প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৬০ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় by সাইফুদ্দীন চৌধুরী
দেশের উচ্চশিক্ষার দ্বিতীয় বৃহত্তম
পাদপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ বছর হয়ে গেল। ১৯৫৩ সালের আজকের এই
দিনে অর্থাত্ ৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল। রাজশাহীতে এই
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের একটি ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে।
অবিভক্ত
বাংলায় রাজশাহী হয়ে উঠেছিল দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজা-জমিদারদের আকর্ষণের
কেন্দ্রবিন্দু। নাটোর, দিঘাপতিয়া, পুঠিয়া, বলিহার, দুবলহাটি, তাহেরপুরের
রাজা-জমিদারেরা নিজেদের প্রয়োজনেই স্থানীয় ভূস্বামী, আইনজীবী, শিক্ষক
প্রমুখের উদ্যোগে শহরে শিক্ষা ও সংস্কৃতিমূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে
তোলেন। বলা বাহুল্য, এই রাজশাহী শহরেই ‘বুয়ালিয়া ইংলিশ স্কুল’ নামে দেশের
প্রথম ইংরেজি উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে শহরে শিক্ষার এত
প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল যে একসময় শহরটির পরিচয়ই হয় শিক্ষানগর হিসেবে।
কিন্তু দুঃখজনক যে ’৪৭-এ দেশভাগের পর শহর রাজশাহী শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে ক্রমেই পিছিয়ে পড়া শহরে পরিণত হয়। নব সৃষ্ট পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা হয়ে ওঠে দেশের প্রধান আকর্ষণ। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী তথা এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা এ সময় ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। ইত্যবসরে, সরকার এক নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তানের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে। এত সব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজশাহীবাসী একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন দারুণভাবে উপলব্ধি করে।
১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিলেতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম ই স্যাডলার নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণাকর্ম সম্প্রসারিত করার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তাতে রাজশাহীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সুপারিশ ছিল। ১৯৫৩ সালে রাজশাহীর মানুষ কমিশনের ওই সুপারিশকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগ একসময় আন্দোলনে এসে পৌঁছায়। রাজশাহীর কৃিবদ্য আইনজীবী মৌলভি মাদার বখ্শ এবং রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ ড. ইতরাত্ হুসেন জুবেরির যৌথ প্রচেষ্টায় অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস হয়। ১৯৫৩ সালের আজকের এই দিনে ড. ইতরাত্ হুসেন জুবেরিকে উপাচার্য নিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।
দেশের উত্তরাঞ্চলের মাত্র ১২টি ডিগ্রি কলেজ এবং আটটি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ অধিভুক্ত করে সাতটি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। গোড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৬১ জন। পদ্মাতীরে ওলন্দাজদের নির্মিত বড়কুঠি নামে ইতিহাসপ্রসিদ্ধ রেশম কুঠিকে করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভবন। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে থাকে রাজশাহী কলেজে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া করা বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলে দাপ্তরিক কাজ।
এ অবস্থার নিরসন ঘটে কয়েক বছর পরই, ১৯৬১ সালে যখন শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে মতিহারের সবুজ চত্বরে ৩০৩ দশমিক ৮০ হেক্টর জমির ওপর লে. কর্নেল জি সোয়ানি টমাস প্রণীত কলম্বো প্ল্যান অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থানান্তর করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৪৯টি একাডেমিক বিভাগ, নয়টি অনুষদ, পাঁচটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। দেড় হাজার শিক্ষক তাঁদের পাঠদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন। ছয় দশকে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই শিক্ষার্থীদের অনেকেই দেশ পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে তাঁদের সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। ১৯৬২ সালের বিতর্কিত হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল আন্দোলনে, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে এবং একাত্তরের মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের অনেকেই সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় পাকিস্তানি আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান ছাত্র-প্রিয় শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালের স্মৃতিকে ভাস্বর করে রেখেছেন তিন শহীদ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও মীর আবদুল কাইউম। স্বাধীনতাসংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থী কর্মচারীর সংখ্যাও অনেক।
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথের সন্ধান পায় ১৯৭৩ সালে যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুমোদিত হলে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লক্ষ্যই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে নিরঙ্কুশ স্বশাসন প্রতিষ্ঠা করা, চিন্তার স্বাধীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই যে ঈর্ষণীয় সাফল্য লাভ করেছে, তা নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ক্ষেত্রে যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে, প্রতিকূলতারও অন্ত নেই। অর্জন আর সীমাবদ্ধতা নিয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূরণ করেছে। জন স্টুয়ার্ট মিলের ভাষায় বলতে চাই, ‘দ্য হাইয়েস্ট অ্যান্ড মোস্ট হারমোনিয়াস ডেভেলপমেন্ট অব অ্যান ইনডিভিজুয়াল’ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ও ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে। তবে প্রয়োজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবারই হার্দিক মেলবন্ধন।
ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী: গবেষক। অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
pr_saif@yahoo.com
কিন্তু দুঃখজনক যে ’৪৭-এ দেশভাগের পর শহর রাজশাহী শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে ক্রমেই পিছিয়ে পড়া শহরে পরিণত হয়। নব সৃষ্ট পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা হয়ে ওঠে দেশের প্রধান আকর্ষণ। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী তথা এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা এ সময় ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। ইত্যবসরে, সরকার এক নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তানের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে। এত সব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজশাহীবাসী একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন দারুণভাবে উপলব্ধি করে।
১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিলেতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম ই স্যাডলার নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণাকর্ম সম্প্রসারিত করার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তাতে রাজশাহীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সুপারিশ ছিল। ১৯৫৩ সালে রাজশাহীর মানুষ কমিশনের ওই সুপারিশকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগ একসময় আন্দোলনে এসে পৌঁছায়। রাজশাহীর কৃিবদ্য আইনজীবী মৌলভি মাদার বখ্শ এবং রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ ড. ইতরাত্ হুসেন জুবেরির যৌথ প্রচেষ্টায় অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস হয়। ১৯৫৩ সালের আজকের এই দিনে ড. ইতরাত্ হুসেন জুবেরিকে উপাচার্য নিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।
দেশের উত্তরাঞ্চলের মাত্র ১২টি ডিগ্রি কলেজ এবং আটটি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ অধিভুক্ত করে সাতটি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। গোড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৬১ জন। পদ্মাতীরে ওলন্দাজদের নির্মিত বড়কুঠি নামে ইতিহাসপ্রসিদ্ধ রেশম কুঠিকে করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভবন। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে থাকে রাজশাহী কলেজে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া করা বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলে দাপ্তরিক কাজ।
এ অবস্থার নিরসন ঘটে কয়েক বছর পরই, ১৯৬১ সালে যখন শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে মতিহারের সবুজ চত্বরে ৩০৩ দশমিক ৮০ হেক্টর জমির ওপর লে. কর্নেল জি সোয়ানি টমাস প্রণীত কলম্বো প্ল্যান অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থানান্তর করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৪৯টি একাডেমিক বিভাগ, নয়টি অনুষদ, পাঁচটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। দেড় হাজার শিক্ষক তাঁদের পাঠদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন। ছয় দশকে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই শিক্ষার্থীদের অনেকেই দেশ পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে তাঁদের সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। ১৯৬২ সালের বিতর্কিত হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল আন্দোলনে, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে এবং একাত্তরের মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের অনেকেই সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় পাকিস্তানি আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান ছাত্র-প্রিয় শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালের স্মৃতিকে ভাস্বর করে রেখেছেন তিন শহীদ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও মীর আবদুল কাইউম। স্বাধীনতাসংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থী কর্মচারীর সংখ্যাও অনেক।
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথের সন্ধান পায় ১৯৭৩ সালে যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুমোদিত হলে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লক্ষ্যই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে নিরঙ্কুশ স্বশাসন প্রতিষ্ঠা করা, চিন্তার স্বাধীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই যে ঈর্ষণীয় সাফল্য লাভ করেছে, তা নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ক্ষেত্রে যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে, প্রতিকূলতারও অন্ত নেই। অর্জন আর সীমাবদ্ধতা নিয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূরণ করেছে। জন স্টুয়ার্ট মিলের ভাষায় বলতে চাই, ‘দ্য হাইয়েস্ট অ্যান্ড মোস্ট হারমোনিয়াস ডেভেলপমেন্ট অব অ্যান ইনডিভিজুয়াল’ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ও ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে। তবে প্রয়োজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবারই হার্দিক মেলবন্ধন।
ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী: গবেষক। অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
pr_saif@yahoo.com
No comments