পটুয়াখালীতে অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ার আউশে ব্যাপক ক্ষতি আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক
জোয়ারে পটুয়াখালীতে চলতি বছর আউশ ফসল আবাদের ২৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমি
অনাবাদি ছিল। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকেরা।
আমন চাষ করে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাঁরা বীজতলা তৈরি শুরু করলেও অতিবৃষ্টি
ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে অনেক বীজতলা। তা ছাড়া পানি না
নামায় অনেকে আমনের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আমন আবাদ নিয়ে
দুচিন্তায় পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকেরা।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মহাসেনের ছোবল, এরপর অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ফসলি খেত। আবার অনেক স্থানে বাঁধ না থাকায় ফসলি জমি ডুবে চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে আউশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রব্বানী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ঋতু পরিবর্তন ঘটছে। ফসল উৎপাদনের সঙ্গে রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা ও জোয়ার-ভাটার পানি—সবকিছুই জড়িত। কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্যের প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনের ওপর।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, এখন যেভাবে অতিজোয়ার ও অতিবৃষ্টি হচ্ছে, তাতে অনেক এলাকায় আমনের বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন প্রয়োজন বীজতলা তৈরি ও যথাসময়ে চারা রোপণ করা। যত দেরি হবে, ততই ফসল উৎপাদন কম হবে বলে মনে করছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ৫৮ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু আবাদ হয়েছিল ৩২ হাজার ৭৭৬ হেক্টর। এ কারণে জেলায় ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ফুলতলার কৃষক মোসলেম ফকির জানান, আমনের বীজতলার জন্য দুই মণ ধান পানিতে ভিজিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে এলাকার অধিকাংশ ফসলি জমি ডুবে গেছে। পানি না নামায় খেতে হাল দিতে পারছেন না। এখন কীভাবে বীজতলা করবেন, সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। জেলায় সাধারণত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকের প্রধান ফসল আমন। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই জেলার নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানিতে আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন বীজতলা পানিতে ডুবে থাকলে তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, আবহাওয়াজনিত কারণে প্রয়োজনের সময় যেমন বৃষ্টিপাত কম হয়, আবার অনেক সময় অতিবৃষ্টিও হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মহাসেনের ছোবল, এরপর অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ফসলি খেত। আবার অনেক স্থানে বাঁধ না থাকায় ফসলি জমি ডুবে চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে আউশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রব্বানী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ঋতু পরিবর্তন ঘটছে। ফসল উৎপাদনের সঙ্গে রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা ও জোয়ার-ভাটার পানি—সবকিছুই জড়িত। কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্যের প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনের ওপর।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, এখন যেভাবে অতিজোয়ার ও অতিবৃষ্টি হচ্ছে, তাতে অনেক এলাকায় আমনের বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন প্রয়োজন বীজতলা তৈরি ও যথাসময়ে চারা রোপণ করা। যত দেরি হবে, ততই ফসল উৎপাদন কম হবে বলে মনে করছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ৫৮ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু আবাদ হয়েছিল ৩২ হাজার ৭৭৬ হেক্টর। এ কারণে জেলায় ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ফুলতলার কৃষক মোসলেম ফকির জানান, আমনের বীজতলার জন্য দুই মণ ধান পানিতে ভিজিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে এলাকার অধিকাংশ ফসলি জমি ডুবে গেছে। পানি না নামায় খেতে হাল দিতে পারছেন না। এখন কীভাবে বীজতলা করবেন, সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। জেলায় সাধারণত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকের প্রধান ফসল আমন। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই জেলার নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানিতে আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন বীজতলা পানিতে ডুবে থাকলে তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, আবহাওয়াজনিত কারণে প্রয়োজনের সময় যেমন বৃষ্টিপাত কম হয়, আবার অনেক সময় অতিবৃষ্টিও হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে।
No comments