চীন ও জাপানকে ঘৃণা ভুলে যেতে হবে
চীন ও জাপানের উচিত পারস্পরিক ঘৃণা দূর করা। দুই দেশের বর্তমান সুসম্পর্কের ওপর অতীত যেন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সেদিকে লক্ষ রাখা। তাদের উচিত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। চীনের নানজিং গণহত্যার ৭৭তম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে গতকাল শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ কথা বলেন। খবর রয়টার্সের। জাপানের সেনারা ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরে চীনের তখনকার রাজধানী নানজিং দখল করে। বেইজিংয়ের দাবি, ওই সময় নারী ও শিশুসহ অন্তত তিন লাখ জাপানিকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ২০ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ দিনটিকে গতকাল প্রথমবারের মতো জাতীয় স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করে চীন। দিবসটি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেন, ‘নানজিংয়ে গণহত্যার শিকার মানুষদের আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ঘৃণাকে উসকে দেওয়ার উদ্দেশে নয়, বরং ঘৃণাকে দূর করতে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে গঠিত যৌথ ট্রাইব্যুনালের হিসাব অনুযায়ী, নানজিংয়ে গণহত্যার শিকার হয়েছিল এক লাখ ৪২ হাজার মানুষ। তবে জাপানের কিছুসংখ্যক কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী সেখানে গণহত্যা হয়েছিল বলেই স্বীকার করেন না।
নানজিং গণহত্যা চীন ও জাপানের সম্পর্কের মধ্যে এখনো এক বেদনাদায়ক অধ্যায়।
সুসম্পর্কের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি চীনা প্রেসিডেন্ট তিক্ত অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আর কোনো অপরাধকে অস্বীকার করা মানে আবারও অপরাধ করা।...আগ্রাসনকারীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা কোনো মানুষের কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে গঠিত যৌথ ট্রাইব্যুনালের হিসাব অনুযায়ী, নানজিংয়ে গণহত্যার শিকার হয়েছিল এক লাখ ৪২ হাজার মানুষ। তবে জাপানের কিছুসংখ্যক কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী সেখানে গণহত্যা হয়েছিল বলেই স্বীকার করেন না।
নানজিং গণহত্যা চীন ও জাপানের সম্পর্কের মধ্যে এখনো এক বেদনাদায়ক অধ্যায়।
সুসম্পর্কের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি চীনা প্রেসিডেন্ট তিক্ত অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আর কোনো অপরাধকে অস্বীকার করা মানে আবারও অপরাধ করা।...আগ্রাসনকারীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা কোনো মানুষের কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
No comments