ভয়ঙ্কর ৭ নারী
কোমল
হৃদয়ের অধিকারী হিসেবে নারীদের মনে করা হলেও পৃথিবীতে এমন নারীও আছে, যারা
তাদের ভয়ানক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাসে হৃদয়হীন নারী হিসেবে
নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ইতিহাসের এমন সাত ভয়ঙ্কর নারীর কথা জানাচ্ছেন মেহেরুন নেছা রুমা
এলিজাবেথ বাখোরি
১৫৬০ সালে জন্মগ্রহণ করে এই নারী। বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের অন্যতম এলিজাবেথ বাখোরি। বিয়ের কিছুদিন পর তার স্বামী ফেরেন্স নাডাসডি হাঙ্গেরির সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়ে যুদ্ধে চলে যান। স্বামী চলে যাওয়ার পর পরিবার এবং ব্যবসার সবকিছুই দেখাশোনা করত এই নারী। এলিজাবেথ চড়া বেতনে কিশোরী মেয়েদের বাড়ির চাকরানী হিসেবে রাখত। কিন্তু ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, সেই বাড়ির ভেতরে যে একবার যেত সে আর ফিরে আসত না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, এলিজাবেথ নিজের ত্বক ভালো রাখার জন্য কুমারী মেয়েদের রক্ত দিয়ে স্নান করত। স্নানের আগে মেয়েদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলত। মেয়েদের আর্তচিৎকার সে উপভোগ করত। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলে এভাবে মানুষ হত্যা। পরে ব্যাপারটা রাজা মাথিয়াস জানতে পারেন এবং মৃত, অর্ধমৃত অনেক মেয়েকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। জীবিতদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যায়। এভাবে এলিজাবেথ প্রায় ৬৪০ জন কুমারী মেয়ের রক্ত দিয়ে নিজের ত্বক ভালো রাখতে স্নান করে। চার বছর জেলে থাকার পর মৃত্যুবরণ করে এলিজাবেথ বাখোরি।
ক্যাথরিন নাইট
১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করে ক্যাথরিন নাইট। সে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নারী, যাকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে তখনকার দিনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল না। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ক্যাথরিন তার স্বামীর সব দাঁত উপড়ে ফেলে। এরপর সে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একদিন ঝগড়া হলে ওই ব্যক্তিকে ৩৭ বার ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে ক্যাথরিন। শুধু তাই নয়, এরপর সে ওই মৃত ব্যক্তির চামড়া ছাড়িয়ে তা নিজের বেডরুমের দরজার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে স্যুপ রান্না করে নিজের সন্তানদের জন্য রেখে বাইরে চলে যায়। পরে পুলিশ এসে ওই ছিন্ন-ভিন্ন মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
ইরমা গ্গ্নেস
এই নারীর জন্ম ১৯২৩ সালে। হিটলারের রাভেন্স ব্রুক ক্যাম্পের সুপারভাইজার ছিল ইরমা। এরপর বদলি হয়ে আউসুটয় ক্যাম্পে আসে। সেখানে সে ৩০ হাজার ইহুদি নারী বন্দির দায়িত্ব পায়। ইরমার কাজ ছিল তার পোষা কুকুর দিয়ে নারী হত্যা, বিকৃত যৌনাচার, নারীদের লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করার প্র্যাকটিস, কথা না শুনলে গ্যাস চেম্বারে প্রেরণ। তার এ রকম হত্যাযজ্ঞের কারণে 'বিচ অব বেলসেন' নামে পরিচিতি পায় ইরমা গ্গ্নেস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ইস কচ
