ম্যান্ডেলাকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিস্থলে থাকা নেলসন
ম্যান্ডেলার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। গত ২৬ জুন আদালতে ম্যান্ডেলার
পরিবারের পেশ করা নথি থেকে গত বৃহস্পতিবার জানা যায়, ম্যান্ডেলা
বোধশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন।
তবে ম্যান্ডেলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা জানান, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল।
গত ২৬ জুন আদালতে পেশ করা নথিতে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসকরা আরো প্রায় এক সপ্তাহ আগেই ম্যান্ডেলার লাইফ সাপোর্ট (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র) বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁর পরিবারকে। ম্যান্ডেলা বোধশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন যুক্তিতে চিকিৎসকরা এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ম্যান্ডেলার স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল ও তিন সন্তানসহ পরিবারের ১৫ সদস্যের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী ওয়েসলি হায়েস এ কথা জানান। ওয়েসলি বলেন, 'ম্যান্ডেলার পরিবার তাঁর ভোগান্তি আর না বাড়িয়ে, লাইফ সাপোর্ট তুলে নেওয়ার পরামর্শকে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পথ হিসেবে বিবেচনা করছে।' এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ম্যান্ডেলার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়।
তবে প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ ম্যান্ডেলার বোধশক্তিহীন হয়ে পড়ার তথ্য অস্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জ্যাকব জুমা ম্যান্ডেলাকে দেখতে হাসপাতালে যান। এরপর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জুমা জানান, ম্যান্ডেলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল।
২০১১ সালে ম্যান্ডেলার বড় নাতি মান্দলা ম্যান্ডেলা পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের দেহাবশেষ কুনু থেকে মিজোতে সরিয়ে নেন। মান্দলা মিজোর থেম্বু গোত্রের প্রধান। তবে মান্দলার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান ম্যান্ডেলার স্ত্রী ও বড় মেয়ে ম্যাকাজিওয়ে ম্যান্ডেলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন আদালতে পেশ করা নথিতে ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থার কথাও জানানো হয়। ওয়েসলি জানান, ম্যান্ডেলার এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যই ওই নথি জমা দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার আদালত মান্দলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দেন এবং ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের দেহাবশেষ ফের কুনুতে আনা হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার নোবেল জয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু ম্যান্ডেলার পরিবারের ছোটখাটো বিরোধে ম্যান্ডেলার নাম জড়িয়ে তাঁকে কলঙ্কিত না করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন থেকে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। সূত্র : এএফপি, ইডাব্লিউএন, বিবিসি।
গত ২৬ জুন আদালতে পেশ করা নথিতে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসকরা আরো প্রায় এক সপ্তাহ আগেই ম্যান্ডেলার লাইফ সাপোর্ট (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র) বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁর পরিবারকে। ম্যান্ডেলা বোধশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন যুক্তিতে চিকিৎসকরা এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ম্যান্ডেলার স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল ও তিন সন্তানসহ পরিবারের ১৫ সদস্যের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী ওয়েসলি হায়েস এ কথা জানান। ওয়েসলি বলেন, 'ম্যান্ডেলার পরিবার তাঁর ভোগান্তি আর না বাড়িয়ে, লাইফ সাপোর্ট তুলে নেওয়ার পরামর্শকে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পথ হিসেবে বিবেচনা করছে।' এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ম্যান্ডেলার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়।
তবে প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ ম্যান্ডেলার বোধশক্তিহীন হয়ে পড়ার তথ্য অস্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জ্যাকব জুমা ম্যান্ডেলাকে দেখতে হাসপাতালে যান। এরপর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জুমা জানান, ম্যান্ডেলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল।
২০১১ সালে ম্যান্ডেলার বড় নাতি মান্দলা ম্যান্ডেলা পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের দেহাবশেষ কুনু থেকে মিজোতে সরিয়ে নেন। মান্দলা মিজোর থেম্বু গোত্রের প্রধান। তবে মান্দলার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান ম্যান্ডেলার স্ত্রী ও বড় মেয়ে ম্যাকাজিওয়ে ম্যান্ডেলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন আদালতে পেশ করা নথিতে ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থার কথাও জানানো হয়। ওয়েসলি জানান, ম্যান্ডেলার এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যই ওই নথি জমা দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার আদালত মান্দলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দেন এবং ম্যান্ডেলার তিন সন্তানের দেহাবশেষ ফের কুনুতে আনা হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার নোবেল জয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু ম্যান্ডেলার পরিবারের ছোটখাটো বিরোধে ম্যান্ডেলার নাম জড়িয়ে তাঁকে কলঙ্কিত না করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন থেকে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। সূত্র : এএফপি, ইডাব্লিউএন, বিবিসি।
No comments