোবাইলে কথোপকথন। এক পর্যায়ে দু’জন জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার হওয়ায় হ্যাপিও তার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। হ্যাপির দাবি, পরিচয়ের তিন মাসের মধ্যেই রুবেল তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি। এরপরই একদিন রুবেল তাকে মিরপুর কমার্স কলেজের সামনে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানেই তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এভাবেই চলছিল তাদের দিন। কিন্তু সম্প্রতি রুবেল বিয়ের বিষয়ে বেঁকে বসেন। রুবেল বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন তাকে। শুরু হয় সম্পর্কের টানাপড়েন। হ্যাপি বলেন, আমি বাধ্য হয়ে মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছি। এখন রুবেল যদি আমাকে বিয়ে করে আর নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চায় তাহলে আমি ওকে ক্ষমা করে দেবো। মামলাও তুলে নেবো। হ্যাপির অভিযোগ, রুবেলকে বিয়ের কথা বললেই সে নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো। এক পর্যায়ে রুবেল বলে শোবিজে কাজ করার জন্য তার পরিবার আমাকে মেনে নেবে না। বিষয়টি অবশ্য ওর বাসার কেউ জানতো না। রুবেল তাকে মডেলিং ও অভিনয় ছেড়ে দিতে বলে। তাহলে বিয়ে করবে বলে জানায়। হ্যাপি বলেন, রুবেলের কথায় আমি অভিনয় ও মডেলিং সব ছেড়ে দেই। প্রায় তিন মাস আমি সব কিছু থেকে দূরে থাকি। কিন্তু রুবেল এরপরও আমার সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ করছিল না। আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। আমার ফোন ধরতো না। এমনকি দেখা করাও বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে আমি জানতে পারি রুবেলের সঙ্গে আরও কয়েকটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। একদিন আমি জানতে পারি রুবেল তার বাসায় অবস্থান করছে। তখন রাত সাড়ে ১২টা বাজে। আমি মধ্যরাতেই তার বাসায় গিয়ে হাজির হই। সেখানে গিয়ে দেখি ওর সঙ্গে দু’টি মেয়ে। সবাই মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে। আমি রুবেলকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে ও আমাকে ধমক দেয়। বলে ওরা আমার ফ্রেন্ড, ওদের সামনে কিছুই বলবা না। এরপর রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। আমি জেদ করে আমার হাত কেটে ছিলাম। আমার হাত দিয়ে অনেক রক্ত ঝরে। আমি জ্ঞান হারাই। সকালে জেগে দেখি আমি ওর বাসায়। এরপর ওর বাসা থেকে চলে আসি।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চিত্রজগতে পা রাখা নাজনীন আক্তার হ্যাপি জানান, তিন দিন আগে রুবেলের সঙ্গে তার শেষ যোগাযোগ হয়। রুবেলকে বিয়ের কথা বললে বিয়ে করবে না বলে আবারও সাফ জানিয়ে দেয়। হ্যাপি মামলার কথা বললে রুবেলও তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করবে বলে জানায়। হ্যাপি বলেন, ‘আমি এর আগে একবার মামলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি ভাই, নাসির ভাই ও শফিউল ভাই আমাকে বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠায়। তখন মাশরাফি ভাই রুবেলকে বলেছিল আমাকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু রুবেল তাতে রাজি হয়নি।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, পেসার রুবেল হোসেনের বিপক্ষে মামলার ঘটনাটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি এক সপ্তাহ আগে থেকেই জানতো। কারণ প্রথম যখন হ্যাপি মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলেন তখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি বিসিবি সিকিউরিটির প্রধান মেজর (অব.) হোসেন ইমামকে জানায়। সেই মুহূর্তে সিকিউরিটি প্রধান বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিকে জানান। ক্রিকেট অপারেশন্সের একটি সূত্র জানায়, রুবেলকে সেই সময় মামলার বিষয়টি জানানো হয় এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে বলা হয়। কিন্তু রুবেল কোন সমাধানই করেনি। এই বিষয়ে বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, আসলে আমরা পুরো ঘটনাটা এখনও জানি না। তবে এখন যেহেতু বিষয়টি আইনি ভাবে যাচ্ছে তাই আমরা সেদিকেই তাকিয়ে আছি। তবে আমি মনে করি এটি রুবেলের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাই বলবো যে এক পক্ষের কথা শুনে এখনই কোন মন্তব্য করা ঠিক নয়। অপরদিকে মামলার পর থেকেই রুবেলের সবগুলো মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার সতীর্থরাও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, দু’-একদিনের মধ্যে রুবেল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারেন।
এদিকে ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর অনেকেই বলছেন রুবেল আসলে অভিনেত্রী হ্যাপির প্রেমের ফাঁদে পড়েছেন। হ্যাপি আসলে শোবিজ জগতে তেমন জনপ্রিয় মুখ নন। কেবল ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গত বছরের ২২শে সেপ্টেম্বর তার প্রথম ছবি ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর আরেকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা শোনা গেলেও সেটি এখনও মুক্তি পায়নি। এছাড়া, কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন হ্যাপি। মামলায় রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী।