ইস কচের জন্ম ১৯০৬ সালে। বুচেনওয়ার্ল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের সুপারভাইজার ছিল সে। সেখানে বন্দিদের মধ্যে যার শরীরে ট্যাটু আঁকা থাকত তাদের এবং যাদের শরীরের চামড়া সুন্দর তাদের আলাদা করে রাখা হতো। যেসব বন্দির শরীরে ট্যাটু ছিল তাদের খুন করে ট্যাটুটি চামড়াসহ সংরক্ষণ করে রাখা হতো। একই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গও আলাদা করে সংরক্ষণ করা হতো। ইস কচের সবচেয়ে প্রিয় শখ ছিল সুন্দর চামড়াওয়ালাদের খুন করে তাদের চামড়া দিয়ে কুশন কভার, সাইড ল্যাম্প এসব শৌখিন জিনিস তৈরি করে সাজিয়ে রাখা। ১৯৪৭ সালের ৩০ জুন তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মেরি এন কটন
১৮৩২ সালে জন্মগ্রহণ করে এই নারী। সে তার দুই স্বামী, বয়ফ্রেন্ড, ১২টি সন্তানসহ প্রায় ২১ জনকে আর্সেনিক বিষ খাইয়ে হত্যা করে। আর এ কাজের জন্য ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর নারী হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করে মেরি এন কটন। তার এমন জঘন্য কর্মের জন্য ১৮৭৩ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মেরি এন কটন ইংল্যান্ডের ডারহামের বাসিন্দা ছিল।
বেলে গুনেস
১৮৫৯ সালে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে জন্ম হয় বেলে গুনেসের। তার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট এবং ওজন ছিল ৯৫ কেজি। মেরি এন কটনের মতো বেলে গুনেসও তার একাধিক স্বামী, বয়ফ্রেন্ড, সন্তান এবং আরও অনেক ব্যক্তিকে খুন করে। কারও কারও মতে, সে শতাধিক ব্যক্তিকে খুন করে। লোকমুখে প্রচলিত ছিল, তার ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা ছিল এবং যেসব ব্যক্তিকে খুন করা হতো সে তাদের টাকা ও সম্পদ লুফে নেওয়ার জন্যই তাদের খুন করত। তার মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বিভারলি এলিট
১৯৬৮ সালে এই নারীর জন্ম। ব্রিটেনের সবচেয়ে পরিচিত কিলারদের মধ্যে বিভারলি এলিট অন্যতম। পেশায় সে একজন নার্স। বিভারলি চারটি শিশুকে হত্যা করে, পাঁচটি শিশুকে ভয়াবহভাবে আহত করে এবং ১৩টি শিশুকে ৫৮ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করে। নার্স হওয়ার সুবিধায় সে খুব সহজেই এসব শিশুকে হত্যা করত। তবে ঠিক কী কারণে বিভারলি শিশুদের হত্যা করত তার কারণ কখনও জানা যায়নি।
এলিজাবেথ বাখোরি
১৫৬০ সালে জন্মগ্রহণ করে এই নারী। বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের অন্যতম এলিজাবেথ বাখোরি। বিয়ের কিছুদিন পর তার স্বামী ফেরেন্স নাডাসডি হাঙ্গেরির সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়ে যুদ্ধে চলে যান। স্বামী চলে যাওয়ার পর পরিবার এবং ব্যবসার সবকিছুই দেখাশোনা করত এই নারী। এলিজাবেথ চড়া বেতনে কিশোরী মেয়েদের বাড়ির চাকরানী হিসেবে রাখত। কিন্তু ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, সেই বাড়ির ভেতরে যে একবার যেত সে আর ফিরে আসত না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, এলিজাবেথ নিজের ত্বক ভালো রাখার জন্য কুমারী মেয়েদের রক্ত দিয়ে স্নান করত। স্নানের আগে মেয়েদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলত। মেয়েদের আর্তচিৎকার সে উপভোগ করত। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলে এভাবে মানুষ হত্যা। পরে ব্যাপারটা রাজা মাথিয়াস জানতে পারেন এবং মৃত, অর্ধমৃত অনেক মেয়েকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। জীবিতদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যায়। এভাবে এলিজাবেথ প্রায় ৬৪০ জন কুমারী মেয়ের রক্ত দিয়ে নিজের ত্বক ভালো রাখতে স্নান করে। চার বছর জেলে থাকার পর মৃত্যুবরণ করে এলিজাবেথ বাখোরি।
ক্যাথরিন নাইট
