টুকরো খবর by তালুকদারের
রাঙামাটি অফিস
যে কোনো এক প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোট কারচুপির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার (হাতি)। বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহরের বিজন সরণির নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উষাতন তালুকদার এ আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান এজেন্ট উদয়ন ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। উষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন জেলার বিভিন্ন স্থানে তার (হাতি) সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এমনকি নিরাপত্তাহীনতার কারণে নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলার কয়েকটি স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেননি।
নির্বাচনে ভোটাররা যাতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য রাঙামাটি আসনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তিনি দাবি জানান।
মৌলভীবাজার-২ :৭২
ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ আংশিক) আসনে ১২২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭২টিই ঝুঁকিপূর্ণ। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মৌলভীবাজার-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার। ১২২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কুলাউড়া উপজেলায় ৯৩টি ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ২৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ।
এর মধ্যে ২২টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ। আরও জানা যায়, জাপা থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খান, বিএনপির সাবেক এমপি এমএম শাহীন ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা, কাদিপুর ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কঠিন হতে পারে। কেননা, এরা সবাই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান করছেন।
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আ'লীগ
শিবিরে নেই উচ্ছ্বাস
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে প্রার্থীরা হচ্ছেন_ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিল্পপতি আবদুল মজিদ মণ্ডল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি আতাউর রহমান রতন (দোয়াত-কলম), জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত ডা. আবু বক্কার সিদ্দিক (লাঙ্গল) ও জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু) প্রার্থী আবুল হাসনাত গোফরান (বাইসাইকেল)। সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দিয়ে নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আবদুল মজিদ মণ্ডলকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই দ্বিধাবিভক্ত। মজিদ মণ্ডলের পক্ষে জোরালোভাবে নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে না নামায় এলাকায় নেই সরগরম। নেই আওয়ামী লীগ শিবিরে উচ্ছ্বাস।
রাজশাহীর দুই আসনে
১৫৩ কেন্দ্র ঝুঁকিতে
রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে এবার ভোট গ্রহণ করা হবে দুটি আসনে। অন্য চারটি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোট হচ্ছে না। তবে দুই সংসদীয় আসনের ২১৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৫৩টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, কমিশনের তালিকায় থাকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৫৩টি কেন্দ্রের জন্য থাকছে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজশাহীর যে দুটি আসনে কাল ভোট গ্রহণ করা হবে, সেগুলো হলো রাজশাহী-৩ ও রাজশাহী-৬। রাজশাহী-৩ (মোহনপুর-পবা) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৮টি। এর মধ্যে মোহনপুর উপজেলার ৩৮টি ও পবা উপজেলার ৩৫টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণের তালিকায় রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৯৯টি। এর মধ্যে চারঘাট উপজেলায় ৫০টি ও বাঘা উপজেলায় ৪৯টি। এর মধ্যে চারঘাটের ৩৭টি ও বাঘার ৪২টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
দুই নতুন মুখের
লড়াই
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় লড়াই হবে একেবারেই নতুন দুই নারী-পুরুষের মধ্যে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইচকে সাদেকের সহধর্মিণী ইসমত আরা সাদেক জীবনে প্রথম কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
তার সঙ্গে টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আরেক নতুন প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত ঠিকাদারি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস।
নৌকা প্রতীকের পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মিলন মিত্র বলেন, তাদের দলীয় প্রার্থী ইসমত আরা সাদেক ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের সব এলাকা গণসংযোগ শেষ করেছেন। উপজেলা বিএনএফের আহ্বায়ক আয়ুব হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হলে টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হবে বলে তারা আশাবাদী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী পাল্টে দিয়েছেন ভোটের হিসাব
সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ভোটের হিসাব পাল্টে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি। এই আসনের অপর দুই প্রার্থী হলেন ১৪ দল ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার এবং জেপির ফজলে করিম আহম্মেদ পল্লব। দলীয় দুই প্রার্থীর তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর অবিরাম প্রচারণায় এখন মুখর এ আসনের শহর বন্দর গ্রাম।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। তাকেই আবার দলে ফিরিয়ে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ৗ ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে বিভক্তি শুরু হয়েছে। তাই জনসংযোগে সবাইকে পাচ্ছে না নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছেন।
শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের ধারণা, জনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদিই এ আসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। অন্য কারও বিজয়ী হতে হলে তাকেই পরাজিত করতে হবে।
