জয়পুরহাট চারু ও কারুকলার শিক্ষক নেই জেএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে
জয়পুরহাটে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ না করেই ওই
বিষয়টিকে আবশ্যিক (বাধ্যতামূলক) হিসেবে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করায় জেলার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
চলতি
শিক্ষাবছরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ৫০ নম্বরে পরীক্ষা
দিতে হবে জেলার সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থীকে। এ অবস্থায় কোনো কোনো
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ক্লাস চালাচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় ও কয়েকটি বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ২০১৩ সাল থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চারু ও কারুকলাকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় চারুকলা বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় ১৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৪টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। জয়পুরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দিবা শাখায় একজন চারু ও কারুকলার শিক্ষক থাকলেও প্রভাতী শাখায় ওই বিষয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ওই শাখার শিক্ষার্থীরা পাঠ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। একই অবস্থা জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে। পাঁচবিবি এলবিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং পাঁচবিবি এনএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই।
জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা নাসরিন আখতার জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে প্রভাতী শাখায় চারু ও কারুকলার শিক্ষক না থাকায় তিনি ওই বিষয়ের শিক্ষক চেয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাজশাহী বরাবর আবেদন করেছেন।
জেলার কোনো বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নেই। শিক্ষকদের অভিযোগ, চারু ও কারুকলার মতো একটি জটিল বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা না হলেও চলতি বছর জেলার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে প্রথম ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পেলে জিপিএ-৫ পাবে না। জিপিএ-৫ না পেলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। এমনকি অনেক পরীক্ষার্থী ফেলও করতে পারে।
পাঁচবিবি এনএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী রিফাত আরা, ভাদসা উচ্চবিদ্যালয়ের আইভি রহমান জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলার শিক্ষক নেই। আগামী নভেম্বরে তারা জেএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা চিন্তিত।
কালেক্টরেট বালিকা বিদ্যা নিকেতনের জেএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার ও জান্নাতুন ফেরদৌস জানায়, তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি নিয়ে বাইরের একজন শিক্ষক দিয়ে তাদের চারু ও কারুকলার ক্লাস করানো হচ্ছে। শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন।
শহরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যেহেতু সাধারণ শিক্ষকদের চারু ও কারুকলা বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাই তাঁরা জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, জেলার দুটি সরকারি বিদ্যালয় ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ওই বিষয়ের শিক্ষক নেই। এ বছর প্রথম জেলার জেএসসি পরীক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সরকার দ্রুত ওই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় ও কয়েকটি বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ২০১৩ সাল থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চারু ও কারুকলাকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় চারুকলা বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় ১৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৪টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। জয়পুরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দিবা শাখায় একজন চারু ও কারুকলার শিক্ষক থাকলেও প্রভাতী শাখায় ওই বিষয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ওই শাখার শিক্ষার্থীরা পাঠ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। একই অবস্থা জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে। পাঁচবিবি এলবিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং পাঁচবিবি এনএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই।
জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা নাসরিন আখতার জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে প্রভাতী শাখায় চারু ও কারুকলার শিক্ষক না থাকায় তিনি ওই বিষয়ের শিক্ষক চেয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাজশাহী বরাবর আবেদন করেছেন।
জেলার কোনো বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নেই। শিক্ষকদের অভিযোগ, চারু ও কারুকলার মতো একটি জটিল বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা না হলেও চলতি বছর জেলার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে প্রথম ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পেলে জিপিএ-৫ পাবে না। জিপিএ-৫ না পেলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। এমনকি অনেক পরীক্ষার্থী ফেলও করতে পারে।
পাঁচবিবি এনএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী রিফাত আরা, ভাদসা উচ্চবিদ্যালয়ের আইভি রহমান জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলার শিক্ষক নেই। আগামী নভেম্বরে তারা জেএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা চিন্তিত।
কালেক্টরেট বালিকা বিদ্যা নিকেতনের জেএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার ও জান্নাতুন ফেরদৌস জানায়, তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি নিয়ে বাইরের একজন শিক্ষক দিয়ে তাদের চারু ও কারুকলার ক্লাস করানো হচ্ছে। শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন।
শহরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যেহেতু সাধারণ শিক্ষকদের চারু ও কারুকলা বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাই তাঁরা জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, জেলার দুটি সরকারি বিদ্যালয় ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ওই বিষয়ের শিক্ষক নেই। এ বছর প্রথম জেলার জেএসসি পরীক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সরকার দ্রুত ওই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী।
No comments