১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করে ক্যাথরিন নাইট। সে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নারী, যাকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে তখনকার দিনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল না। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ক্যাথরিন তার স্বামীর সব দাঁত উপড়ে ফেলে। এরপর সে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একদিন ঝগড়া হলে ওই ব্যক্তিকে ৩৭ বার ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে ক্যাথরিন। শুধু তাই নয়, এরপর সে ওই মৃত ব্যক্তির চামড়া ছাড়িয়ে তা নিজের বেডরুমের দরজার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে স্যুপ রান্না করে নিজের সন্তানদের জন্য রেখে বাইরে চলে যায়। পরে পুলিশ এসে ওই ছিন্ন-ভিন্ন মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
ইরমা গ্গ্নেস
এই নারীর জন্ম ১৯২৩ সালে। হিটলারের রাভেন্স ব্রুক ক্যাম্পের সুপারভাইজার ছিল ইরমা। এরপর বদলি হয়ে আউসুটয় ক্যাম্পে আসে। সেখানে সে ৩০ হাজার ইহুদি নারী বন্দির দায়িত্ব পায়। ইরমার কাজ ছিল তার পোষা কুকুর দিয়ে নারী হত্যা, বিকৃত যৌনাচার, নারীদের লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করার প্র্যাকটিস, কথা না শুনলে গ্যাস চেম্বারে প্রেরণ। তার এ রকম হত্যাযজ্ঞের কারণে 'বিচ অব বেলসেন' নামে পরিচিতি পায় ইরমা গ্গ্নেস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ইস কচ
ইস কচের জন্ম ১৯০৬ সালে। বুচেনওয়ার্ল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের সুপারভাইজার ছিল সে। সেখানে বন্দিদের মধ্যে যার শরীরে ট্যাটু আঁকা থাকত তাদের এবং যাদের শরীরের চামড়া সুন্দর তাদের আলাদা করে রাখা হতো। যেসব বন্দির শরীরে ট্যাটু ছিল তাদের খুন করে ট্যাটুটি চামড়াসহ সংরক্ষণ করে রাখা হতো। একই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গও আলাদা করে সংরক্ষণ করা হতো। ইস কচের সবচেয়ে প্রিয় শখ ছিল সুন্দর চামড়াওয়ালাদের খুন করে তাদের চামড়া দিয়ে কুশন কভার, সাইড ল্যাম্প এসব শৌখিন জিনিস তৈরি করে সাজিয়ে রাখা। ১৯৪৭ সালের ৩০ জুন তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মেরি এন কটন
১৮৩২ সালে জন্মগ্রহণ করে এই নারী। সে তার দুই স্বামী, বয়ফ্রেন্ড, ১২টি সন্তানসহ প্রায় ২১ জনকে আর্সেনিক বিষ খাইয়ে হত্যা করে। আর এ কাজের জন্য ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর নারী হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করে মেরি এন কটন। তার এমন জঘন্য কর্মের জন্য ১৮৭৩ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মেরি এন কটন ইংল্যান্ডের ডারহামের বাসিন্দা ছিল।
বেলে গুনেস
১৮৫৯ সালে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে জন্ম হয় বেলে গুনেসের। তার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট এবং ওজন ছিল ৯৫ কেজি। মেরি এন কটনের মতো বেলে গুনেসও তার একাধিক স্বামী, বয়ফ্রেন্ড, সন্তান এবং আরও অনেক ব্যক্তিকে খুন করে। কারও কারও মতে, সে শতাধিক ব্যক্তিকে খুন করে। লোকমুখে প্রচলিত ছিল, তার ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা ছিল এবং যেসব ব্যক্তিকে খুন করা হতো সে তাদের টাকা ও সম্পদ লুফে নেওয়ার জন্যই তাদের খুন করত। তার মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বিভারলি এলিট
১৯৬৮ সালে এই নারীর জন্ম। ব্রিটেনের সবচেয়ে পরিচিত কিলারদের মধ্যে বিভারলি এলিট অন্যতম। পেশায় সে একজন নার্স। বিভারলি চারটি শিশুকে হত্যা করে, পাঁচটি শিশুকে ভয়াবহভাবে আহত করে এবং ১৩টি শিশুকে ৫৮ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করে। নার্স হওয়ার সুবিধায় সে খুব সহজেই এসব শিশুকে হত্যা করত। তবে ঠিক কী কারণে বিভারলি শিশুদের হত্যা করত তার কারণ কখনও জানা যায়নি।
No comments