ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী by জয়দেব দাশ
গৌরব, ঐতিহ্য আর সংগ্রামের ৬৬ বছরে আজ পা
দিচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকা খচিত
ঐহিত্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। সময়ের তালে তালে বাঙালির
স্বাধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনে যেমন এই সংগঠনটি ভূমিকা রেখেছে, তেমনি
স্বাধীনতার গৌরবের অর্জন রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও পুরনো এই ছাত্র সংগঠনটির আছে শুধুই ত্যাগ আর ইতিহাস
গড়ার ইতিহাস।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রক্তভেজা লাল-সবুজের পতাকায়ও মিশে আছে এই সংগঠনের প্রায় ১৭ হাজার নেতাকর্মীর টগবগে তারুণের রক্ত। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকেই দেশমাতৃকার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বাধীনতা-পরবর্তী নব্বইয়ের দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে রাজপথের ঝাঁঝালো মিছিলের অগ্রভাগের সাহসী সেনানীর ভূমিকায় ছিল এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর পরবর্তী সময়ে দেশের যে কোনো সংকটে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আর মমত্ববোধ থেকেই পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুর্যোগ-দুর্ভোগে সবসময়ই আর্তমানবতার পাশে একটি নাম ছাত্রলীগ। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসই ছাত্রলীগের ইতিহাস।'
বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের সময়ে স্বাভাবিক কারণেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষার আন্দোলনে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, শিক্ষার্থীদের বেতন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদের আন্দোলন, সর্বোপরি শিক্ষাঙ্গনকে জঙ্গিবাদ মুক্ত রাখতে কাজ করেছে ছাত্রলীগ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আজও মাঠে সোচ্চার আমরা। মানবতাবিরোধী এই বিচারের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দৃপ্ত শপথে দীক্ষিত সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মী। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে সজাগ করার আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গত বছর প্রাণও দিতে হয়েছে জঙ্গিবাদী একটি ছাত্র সংগঠনের হাতে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশের পুনঃশৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে উদ্ধার, দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সেনাশাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে প্রথম মুক্তির উচ্চারণ করে ছাত্রলীগ।
আজও দেশের বহু বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছেন, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার মানুষ হয়ে দেশের জন্য কাজ করেন। তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক সূতিকাগার ছিল ছাত্রলীগ।
দেশ বঙ্গবন্ধুর তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতির পথে চলছে। আজ ১ হাজার ৪৪ ডলার মাথাপিছু আয় দেশের মানুষের। দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে টেনে ধরে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূখণ্ড এখন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। মিয়ানমারের কাছ থেকে অর্জিত দুইশ' নটিক্যাল মাইলের সমুদ্রসীমা দেশের জনসীমার আয়তন বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদ। যা আমাদের একটি প্রজন্মকে শক্ত অর্থনীতির ভিত্তি গড়তে সহায়তা জোগাবে।
আজ শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকা খচিত গৌরবের পতাকা কাঁধে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে জঙ্গিমুক্ত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগ। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেখানেই ছাত্রছাত্রীদের অধিকারের প্রশ্ন, সেখানেই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা আমাদের ছোট ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি অব্যাহত রেখে প্রগতির পথে এগিয়ে যাব। আজকের দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের হাতেই গড়ব ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ_ এ স্বপ্ন শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৬তম জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রক্তভেজা লাল-সবুজের পতাকায়ও মিশে আছে এই সংগঠনের প্রায় ১৭ হাজার নেতাকর্মীর টগবগে তারুণের রক্ত। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকেই দেশমাতৃকার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বাধীনতা-পরবর্তী নব্বইয়ের দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে রাজপথের ঝাঁঝালো মিছিলের অগ্রভাগের সাহসী সেনানীর ভূমিকায় ছিল এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর পরবর্তী সময়ে দেশের যে কোনো সংকটে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আর মমত্ববোধ থেকেই পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুর্যোগ-দুর্ভোগে সবসময়ই আর্তমানবতার পাশে একটি নাম ছাত্রলীগ। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসই ছাত্রলীগের ইতিহাস।'
বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের সময়ে স্বাভাবিক কারণেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষার আন্দোলনে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, শিক্ষার্থীদের বেতন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদের আন্দোলন, সর্বোপরি শিক্ষাঙ্গনকে জঙ্গিবাদ মুক্ত রাখতে কাজ করেছে ছাত্রলীগ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আজও মাঠে সোচ্চার আমরা। মানবতাবিরোধী এই বিচারের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দৃপ্ত শপথে দীক্ষিত সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মী। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে সজাগ করার আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গত বছর প্রাণও দিতে হয়েছে জঙ্গিবাদী একটি ছাত্র সংগঠনের হাতে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশের পুনঃশৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে উদ্ধার, দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সেনাশাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে প্রথম মুক্তির উচ্চারণ করে ছাত্রলীগ।
আজও দেশের বহু বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছেন, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার মানুষ হয়ে দেশের জন্য কাজ করেন। তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক সূতিকাগার ছিল ছাত্রলীগ।
দেশ বঙ্গবন্ধুর তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতির পথে চলছে। আজ ১ হাজার ৪৪ ডলার মাথাপিছু আয় দেশের মানুষের। দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে টেনে ধরে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূখণ্ড এখন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। মিয়ানমারের কাছ থেকে অর্জিত দুইশ' নটিক্যাল মাইলের সমুদ্রসীমা দেশের জনসীমার আয়তন বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদ। যা আমাদের একটি প্রজন্মকে শক্ত অর্থনীতির ভিত্তি গড়তে সহায়তা জোগাবে।
আজ শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকা খচিত গৌরবের পতাকা কাঁধে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে জঙ্গিমুক্ত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগ। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেখানেই ছাত্রছাত্রীদের অধিকারের প্রশ্ন, সেখানেই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা আমাদের ছোট ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি অব্যাহত রেখে প্রগতির পথে এগিয়ে যাব। আজকের দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের হাতেই গড়ব ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ_ এ স্বপ্ন শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৬তম জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা।
জয়দেব দাশ : তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়কউপ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
No comments