এরশাদ-জাহাঙ্গীরের সমর্থনে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ by শাহীন আকন্দ
গাজীপুর নগরের চাপলিয়া এলাকার ভোটার আরিফ
হোসেন, নজরুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় আড্ডা
দিচ্ছিলেন রহিম মিয়ার চায়ের দোকানে বসে।
গাজীপুর সিটি
নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের অবস্থা
কেমন জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমাগো আর চিন্তা নাই, বিজয় এইবার
ঠেকাইবো কে? যাঁদের নিয়া টেনশনে ছিলাম, হেই জাহাঙ্গীর আর এরশাদও আমাগো
প্রার্থীকে সমর্থন দিছেন।' আরিফ হোসেন বলেন, 'নির্বাচনে চিন্তায় ছিলাম
জাহাঙ্গীর আর এরশাদকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত দুজনই আমাদের প্রার্থী আজমত ভাইকে
সমর্থন দিছেন। যার ফলে গাজীপুরে দোয়াত-কলমের জোয়ার বইছে।' শহরের ছায়াবীথি
এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী শাহজাহান মিয়া বলেন, 'চিন্তা করছিলাম মাঠে
নামতাম না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের টানেই মাঠে নামছি। গাজীপুরে মেয়র পদে
আজমত আর মান্নানের লড়াই না। এটা শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার লড়াই। আমার
নেত্রীর দিকে তাকিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠে নামছি। আমার মতো অনেকেই অলিতে-গলিতে
নীরবে কাজ করছে।'
নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মুখে একই কথা, জাহাঙ্গীর আর এরশাদের সমর্থনে তারা এখন উজ্জীবিত। নির্বাচনের শুরুতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা কিছুটা সমস্যায় ছিলেন। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরের পক্ষে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশের সমর্থন ছিল। তবে অনেক নাটকীয়তার পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী আজমতকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। প্রায় শেষ মুহূর্তে (বৃহস্পতিবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও আনুষ্ঠানিকভাবে আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ এখন চাঙ্গা। জেতার স্বপ্ন দেখছে দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। অনেক সাধারণ ভোটারের কথায়ও একই রকম আভাস।
গাছা এলাকার ভোটার আইনুল হক বলেন, ভোটের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগ অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নেতাদের প্রতি ক্ষোভের কারণে অনেক কর্মী এত দিন মাঠে নামেনি। কিন্তু অভিমান ভুলে এখন কাজ করছে। মোবাইল ফোনেও এখন অনেককে ভোট চাইতে দেখা গেছে।
গাজীপুর চান্দনা এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী রাশেদুল হাসান বলেন, 'চাকরি সূত্রে কুমিল্লায় ছিলাম, শুধু ভোটের কারণেই গাজীপুরে এসেছি। শুধু নিজের ভোটই নয়, প্রতিবেশীদের কাছেও ভোট চেয়েছি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে বিএনপি জয়ী হবে- এটা মেনে নিতে পারি না।'
সাবেক কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, 'গোপালগঞ্জের পর এটা আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধুর খুবই ঘনিষ্ট তাজউদ্দীনের এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নাই। মানুষ বিপুল ভোটে আজমত উল্লাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে। জাহাঙ্গীর ও এরশাদ সমর্থন দেওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।'
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাব কমিটির নেতা গোলাম সরওয়ার কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুরের মানুষ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দেবে না।
সাবেক ছাত্রনেতা শফি আহামেদ বলেন, 'গাজীপুরে জাতীয় পার্টির নিজস্ব ভোটব্যাংক আছে, এরশাদ সমর্থন দেওয়ায় সেই ভোট আজমত উল্লার বাক্সে যাবে। আর জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরে ব্যাপক জনপ্রিয়। তৃণমূলে রয়েছে অনেক সমর্থক। আজমতের পক্ষে জাহাঙ্গীর মাঠে নামায় আমাদের প্রার্থীর বিজয়টা এখন সময়ের ব্যাপার।'
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজমত উল্লাকে বিজয়ী করতে শুধু আমিই নই, আমার পরিবার এবং কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক রাত দিন কাজ করে গেছে। কারণ আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি, আজমত ভাইকে জানপ্রাণ দিয়ে খেটে হলেও বিজয়ী করব।
আজমত উল্লার বক্তব্য : বিরামহীন প্রচারের ফাঁকে গতকাল টঙ্গীতে জুমার নামাজ আদায় করেন আজমত উল্লা। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, '১৮ বছর ধরে টঙ্গীর মানুষের সেবা করে আসছি। গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হলে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। ফল যাই হোক মেনে নেব।'
নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মুখে একই কথা, জাহাঙ্গীর আর এরশাদের সমর্থনে তারা এখন উজ্জীবিত। নির্বাচনের শুরুতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা কিছুটা সমস্যায় ছিলেন। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরের পক্ষে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশের সমর্থন ছিল। তবে অনেক নাটকীয়তার পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী আজমতকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। প্রায় শেষ মুহূর্তে (বৃহস্পতিবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও আনুষ্ঠানিকভাবে আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ এখন চাঙ্গা। জেতার স্বপ্ন দেখছে দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। অনেক সাধারণ ভোটারের কথায়ও একই রকম আভাস।
গাছা এলাকার ভোটার আইনুল হক বলেন, ভোটের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগ অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নেতাদের প্রতি ক্ষোভের কারণে অনেক কর্মী এত দিন মাঠে নামেনি। কিন্তু অভিমান ভুলে এখন কাজ করছে। মোবাইল ফোনেও এখন অনেককে ভোট চাইতে দেখা গেছে।
গাজীপুর চান্দনা এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী রাশেদুল হাসান বলেন, 'চাকরি সূত্রে কুমিল্লায় ছিলাম, শুধু ভোটের কারণেই গাজীপুরে এসেছি। শুধু নিজের ভোটই নয়, প্রতিবেশীদের কাছেও ভোট চেয়েছি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে বিএনপি জয়ী হবে- এটা মেনে নিতে পারি না।'
সাবেক কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, 'গোপালগঞ্জের পর এটা আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধুর খুবই ঘনিষ্ট তাজউদ্দীনের এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নাই। মানুষ বিপুল ভোটে আজমত উল্লাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে। জাহাঙ্গীর ও এরশাদ সমর্থন দেওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।'
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাব কমিটির নেতা গোলাম সরওয়ার কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুরের মানুষ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দেবে না।
সাবেক ছাত্রনেতা শফি আহামেদ বলেন, 'গাজীপুরে জাতীয় পার্টির নিজস্ব ভোটব্যাংক আছে, এরশাদ সমর্থন দেওয়ায় সেই ভোট আজমত উল্লার বাক্সে যাবে। আর জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরে ব্যাপক জনপ্রিয়। তৃণমূলে রয়েছে অনেক সমর্থক। আজমতের পক্ষে জাহাঙ্গীর মাঠে নামায় আমাদের প্রার্থীর বিজয়টা এখন সময়ের ব্যাপার।'
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজমত উল্লাকে বিজয়ী করতে শুধু আমিই নই, আমার পরিবার এবং কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক রাত দিন কাজ করে গেছে। কারণ আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি, আজমত ভাইকে জানপ্রাণ দিয়ে খেটে হলেও বিজয়ী করব।
আজমত উল্লার বক্তব্য : বিরামহীন প্রচারের ফাঁকে গতকাল টঙ্গীতে জুমার নামাজ আদায় করেন আজমত উল্লা। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, '১৮ বছর ধরে টঙ্গীর মানুষের সেবা করে আসছি। গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হলে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। ফল যাই হোক মেনে নেব।'
No comments