যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধের হুমকি বলিভিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার
হুমকি দিয়েছে বলিভিয়া। প্রেসিডেন্ট এবো মোরালেসের সঙ্গে ইউরোপের কয়েকটি
দেশের 'অশোভন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের' পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের
ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা।
লাতিন আমেরিকার
কয়েকটি দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকের পর মোরালেস
জানান, বলিভিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ করতে তাঁর হাত একটুও কাঁপবে
না। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ১৩ ঘণ্টা আটকে থাকার ঘটনাকে 'অপহরণের'
সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
গত সপ্তাহে রাশিয়ায় দুই দিনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে হয়রানির শিকার হন মোরালেস। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেন (৩০) মোরালেসের বিমানে আছেন, এই সন্দেহে তাঁকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল ও স্পেন। বিমানটিকে গত মঙ্গলবার রাতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জরুরি অবতরণে বাধ্য করা হয়। অস্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ বিমানে তল্লাশিও চালায়। বিমানে স্নোডেন নেই নিশ্চিত হয়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর মোরালেসকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে বিকল্প পথে গত বুধবার রাতে দেশে পৌঁছান মোরালেস। স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন, গত মঙ্গলবার এই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরেই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন মোরালেস।
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান লাতিন আমেরিকার নেতারা। গত বৃহস্পতিবার চার দেশের প্রেসিডেন্ট বলিভিয়ার কোচাবামবা শহরে মোরালেসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। ভেনিজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো, ইকুয়েডরের রাফায়েল কোরেয়া, উরুগুয়ের হোসে মুহিকা ও সুরিনামের দেসি বৌতেরসে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে মোরালেস অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই ইউরোপের দেশগুলো তাঁর সঙ্গে বৈরী আচরণ করেছে। তারা একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, 'বলিভিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রয়োজন নেই আমাদের। মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করতে আমার হাত কাঁপবে না। আমাদের আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে আমরা ভালো থাকব।' মোরালেসকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার ঘটনায় বলিভিয়ার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ফ্রান্স। এ ব্যাপারে মোরালেস বলেন, "কয়েকটি দেশের সরকার ঘটনাটিকে 'ভুল' উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু আসলে এটি ভুল ছিল না।"
বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও পর্তুগালের কাছে গত মঙ্গলবারের ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। ঘটনাটিকে পুরো লাতিন আমেরিকার অপমান বলে উল্লেখ করা হয়। রাফায়েল কোরেয়া বলেন, 'এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে ঘটলে এতক্ষণে যুদ্ধ বেঁধে যেত। তারা মনে করে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও ধ্বংসের অধিকার রয়েছে তাদের।' আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘে অভিযোগ করেছে বলিভিয়া। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনেও অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত সপ্তাহে রাশিয়ায় দুই দিনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে হয়রানির শিকার হন মোরালেস। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেন (৩০) মোরালেসের বিমানে আছেন, এই সন্দেহে তাঁকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল ও স্পেন। বিমানটিকে গত মঙ্গলবার রাতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জরুরি অবতরণে বাধ্য করা হয়। অস্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ বিমানে তল্লাশিও চালায়। বিমানে স্নোডেন নেই নিশ্চিত হয়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর মোরালেসকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে বিকল্প পথে গত বুধবার রাতে দেশে পৌঁছান মোরালেস। স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন, গত মঙ্গলবার এই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরেই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন মোরালেস।
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান লাতিন আমেরিকার নেতারা। গত বৃহস্পতিবার চার দেশের প্রেসিডেন্ট বলিভিয়ার কোচাবামবা শহরে মোরালেসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। ভেনিজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো, ইকুয়েডরের রাফায়েল কোরেয়া, উরুগুয়ের হোসে মুহিকা ও সুরিনামের দেসি বৌতেরসে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে মোরালেস অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই ইউরোপের দেশগুলো তাঁর সঙ্গে বৈরী আচরণ করেছে। তারা একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, 'বলিভিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রয়োজন নেই আমাদের। মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করতে আমার হাত কাঁপবে না। আমাদের আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে আমরা ভালো থাকব।' মোরালেসকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার ঘটনায় বলিভিয়ার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ফ্রান্স। এ ব্যাপারে মোরালেস বলেন, "কয়েকটি দেশের সরকার ঘটনাটিকে 'ভুল' উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু আসলে এটি ভুল ছিল না।"
বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও পর্তুগালের কাছে গত মঙ্গলবারের ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। ঘটনাটিকে পুরো লাতিন আমেরিকার অপমান বলে উল্লেখ করা হয়। রাফায়েল কোরেয়া বলেন, 'এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে ঘটলে এতক্ষণে যুদ্ধ বেঁধে যেত। তারা মনে করে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও ধ্বংসের অধিকার রয়েছে তাদের।' আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘে অভিযোগ করেছে বলিভিয়া। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনেও অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments