লন্ডনে সুলতানা কামাল আপসের রাজনীতির কারণে মৌলবাদীরা শক্তিশালী হয়েছে
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রধান সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে
বর্তমানে সুন্নি পুরুষ ছাড়া আর কেউই সম্পূর্ণ মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারেন
না।
তিনি বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে আপসের রাজনীতির
কারণে মৌলবাদীরা শক্তিশালী হয়েছে। এ কারণেই দেশে নারী ও ভিন্ন
ধর্মাবলম্বীরা সংবিধানে বর্ণিত সম-অধিকার থেকে বঞ্চিত।
গত বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ডেমোক্রেসি (আইসিডিবি) ও ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আইসিডিবি সভাপতি পিটার কাস্টার্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির এবং রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত সংগঠন সারভাইভারস ফান্ডের পরিচালক ডেভিড রাসেল।
সেমিনারে সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওই আদালতের সাক্ষী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনজীবীদের জেরার বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই বিচারকাজ আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে। তিনিসহ অন্য বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ না থাকাকে বিচারকাজ ৪২ বছর বিলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন।
রুয়ান্ডার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডেভিড রাসেল বলেন, তাঁরা মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে দেওয়ায় যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রুয়ান্ডার গণহত্যায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে ফিরিয়ে নিতে পেরেছে। ফলে তাঁরা অপরাধের দায় থেকে রেহাই পাননি।
রুয়ান্ডার গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হয়েছে, তার নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে রাসেল বলেন, গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলো ওই বিচারে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কারণ, তাতে ক্ষতিপূরণের কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। তবে রুয়ান্ডার বিচারের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ডেমোক্রেসি (আইসিডিবি) ও ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আইসিডিবি সভাপতি পিটার কাস্টার্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির এবং রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত সংগঠন সারভাইভারস ফান্ডের পরিচালক ডেভিড রাসেল।
সেমিনারে সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওই আদালতের সাক্ষী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনজীবীদের জেরার বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই বিচারকাজ আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে। তিনিসহ অন্য বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ না থাকাকে বিচারকাজ ৪২ বছর বিলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন।
রুয়ান্ডার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডেভিড রাসেল বলেন, তাঁরা মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে দেওয়ায় যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রুয়ান্ডার গণহত্যায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে ফিরিয়ে নিতে পেরেছে। ফলে তাঁরা অপরাধের দায় থেকে রেহাই পাননি।
রুয়ান্ডার গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হয়েছে, তার নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে রাসেল বলেন, গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলো ওই বিচারে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কারণ, তাতে ক্ষতিপূরণের কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। তবে রুয়ান্ডার বিচারের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments