মার্কিন দূতাবাস বন্ধের হুমকি দিল বলিভিয়া
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস সে
দেশের মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার
বলিভিয়ায় লাতিন আমেরিকার পাঁচটি দেশের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে তিনি এই
হুমকি দেন। মোরালেস গত মঙ্গলবার রাশিয়া থেকে ফেরার পথে স্পেন, ইতালি,
ফ্রান্স ও পর্তুগাল তাঁকে বহনকারী বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারে বাধা দেয়।
বলিভিয়ার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশেই তা করা হয়েছে। বাধাদানকারী
দেশগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী মার্কিন নাগরিক
এডওয়ার্ড স্নোডেন ওই বিমানে আছেন সন্দেহে বাধা দেওয়া হয়। তবে মোরালেসের
বিমানে স্নোডেন ছিলেন না। আকাশসীমা ব্যবহারে বাধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে
আলোচনা করতে এবং মোরালেসের প্রতি সমর্থন জানাতে গত বৃহস্পতিবার বলিভিয়ার
কোচাবাম্বা শহরে বৈঠকে অংশ নেন আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা,
ইকুয়েডর ও সুরিনামের প্রেসিডেন্টরা। বৈঠকে মোরালেস অভিযোগ করেন,
ওয়াশিংটনের নির্দেশে ইউরোপীয় দেশগুলো তাঁর বিমানকে বাধা দেয়। তিনি
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘প্রয়োজন হলে বলিভিয়ায় মার্কিন
দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের
মর্যাদা আছে, সার্বভৌমত্ব আছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই আমরা রাজনৈতিক ও
অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো আছি। তাই মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করতে আমার হাত
কাঁপবে না।’ বৈঠক শুরুর আগে এক সমাবেশে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা
মাদুরো বলেন, ‘ইউরোপের একটি দেশের মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, মার্কিন
গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের নিদের্শেই তাঁরা প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিমানকে
তাঁদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেননি।’ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল
কোরেয়া বলেন, ‘ভেবে দেখুন ইউরোপের কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কী হতো। একে
যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখা হতো।’ এদিকে স্পেন বলেছে, তারা বলিভিয়ার কাছে
দুঃখ প্রকাশের কোনো কারণ দেখছে না। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে
ম্যানুয়েল গার্সিয়া-মার্গালো এক টিভি সাক্ষাত্কারে বলেন, বলিভিয়ার
প্রেসিডেন্টের বিমান যখন আসে, তখন আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতির মেয়াদ
ছিলনা। এএফপি।
No comments