মাঠের বাইরে অন্য মেসি
লিওনেল
মেসি। এই সময়ের বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকার নাম। খেলার মাঠে মুগ্ধ হয়ে
তার পায়ের জাদু দেখেন বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক। কিন্তু মাঠের বাইরে কেমন
জীবন কাটান ফুটবলের এই জাদুকর? জানাচ্ছেন শর্মিলা কুণ্ডু ফুটবল_ ৯০ মিনিটের
এই খেলাটির প্রতিটি মিনিটই টানটান উত্তেজনায় ভরপুর। তাই দর্শকদের কাছে
খেলাটি বরাবরই দারুণ প্রিয়। আর সেই উত্তেজনা ছাড়িয়ে অনেকের কাছে আরও বেশি
প্রিয় আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসি। ফুটবলের জনপ্রিয়তা মেসি
যেন একাই বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েক গুণ। সাদামাটা বলটি তার পায়ের স্পর্শ পেলেই
কেমন যেন শিল্প হয়ে ওঠে। তার স্পর্শে ধন্য হয়ে চোখের পলকে সেটি ঢুকে পড়ে
প্রতিপক্ষ দলের একেবারে গোল পোস্টের ভেতরে। মেসির বাবার নাম হোর্হে। ফুটবল
কোচ হিসেবে কাজ করাটাই ছিল প্রথম আনন্দ। কিন্তু শখের এই কাজ দিয়ে জীবনধারণ
করা সম্ভব হয়নি হোর্হের। সামান্য আয়ে সম্ভব ছিল না পরিবারের চাহিদা পূরণ
করা। জীবনধারণ করতে তাই কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়েছে হোর্হেকে।
মেসির মাকেও এক সময় খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নকর্মীর কাজ করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে
শৈশবে বেশ কষ্টেই জীবনধারণ করতে হয়েছে মেসিকে। শুধু তাই নয়, ১১ বছর বয়সে
মেসির গ্রোথ হরমোনের ঘাটতিজনিত অসুখও ধরা পড়েছিল। মাসে ৯০০ ডলারের
ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ মেটানো সম্ভব ছিল না মেসির পরিবারের পক্ষে। ধীরে
ধীরে সেই সমস্যা কাটিয়ে এক সময় বিশ্বব্যাপী সবার ভালোবাসার মানুষে পরিণত
হয়েছেন মেসি। লিওনেল মেসির ডাকনাম দি ফ্লিউ। আর তার প্রিয় ভালো লাগার গান
সাম্বা ও কুম্বি। শুধু মেসিই নন, তার দুই ভাইও একইভাবে বিখ্যাত বটে। অবশ্য
তার আপন ভাই নন, খালাতো ভাই। ম্যাক্সি ও এমানুয়েল বিয়ানকুচ্চি। নিউয়েলস
ওল্ড বয়েজ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এমানুয়েল এখন খেলেন প্যারাগুয়ের ক্লাব
অলিম্পিয়াতে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ভিতোরিয়ার হয়ে খেলেন ম্যাক্সি।
টাকা তো আর কেউ কম আয় করেন না, কিন্তু ক'জনই বা পারেন সেই টাকা দান করার মানসিকতা রাখতে। মেসি একজন দানশীলও বটে। একবার এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল মেসির দল। তার মধ্যে দুটো গোল ছিল মেসির। দুটো গোলের পরই জার্সির নিচের টি-শার্টটি উঁচিয়ে ধরে উদযাপন করেছিলেন মেসি। যেখানে লেখা ছিল, 'ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম'। অটিজমের জন্য দায়ী এই অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেক প্রতিষ্ঠান। মেসি আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকেন এসব প্রতিষ্ঠানকে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তিনি গঠন করেছেন লিও মেসি ফাউন্ডেশন। নিজের পুরো আয়ের একটা বড় অংশ মেসি দান করেন এসব দাতব্য কাজে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কেবল ফুটবলে লাথি দেওয়ার মতো পা-ই নয়_ মানুষকে ভালোবাসার মতো একটি বড় হৃদয়ও আছে লিওনেল মেসির।
টাকা তো আর কেউ কম আয় করেন না, কিন্তু ক'জনই বা পারেন সেই টাকা দান করার মানসিকতা রাখতে। মেসি একজন দানশীলও বটে। একবার এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল মেসির দল। তার মধ্যে দুটো গোল ছিল মেসির। দুটো গোলের পরই জার্সির নিচের টি-শার্টটি উঁচিয়ে ধরে উদযাপন করেছিলেন মেসি। যেখানে লেখা ছিল, 'ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম'। অটিজমের জন্য দায়ী এই অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেক প্রতিষ্ঠান। মেসি আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকেন এসব প্রতিষ্ঠানকে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তিনি গঠন করেছেন লিও মেসি ফাউন্ডেশন। নিজের পুরো আয়ের একটা বড় অংশ মেসি দান করেন এসব দাতব্য কাজে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কেবল ফুটবলে লাথি দেওয়ার মতো পা-ই নয়_ মানুষকে ভালোবাসার মতো একটি বড় হৃদয়ও আছে লিওনেল মেসির।
No comments