কা র্য কা র ণ ক্যামেরার ফ্ল্যাশ কি বিদ্যুৎ টেনে আনে? by আব্দুল কাইয়ুম
প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক জাহিদুল করিম
(সেলিম) গত ২৬ জুন গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচার মিছিলের ছবি তুলতে গিয়ে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁর মুখ, হাত-পা ঝলসে যায়। একটি ভবনের ছাদ থেকে তিনি
ছবি তুলছিলেন।
পাশেই ছিল ৩৩ কিলো ভোল্টের সরবরাহ লাইন।
ছবি তোলার সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে
ক্যামেরার কারণে কিছু হয়নি। ফ্ল্যাশগানের আলোর পথ ধরে বিদ্যুৎ চলাচল করতে
পারে না। ছবি তোলার সময় উঁচু ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুব কাছে চলে
যাওয়ায় তিনি তড়িতাহত হয়েছেন। যেমন মেঘে সঞ্চিত স্থির বিদ্যুতের পরিমাণ খুব
বেড়ে গেলে বাজ পড়ে, অর্থাৎ মাঝখানের অপরিবাহী বাতাসের বাধা ভেদ করে বিদ্যুৎ
নিচে নেমে আসে। জাহিদুলের ক্ষেত্রেও অনেকটা সে রকম হয়েছে। কিন্তু
স্বাভাবিক অবস্থায় ভবনটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় না, কারণ সরবরাহ লাইন থেকে এর
দূরত্ব একটু বেশি। তা ছাড়া সেদিন বৃষ্টি ছিল। ভেজা বাতাস কিছুটা বিদ্যুৎ
পরিবাহী। জাহিদুলের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার এটিও একটি বাড়তি কারণ হতে পারে।
No comments