আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি রাজনৈতিক বিমা
বেসরকারি খাতের ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের
মতো বিমা খাতেও দৃশ্যত রাজনৈতিক বিবেচনায় একসঙ্গে ১১টি বিমা কোম্পানিকে
লাইসেন্স প্রদানের ঘটনা আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার জন্য একটি হুমকি।
এর বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার
দাবি রাখে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৩০টি দেওয়ার বিপরীতে বিএনপি ভাগ্যিস
একটিও দিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ সম্ভবত সেটা পুষিয়ে দিল। তবে এই খাতে
নৈরাজ্য আসার আগেই বর্তমানে যেগুলোর প্রাণপ্রদীপ নিবু নিবু, তাদের বিষয়ে
সরকারকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনো সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাকে
নিরুত্সাহিত করা নিশ্চয় আমাদের অভিপ্রায় নয়।
তবে বিশেষজ্ঞ মহল পরিহাসের সঙ্গে বলছে যে ভারত ও পাকিস্তানে দুই দেশ মিলে বিমা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ষাটের কোঠায় সীমিত থাকলেও বাংলাদেশ ৭৩টি বিমা কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়ার একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে। ৫ জুলাই প্রথম আলোতে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদের বক্তব্য বড় দুর্ভাগ্যজনক বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। তাঁর আচানক দাবি বিমা ব্যবসায়ের ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে বলে নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আইডিআরএ আগে স্বায়ত্তশাসনের স্বাদ থেকে একেবারেই বঞ্চিত ছিল। এ সরকারের আমলে এটিকে ‘কর্তৃপক্ষ’ করা হয়। নিঃসন্দেহে সরকারের মুঠো আলগা করার এই প্রক্রিয়াটি ভালো।
সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে একসঙ্গে ১১টি বিমা কোম্পানির লাইসেন্স কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়। স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তরফ থেকে গোড়া থেকেই চাপ ছিল। এবং অর্থমন্ত্রী তাতে বিনা বাক্য ব্যয়ে সম্মত ছিলেন, তা হয়তো বলা যাবে না। কারণ, গত বছর তিনি দেশে আর কোনো বিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়ার আদৌ কোনো দরকার আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি সমীক্ষা চেয়েছিলেন। আইডিআরএর চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদই তখন সুচিন্তিতভাবে জানিয়েছিলেন যে আর ‘বড় জোর দুই থেকে তিনটি জীবনবিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই সাধারণ বিমা কোম্পানি নয়।’ এখন আমরা তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতেই সন্দেহ করি, গত এক বছরে দেশের আর্থিক অবস্থা এমনভাবে বদলে যায়নি যে তার ওই সমীক্ষার বাস্তবতা আমূল বদলে গিয়েছে। আরডিআরএর উচিত হবে তাদের এই দৃশ্যমান ডিগবাজির একটি উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করা। এ রকমের একটি ব্যাখ্যায় সরকারি সিদ্ধান্ত হয়তো বদলাবে না, কিন্তু তাতে একটি লব্ধপ্রতিষ্ঠ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আত্মমর্যাদার সঙ্গে সেটা সংগতিপূর্ণ হবে। উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে হঠাত্ ‘ভালো সম্ভাবনা’ আবিষ্কার করা উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে গণ্য হতে পারে। যেখানে একটিও সাধারণ বিমা দেওয়ার কথা নয়, সেখানে কোন যুক্তিতে দুটি সাধারণ বিমা, আর দু-তিনটির বদলে কী কারণে নয়টি জীবনবিমার লাইসেন্স দেওয়া হলো, তা সত্যি রহস্যজনক। সাধারণ সংশয় আছে যে বড় ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে বাগে রাখা এবং তাঁদের কাছ থেকে দলীয় তহবিলে চাঁদা সংগ্রহের একটি উত্স হিসেবে ব্যবহার করার সঙ্গে বিমার লাইসেন্সের যোগসূত্র রয়েছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জনমনের এই সন্দেহকেই প্রকট করবে।
তবে বিশেষজ্ঞ মহল পরিহাসের সঙ্গে বলছে যে ভারত ও পাকিস্তানে দুই দেশ মিলে বিমা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ষাটের কোঠায় সীমিত থাকলেও বাংলাদেশ ৭৩টি বিমা কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়ার একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে। ৫ জুলাই প্রথম আলোতে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদের বক্তব্য বড় দুর্ভাগ্যজনক বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। তাঁর আচানক দাবি বিমা ব্যবসায়ের ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে বলে নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আইডিআরএ আগে স্বায়ত্তশাসনের স্বাদ থেকে একেবারেই বঞ্চিত ছিল। এ সরকারের আমলে এটিকে ‘কর্তৃপক্ষ’ করা হয়। নিঃসন্দেহে সরকারের মুঠো আলগা করার এই প্রক্রিয়াটি ভালো।
সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে একসঙ্গে ১১টি বিমা কোম্পানির লাইসেন্স কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়। স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তরফ থেকে গোড়া থেকেই চাপ ছিল। এবং অর্থমন্ত্রী তাতে বিনা বাক্য ব্যয়ে সম্মত ছিলেন, তা হয়তো বলা যাবে না। কারণ, গত বছর তিনি দেশে আর কোনো বিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়ার আদৌ কোনো দরকার আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি সমীক্ষা চেয়েছিলেন। আইডিআরএর চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদই তখন সুচিন্তিতভাবে জানিয়েছিলেন যে আর ‘বড় জোর দুই থেকে তিনটি জীবনবিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই সাধারণ বিমা কোম্পানি নয়।’ এখন আমরা তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতেই সন্দেহ করি, গত এক বছরে দেশের আর্থিক অবস্থা এমনভাবে বদলে যায়নি যে তার ওই সমীক্ষার বাস্তবতা আমূল বদলে গিয়েছে। আরডিআরএর উচিত হবে তাদের এই দৃশ্যমান ডিগবাজির একটি উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করা। এ রকমের একটি ব্যাখ্যায় সরকারি সিদ্ধান্ত হয়তো বদলাবে না, কিন্তু তাতে একটি লব্ধপ্রতিষ্ঠ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আত্মমর্যাদার সঙ্গে সেটা সংগতিপূর্ণ হবে। উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে হঠাত্ ‘ভালো সম্ভাবনা’ আবিষ্কার করা উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে গণ্য হতে পারে। যেখানে একটিও সাধারণ বিমা দেওয়ার কথা নয়, সেখানে কোন যুক্তিতে দুটি সাধারণ বিমা, আর দু-তিনটির বদলে কী কারণে নয়টি জীবনবিমার লাইসেন্স দেওয়া হলো, তা সত্যি রহস্যজনক। সাধারণ সংশয় আছে যে বড় ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে বাগে রাখা এবং তাঁদের কাছ থেকে দলীয় তহবিলে চাঁদা সংগ্রহের একটি উত্স হিসেবে ব্যবহার করার সঙ্গে বিমার লাইসেন্সের যোগসূত্র রয়েছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জনমনের এই সন্দেহকেই প্রকট করবে।
No comments