যে কোনো এক প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোট কারচুপির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার (হাতি)। বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহরের বিজন সরণির নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উষাতন তালুকদার এ আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান এজেন্ট উদয়ন ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। উষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন জেলার বিভিন্ন স্থানে তার (হাতি) সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এমনকি নিরাপত্তাহীনতার কারণে নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলার কয়েকটি স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেননি।
নির্বাচনে ভোটাররা যাতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য রাঙামাটি আসনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তিনি দাবি জানান।
মৌলভীবাজার-২ :৭২
ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ আংশিক) আসনে ১২২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭২টিই ঝুঁকিপূর্ণ। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মৌলভীবাজার-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার। ১২২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কুলাউড়া উপজেলায় ৯৩টি ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ২৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ।
এর মধ্যে ২২টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ। আরও জানা যায়, জাপা থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খান, বিএনপির সাবেক এমপি এমএম শাহীন ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা, কাদিপুর ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কঠিন হতে পারে। কেননা, এরা সবাই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান করছেন।
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আ'লীগ
শিবিরে নেই উচ্ছ্বাস
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে প্রার্থীরা হচ্ছেন_ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিল্পপতি আবদুল মজিদ মণ্ডল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি আতাউর রহমান রতন (দোয়াত-কলম), জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত ডা. আবু বক্কার সিদ্দিক (লাঙ্গল) ও জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু) প্রার্থী আবুল হাসনাত গোফরান (বাইসাইকেল)। সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দিয়ে নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আবদুল মজিদ মণ্ডলকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই দ্বিধাবিভক্ত। মজিদ মণ্ডলের পক্ষে জোরালোভাবে নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে না নামায় এলাকায় নেই সরগরম। নেই আওয়ামী লীগ শিবিরে উচ্ছ্বাস।
রাজশাহীর দুই আসনে
১৫৩ কেন্দ্র ঝুঁকিতে
রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে এবার ভোট গ্রহণ করা হবে দুটি আসনে। অন্য চারটি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোট হচ্ছে না। তবে দুই সংসদীয় আসনের ২১৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৫৩টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, কমিশনের তালিকায় থাকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৫৩টি কেন্দ্রের জন্য থাকছে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজশাহীর যে দুটি আসনে কাল ভোট গ্রহণ করা হবে, সেগুলো হলো রাজশাহী-৩ ও রাজশাহী-৬। রাজশাহী-৩ (মোহনপুর-পবা) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৮টি। এর মধ্যে মোহনপুর উপজেলার ৩৮টি ও পবা উপজেলার ৩৫টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণের তালিকায় রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৯৯টি। এর মধ্যে চারঘাট উপজেলায় ৫০টি ও বাঘা উপজেলায় ৪৯টি। এর মধ্যে চারঘাটের ৩৭টি ও বাঘার ৪২টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
দুই নতুন মুখের
লড়াই
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় লড়াই হবে একেবারেই নতুন দুই নারী-পুরুষের মধ্যে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইচকে সাদেকের সহধর্মিণী ইসমত আরা সাদেক জীবনে প্রথম কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
তার সঙ্গে টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আরেক নতুন প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত ঠিকাদারি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস।
নৌকা প্রতীকের পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মিলন মিত্র বলেন, তাদের দলীয় প্রার্থী ইসমত আরা সাদেক ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের সব এলাকা গণসংযোগ শেষ করেছেন। উপজেলা বিএনএফের আহ্বায়ক আয়ুব হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হলে টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হবে বলে তারা আশাবাদী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী পাল্টে দিয়েছেন ভোটের হিসাব
সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ভোটের হিসাব পাল্টে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি। এই আসনের অপর দুই প্রার্থী হলেন ১৪ দল ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার এবং জেপির ফজলে করিম আহম্মেদ পল্লব। দলীয় দুই প্রার্থীর তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর অবিরাম প্রচারণায় এখন মুখর এ আসনের শহর বন্দর গ্রাম।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। তাকেই আবার দলে ফিরিয়ে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ৗ ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে বিভক্তি শুরু হয়েছে। তাই জনসংযোগে সবাইকে পাচ্ছে না নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছেন।
শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের ধারণা, জনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদিই এ আসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। অন্য কারও বিজয়ী হতে হলে তাকেই পরাজিত করতে হবে।
No comments