ছবির গল্প
১৯০৫
সালে জন্ম নেওয়া আমেরিকান ফটোগ্রাফার চার্লস ক্লিডি ইবেটসের (ঈযধৎষবং
ঈষুফব ঊননবঃং) ছবি তোলার হাতেখড়ি মাত্র আট বছর বয়সে। মায়ের কাছ থেকে টাকা
নিয়ে জীবনের প্রথম ক্যামেরাটা কেনেন তিনি। পেশাগত জীবনে মিয়ামি ডেইলি নিউজ
পত্রিকায় কাজ করলেও ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে সবচেয়ে বেশি
স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন ইবেটস। এ ভদ্রলোক ১৯৩২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তার
জীবনের সেরা ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন। 'লাঞ্চ অ্যাটপ এ স্কাইস্ক্রাপার'
(খঁহপয ধঃড়ঢ় ধ ঝশুংপৎধঢ়বৎ) শিরোনামের এ ছবিটি তোলা হয় আমেরিকার নিউইয়র্কের
রকফেলার সেন্টারে নির্মাণাধীন আরসিএ ভবন (রেডিও করপোরেশন অব আমেরিকা ভবন,
বর্তমানে জেনারেল ইলেকট্রিক ভবন) থেকে। ফটোগ্রাফার চার্লস ছিলেন ৭০
তলাবিশিষ্ট আরসিএ ভবনের জন্য নিযুক্ত অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার। তার কাজ ছিল
নির্মাণাধীন ভবনটির বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে রাখা, যেন পরে সেগুলো ভবনের
বিজ্ঞাপনের কাজে লাগানো যায়।
সেদিন ছিল মঙ্গলবার। দুপুরের দিকে ফটোগ্রাফার চার্লস আরসিএ ভবনের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলতে তুলতে ৬৯ তলায় এসে উপস্থিত হন। সেখানে আসার পর এক আশ্চর্য দৃশ্য তার চোখে পড়ে। তিনি দেখেন, ১১ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি লোহার গার্ডারের ওপর পা দুলিয়ে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। শ্রমিকরা এমন জায়গায় বসে ছিলেন, যেখান থেকে পিছলে গেলে সোজা ২৫৬ মিটার নিচে নিউইয়র্কের পিচঢালা রাস্তায় গিয়ে পড়তে হবে। আর তেমনটা হলে বাঁচার কোনো আশা করাও হবে বোকামি। এমন ঝুঁকির মধ্যেই কর্মীরা কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই গার্ডারে বসে খাচ্ছিলেন, গল্প-গুজব করছিলেন।
ফটোগ্রাফার চার্লস এই কর্মীদের চোখে এক আশ্চর্য হতাশা দেখেন। তিনি মনে মনে ধরে নেন, সারাদিন গাধার মতো খাটা এ শ্রমিকরা সম্ভবত জীবনের প্রতি ত্যক্ত-বিরক্ত। জীবনের প্রতি কোনো মমতা বোধ নেই তাদের। সে কারণেই হয়তো এমন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসে আছেন তারা। ফটোগ্রাফার চার্লস এমন একটি দৃশ্য মিস করতে চাইলেন না। সবচেয়ে ভালো অ্যাঙ্গেলে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের ছবি তুলে ফেললেন তিনি।
কিছুদিন পর ২ অক্টোবর নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকায় ছবিটি ছাপা হয় এবং পাঠকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াতে থাকে ছবিটি। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করে বলছেন, 'ছবিটি হঠাৎ করে তোলা হয়নি। এটা আসলে সাজানো ছবি। আরসিএ ভবনের প্রচারের জন্য ফটোগ্রাফার চার্লস শ্রমিকদের নিজের মতো করে সাজিয়ে ছবিটি তুলেছেন। শ্রমিকরা মোটেই নিরাপত্তাহীন ছিলেন না। তাদের সূক্ষ্মভাবে গার্ডারের সঙ্গে আটকে রাখা হয়েছিল।' সমালোচকদের এ দাবির যৌক্তিকতা আরও বাড়িয়ে দেয়, যখন ফটোগ্রাফার চার্লস অনেকটা একই ধরনের ছবি 'মেন অ্যাস্লিপ অন এ গার্ডার' (গবহ অংষববঢ় ড়হ ধ এরৎফবৎ) প্রকাশ করেন। সেখানে চারজন নির্মাণ শ্রমিককে একই গার্ডারের ওপর শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে ঘটনা যাই হোক, ছবিটিকে গত শতাব্দীর অন্যতম সেরা ছবি হিসেবে মেনে নিতে বেশিরভাগ ফটোগ্রাফার কুণ্ঠাবোধ করেন না।
সেদিন ছিল মঙ্গলবার। দুপুরের দিকে ফটোগ্রাফার চার্লস আরসিএ ভবনের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলতে তুলতে ৬৯ তলায় এসে উপস্থিত হন। সেখানে আসার পর এক আশ্চর্য দৃশ্য তার চোখে পড়ে। তিনি দেখেন, ১১ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি লোহার গার্ডারের ওপর পা দুলিয়ে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। শ্রমিকরা এমন জায়গায় বসে ছিলেন, যেখান থেকে পিছলে গেলে সোজা ২৫৬ মিটার নিচে নিউইয়র্কের পিচঢালা রাস্তায় গিয়ে পড়তে হবে। আর তেমনটা হলে বাঁচার কোনো আশা করাও হবে বোকামি। এমন ঝুঁকির মধ্যেই কর্মীরা কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই গার্ডারে বসে খাচ্ছিলেন, গল্প-গুজব করছিলেন।
ফটোগ্রাফার চার্লস এই কর্মীদের চোখে এক আশ্চর্য হতাশা দেখেন। তিনি মনে মনে ধরে নেন, সারাদিন গাধার মতো খাটা এ শ্রমিকরা সম্ভবত জীবনের প্রতি ত্যক্ত-বিরক্ত। জীবনের প্রতি কোনো মমতা বোধ নেই তাদের। সে কারণেই হয়তো এমন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসে আছেন তারা। ফটোগ্রাফার চার্লস এমন একটি দৃশ্য মিস করতে চাইলেন না। সবচেয়ে ভালো অ্যাঙ্গেলে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের ছবি তুলে ফেললেন তিনি।
কিছুদিন পর ২ অক্টোবর নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকায় ছবিটি ছাপা হয় এবং পাঠকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াতে থাকে ছবিটি। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করে বলছেন, 'ছবিটি হঠাৎ করে তোলা হয়নি। এটা আসলে সাজানো ছবি। আরসিএ ভবনের প্রচারের জন্য ফটোগ্রাফার চার্লস শ্রমিকদের নিজের মতো করে সাজিয়ে ছবিটি তুলেছেন। শ্রমিকরা মোটেই নিরাপত্তাহীন ছিলেন না। তাদের সূক্ষ্মভাবে গার্ডারের সঙ্গে আটকে রাখা হয়েছিল।' সমালোচকদের এ দাবির যৌক্তিকতা আরও বাড়িয়ে দেয়, যখন ফটোগ্রাফার চার্লস অনেকটা একই ধরনের ছবি 'মেন অ্যাস্লিপ অন এ গার্ডার' (গবহ অংষববঢ় ড়হ ধ এরৎফবৎ) প্রকাশ করেন। সেখানে চারজন নির্মাণ শ্রমিককে একই গার্ডারের ওপর শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে ঘটনা যাই হোক, ছবিটিকে গত শতাব্দীর অন্যতম সেরা ছবি হিসেবে মেনে নিতে বেশিরভাগ ফটোগ্রাফার কুণ্ঠাবোধ করেন না।
No comments