বিজিএমইএ সভাপতি বললেন-ষড়যন্ত্রের কারণেই স্থগিত হয়েছে
ষড়যন্ত্রের কারণে আমেরিকার বাজারে জিএসপি
স্থগিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন,
বাংলাদেশে গার্মেন্ট খাতকে ধ্বংস করে দেওয়া গেলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে
পড়বে। দেশ আবার পরাধীন হয়ে যাবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির
(ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল ডিআরইউ আয়োজিত 'মিট দ্য রিপোর্টার্স'
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম আরো
বলেন, আমেরিকার বাজারে জিএসপি সুবিধা স্থগিত হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাতে
একই পথে না হাঁটে তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ইউরোপে জিএসপি সুবিধা
বাতিল বা স্থগিত হলে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।
জিএসপি স্থগিতের পেছনে দেশীয় বা বিদেশি রাজনীতির সম্পর্ক আছে কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিফিন, পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা দেশে আগে কখনো ঘটেনি। আইসিডিডিআর,বি পরীক্ষা করে দেখেছে, ওই টিফিনে কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ ছিল না। এখন ভূত দেখে গার্মেন্ট থেকে কর্মীরা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা থাকবেই। কেউ চাইবে না বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। জিএসপি সুবিধা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কোনো কোনো দেশ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, আবার কোনো কোনো দেশ একে ইস্যু করে তাদের দেশে ব্যবসা নিয়ে যেতে চাইছে। আর এই প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়হীনতা। গার্মেন্ট শিল্পের অপরিকল্পিত বিকাশের কারণও এটি।
তৈরি পোশাক খাতে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৮০ শতাংশ রপ্তানিপণ্যের এই শিল্পকে রাজনীতিবিদরা যেন তাঁদের রাজনীতির হাতিয়ার না করেন। প্রতিযোগিতার এই যুগে গার্মেন্ট শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। তাজরীনের অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজার ধসের কারণে এরই মধ্যে এ শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জিএসপি স্থগিতকে ওভার রিঅ্যাক্ট আখ্যায়িত করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নিরাপদ কর্মপরিবেশের অজুহাত যুক্তি সংগত নয়। জিএসপি স্থগিতের এজেন্ডা হতে পারত বাবুল বা আমিনুল হত্যাকাণ্ড। কারণ কর্মপরিবেশের বিষয়টি এসেছে অনেক পরে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক এজেন্ডার কারণে এটা স্থগিত করা হয়েছে। কারণ প্রতিদিনই আমরা উন্নতির দিকে যাচ্ছি। ১০ বছর আগে আমরা নিয়োগপত্র, চিকিৎসাসেবা দিতাম না। কর্মীদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ আমাদের কর্মী সংকট রয়েছে। আমাদের সাহায্যের দরকার নেই, ব্যবসা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের বলা উচিত ছিল বাংলাদেশকে ৭৫০ মিলিয়ন শুল্ক মুক্ত করে দেওয়া হবে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির জন্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এই খাতকে উন্নত করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে হবে, রাজনৈতিক কটূক্তি বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন, আমি একটি কথা বলে পার পেয়ে যাব তাহলে ভুল করবেন। কারণ এর ফল তাঁকেও ভোগ করতে হবে। রেশমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁকে উদ্ধার করার সময় আমি টিভিতে দেখেছি সেখানে হাজার হাজার মানুষ ছিল। তাদের এবং দেশের এতগুলো মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে এত বড় একটি সাজানো বিষয় ঘটতে পারে তা আমি বিশ্বাস করি না। তাই বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। সংবাদ সম্মেলন শেষে ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন আতিকুল ইসলামের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
মজিনার বাসায় বিজিএমইএ সভাপতি
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনার বাসায় গতকাল সকালে প্রাতঃরাশ করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল আজিম ও সহ-সভাপতি রিয়াজ-বিন-মাহমুদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরহাদ আনোয়ার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরশাদ আজিমসহ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে ছিলেন। প্রাতঃরাশের পর মজিনা একটি রেস্তোরাঁর সামনে গাছের চারা রোপণ করেন। বাতিল হওয়া জিএসপি সুবিধা ফেরত, দেশের পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টের ত্রুটিগুলো শোধরাতে ?পারলে জিএসপির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ ছাড়া আগামী ৮ জুলাই জেনেভায় অনুষ্ঠেয় বিক্রয় প্রতিনিধিদের বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এর আগে ওয়াশিংটনে তৈরি পোশাক খাতের সম্মিলিত নিরাপত্তা নিয়ে ২৫ দেশের বায়ারদের সঙ্গে যে বৈঠক হয় সে বিষয়ও উঠে আসে মজিনার সঙ্গে আলাপে। ওই বৈঠকে সম্মিলিত নিরাপত্তা নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে সবাই একমত হন।