গতকাল দুপুরের পর নাজনীন আক্তার হ্যাপিকে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়ার পর থেকে তিনি রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৬ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। মানবজমিন-র সঙ্গে আলাপে হ্যাপি জানান, প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রুবেলই তাকে প্রথম ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরিচিত ক্রিকেটারের নাম দেখে তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এরপর তাদের ফেসবুকে নিয়মিত চ্যাটিং হতো। একদিন রুবেলের আমন্ত্রণে মিরপুর ২ নম্বরের একটি রেস্টুরেন্টে তাদের প্রথম দেখা হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই তাদের সঙ্গে দেখা হতো। চলতো মোবাইলে কথোপকথন। এক পর্যায়ে দু’জন জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার হওয়ায় হ্যাপিও তার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। হ্যাপির দাবি, পরিচয়ের তিন মাসের মধ্যেই রুবেল তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি। এরপরই একদিন রুবেল তাকে মিরপুর কমার্স কলেজের সামনে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানেই তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এভাবেই চলছিল তাদের দিন। কিন্তু সম্প্রতি রুবেল বিয়ের বিষয়ে বেঁকে বসেন। রুবেল বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন তাকে। শুরু হয় সম্পর্কের টানাপড়েন। হ্যাপি বলেন, আমি বাধ্য হয়ে মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছি। এখন রুবেল যদি আমাকে বিয়ে করে আর নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চায় তাহলে আমি ওকে ক্ষমা করে দেবো। মামলাও তুলে নেবো। হ্যাপির অভিযোগ, রুবেলকে বিয়ের কথা বললেই সে নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো। এক পর্যায়ে রুবেল বলে শোবিজে কাজ করার জন্য তার পরিবার আমাকে মেনে নেবে না। বিষয়টি অবশ্য ওর বাসার কেউ জানতো না। রুবেল তাকে মডেলিং ও অভিনয় ছেড়ে দিতে বলে। তাহলে বিয়ে করবে বলে জানায়। হ্যাপি বলেন, রুবেলের কথায় আমি অভিনয় ও মডেলিং সব ছেড়ে দেই। প্রায় তিন মাস আমি সব কিছু থেকে দূরে থাকি। কিন্তু রুবেল এরপরও আমার সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ করছিল না। আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। আমার ফোন ধরতো না। এমনকি দেখা করাও বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে আমি জানতে পারি রুবেলের সঙ্গে আরও কয়েকটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। একদিন আমি জানতে পারি রুবেল তার বাসায় অবস্থান করছে। তখন রাত সাড়ে ১২টা বাজে। আমি মধ্যরাতেই তার বাসায় গিয়ে হাজির হই। সেখানে গিয়ে দেখি ওর সঙ্গে দু’টি মেয়ে। সবাই মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে। আমি রুবেলকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে ও আমাকে ধমক দেয়। বলে ওরা আমার ফ্রেন্ড, ওদের সামনে কিছুই বলবা না। এরপর রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। আমি জেদ করে আমার হাত কেটে ছিলাম। আমার হাত দিয়ে অনেক রক্ত ঝরে। আমি জ্ঞান হারাই। সকালে জেগে দেখি আমি ওর বাসায়। এরপর ওর বাসা থেকে চলে আসি।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চিত্রজগতে পা রাখা নাজনীন আক্তার হ্যাপি জানান, তিন দিন আগে রুবেলের সঙ্গে তার শেষ যোগাযোগ হয়। রুবেলকে বিয়ের কথা বললে বিয়ে করবে না বলে আবারও সাফ জানিয়ে দেয়। হ্যাপি মামলার কথা বললে রুবেলও তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করবে বলে জানায়। হ্যাপি বলেন, ‘আমি এর আগে একবার মামলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি ভাই, নাসির ভাই ও শফিউল ভাই আমাকে বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠায়। তখন মাশরাফি ভাই রুবেলকে বলেছিল আমাকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু রুবেল তাতে রাজি হয়নি।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, পেসার রুবেল হোসেনের বিপক্ষে মামলার ঘটনাটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি এক সপ্তাহ আগে থেকেই জানতো। কারণ প্রথম যখন হ্যাপি মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলেন তখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি বিসিবি সিকিউরিটির প্রধান মেজর (অব.) হোসেন ইমামকে জানায়। সেই মুহূর্তে সিকিউরিটি প্রধান বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিকে জানান। ক্রিকেট অপারেশন্সের একটি সূত্র জানায়, রুবেলকে সেই সময় মামলার বিষয়টি জানানো হয় এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে বলা হয়। কিন্তু রুবেল কোন সমাধানই করেনি। এই বিষয়ে বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, আসলে আমরা পুরো ঘটনাটা এখনও জানি না। তবে এখন যেহেতু বিষয়টি আইনি ভাবে যাচ্ছে তাই আমরা সেদিকেই তাকিয়ে আছি। তবে আমি মনে করি এটি রুবেলের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাই বলবো যে এক পক্ষের কথা শুনে এখনই কোন মন্তব্য করা ঠিক নয়। অপরদিকে মামলার পর থেকেই রুবেলের সবগুলো মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার সতীর্থরাও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, দু’-একদিনের মধ্যে রুবেল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারেন।
এদিকে ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর অনেকেই বলছেন রুবেল আসলে অভিনেত্রী হ্যাপির প্রেমের ফাঁদে পড়েছেন। হ্যাপি আসলে শোবিজ জগতে তেমন জনপ্রিয় মুখ নন। কেবল ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গত বছরের ২২শে সেপ্টেম্বর তার প্রথম ছবি ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর আরেকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা শোনা গেলেও সেটি এখনও মুক্তি পায়নি। এছাড়া, কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন হ্যাপি। মামলায় রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী।
No comments