জিএসপি স্থগিতের পেছনে দেশীয় বা বিদেশি রাজনীতির সম্পর্ক আছে কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিফিন, পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা দেশে আগে কখনো ঘটেনি। আইসিডিডিআর,বি পরীক্ষা করে দেখেছে, ওই টিফিনে কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ ছিল না। এখন ভূত দেখে গার্মেন্ট থেকে কর্মীরা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা থাকবেই। কেউ চাইবে না বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। জিএসপি সুবিধা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কোনো কোনো দেশ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, আবার কোনো কোনো দেশ একে ইস্যু করে তাদের দেশে ব্যবসা নিয়ে যেতে চাইছে। আর এই প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়হীনতা। গার্মেন্ট শিল্পের অপরিকল্পিত বিকাশের কারণও এটি।
তৈরি পোশাক খাতে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৮০ শতাংশ রপ্তানিপণ্যের এই শিল্পকে রাজনীতিবিদরা যেন তাঁদের রাজনীতির হাতিয়ার না করেন। প্রতিযোগিতার এই যুগে গার্মেন্ট শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। তাজরীনের অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজার ধসের কারণে এরই মধ্যে এ শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জিএসপি স্থগিতকে ওভার রিঅ্যাক্ট আখ্যায়িত করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নিরাপদ কর্মপরিবেশের অজুহাত যুক্তি সংগত নয়। জিএসপি স্থগিতের এজেন্ডা হতে পারত বাবুল বা আমিনুল হত্যাকাণ্ড। কারণ কর্মপরিবেশের বিষয়টি এসেছে অনেক পরে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক এজেন্ডার কারণে এটা স্থগিত করা হয়েছে। কারণ প্রতিদিনই আমরা উন্নতির দিকে যাচ্ছি। ১০ বছর আগে আমরা নিয়োগপত্র, চিকিৎসাসেবা দিতাম না। কর্মীদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ আমাদের কর্মী সংকট রয়েছে। আমাদের সাহায্যের দরকার নেই, ব্যবসা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের বলা উচিত ছিল বাংলাদেশকে ৭৫০ মিলিয়ন শুল্ক মুক্ত করে দেওয়া হবে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির জন্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এই খাতকে উন্নত করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে হবে, রাজনৈতিক কটূক্তি বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন, আমি একটি কথা বলে পার পেয়ে যাব তাহলে ভুল করবেন। কারণ এর ফল তাঁকেও ভোগ করতে হবে। রেশমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁকে উদ্ধার করার সময় আমি টিভিতে দেখেছি সেখানে হাজার হাজার মানুষ ছিল। তাদের এবং দেশের এতগুলো মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে এত বড় একটি সাজানো বিষয় ঘটতে পারে তা আমি বিশ্বাস করি না। তাই বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। সংবাদ সম্মেলন শেষে ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন আতিকুল ইসলামের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
মজিনার বাসায় বিজিএমইএ সভাপতি
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনার বাসায় গতকাল সকালে প্রাতঃরাশ করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল আজিম ও সহ-সভাপতি রিয়াজ-বিন-মাহমুদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরহাদ আনোয়ার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরশাদ আজিমসহ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে ছিলেন। প্রাতঃরাশের পর মজিনা একটি রেস্তোরাঁর সামনে গাছের চারা রোপণ করেন। বাতিল হওয়া জিএসপি সুবিধা ফেরত, দেশের পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টের ত্রুটিগুলো শোধরাতে ?পারলে জিএসপির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ ছাড়া আগামী ৮ জুলাই জেনেভায় অনুষ্ঠেয় বিক্রয় প্রতিনিধিদের বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এর আগে ওয়াশিংটনে তৈরি পোশাক খাতের সম্মিলিত নিরাপত্তা নিয়ে ২৫ দেশের বায়ারদের সঙ্গে যে বৈঠক হয় সে বিষয়ও উঠে আসে মজিনার সঙ্গে আলাপে। ওই বৈঠকে সম্মিলিত নিরাপত্তা নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে সবাই একমত হন।
No comments