বুয়েটের প্রতিবেদন ৯৪ কারখানা ভবনে ত্রুটি by ইফতেখার মাহমুদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের একটি দল ১০২টি তৈরি পোশাক কারখানা ভবন পরিদর্শন
করে ৯৪টিতে বিভিন্ন রকম ত্রুটি পেয়েছে। এর মধ্যে দুটি ভবনকে মারাত্মক
ঝুঁকিপূর্ণ ও চারটিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
৪০টি
ভবনে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বেশ কিছু শর্ত পালন ও নকশা অনুসরণ করা হয়নি
এবং ৪৮টি ভবনে নির্মাণগত সামান্য ত্রুটি রয়েছে। বাকি আটটি ভবনে কোনো
ত্রুটি পাওয়া যায়নি। ওই ১০২টি কারখানা ভবন পরিদর্শন শেষে বুয়েটের তৈরি
করা প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে।
প্রতিবেদনে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দুটি অবিলম্বে এবং ঝুঁকিপূর্ণ চারটি ভবন যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আর বিধিমালার শর্ত অমান্যজনিত ও নির্মাণগত সামান্য ত্রুটি থাকা ৮৮টি ভবনকে ত্রুটি শোধরানোর জন্য তিন থেকে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর দেশের দুই হাজার ৩৮১টি পোশাক কারখানা পরিদর্শনে দেখেছে, ৯০০ কারখানা শ্রম আইন ভঙ্গ করছে। এগুলোতে শ্রমিকের জন্য যেসব সুবিধা এবং ভবনের যে ধরনের নিরাপত্তা থাকার শর্ত রয়েছে, তা পালিত হচ্ছে না।
গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ৩০০ কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানা পরিদর্শনের জন্য বুয়েটে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ১৮ জনের একটি দল দুই মাস ধরে ১৫২টি কারখানা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১০২টির প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে দলটি। বাকি ৫০টি ভবন পরিদর্শনসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।
তবে শুরুতে আগ্রহ দেখিয়ে আবেদন করলেও ১৪৮টি কারখানা কর্তৃপক্ষ ভবন পরিদর্শনে সহযোগিতা করেনি বলে বুয়েট সূত্র জানিয়েছে। পরিদর্শনের জন্য ফরম সংগ্রহসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন না করায় বুয়েটের দলটি ওই ভবনগুলো পরিদর্শনে যেতে পারেনি।
পরিদর্শন প্রতিবেদনের ব্যাপারে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সভাপতি ও ভবন সমীক্ষা দলের প্রধান অধ্যাপক মুজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দুটি ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত চারটি ছাড়া বাকি ভবনগুলোতে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লেও সেগুলো এই মুহূর্তে ভেঙে পড়ার বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। ত্রুটি ধরা পড়া ৮৮টি ভবনকে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ত্রুটি সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে।
১৪৮টি কারখানা ভবন পরিদর্শনে কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি কারখানাকেই আজ বা কাল ভবনের ঝুঁকি পরীক্ষা করাতে হবে। বুয়েট বা অন্য কোনো বেসরকারি প্রকৌশল সংস্থা থেকে সবার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করানোর জন্য আমরা কাজ করছি। অবশ্যই তা করানো হবে।’
কোন ভবন কোন মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ: বুয়েটের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ শহরের সিদ্দিক খান সুপার মার্কেট ভবন ও রাজধানীর মালিবাগের আল-হামরা গার্মেন্টস ভবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। পলমল গ্রুপের মালিকানাধীন আল-হামরা গার্মেন্টসের ভবনটিতে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পরিদর্শনে ভবনটির বিম ও থামে ফাটল ধরা পড়েছে। দেয়ালগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ।
যোগাযোগ করলে পলমল গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন) শফিউল আজম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভবনটি ইতিমধ্যে খালি করে দিয়েছি। ভবনটি ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেখানে কোনো কার্যক্রম চালাব না।’
প্রতিবেদন অনুসারে, মানিকগঞ্জের সিদ্দিক খান সুপার মার্কেট ভবনটির বাণিজ্যিক ভবনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু ভবনের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি পোশাক কারখানাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নিচতলায় রয়েছে ব্যাংক ও বিপণিবিতান। ভবনটির দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই ভবনের মালিক মোরশেদ খান বলেন, ভবনে সামান্য ফাটল দেখা দেওয়ায় এবং বুয়েট একে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করায় পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে কারখানার যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য ৯৪টি ভবনের ত্রুটি: বুয়েটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক পরিদর্শনে মোটা দাগে দুই ধরনের সমস্যা দেখা গেছে। পরিদর্শন করা ৪০ শতাংশ ভবন রাজউক থেকে যত তলার অনুমতি নিয়েছে, তার চেয়ে এক-দুই তলা অতিরিক্ত নির্মাণ করেছে। রাজউক ও কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ভবনের ছাদে টিনের ঘর থাকতে পারবে না। কিন্তু ওই ৪০টি ভবনের ছাদে টিনের অবকাঠামো দেখা গেছে।
এ ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালার ক্ষেত্রে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হওয়া ৪৮টি কারখানা ভবনের ক্ষেত্রে দেয়ালে সামান্য ফাটল, বিম নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে চিকন, দেয়াল ও বিমের সংযোগ সঠিকভাবে না হওয়া, প্রয়োজনীয় ফাঁকা জায়গা না রেখে ভবন নির্মাণজনিত ত্রুটি পাওয়া গেছে। তবে বুয়েটের মতে, এমন ত্রুটি থাকলেও ভবন ভেঙে পড়ার বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
৯০০ কারখানায় শ্রম আইন ভঙ্গ: শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে শিল্প কারখানার সংখ্যা ১৬ হাজার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা প্রায় সাড়ে চার হাজার। এগুলোর মধ্যে চালু আছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অধিদপ্তর গত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দুই হাজার ৩৮১টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ কারখানায় শ্রম আইন, কারখানা আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেছে। এর প্রায় ৩০০ কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ নেই, দুটি সিঁড়ির স্থলে আছে একটি। ভবনের ছাদের ২৫ শতাংশের বেশি এলাকায় টিনের ঘর রয়েছে বা ভবনের জন্য যথাযথ অনুমোদন নেই।
সূত্র আরও জানায়, ওই ৯০০ কারখানার মধ্যে মে মাস পর্যন্ত ১৬২টির বিরুদ্ধে শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। আরও ১০০টির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিবেদনে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দুটি অবিলম্বে এবং ঝুঁকিপূর্ণ চারটি ভবন যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আর বিধিমালার শর্ত অমান্যজনিত ও নির্মাণগত সামান্য ত্রুটি থাকা ৮৮টি ভবনকে ত্রুটি শোধরানোর জন্য তিন থেকে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর দেশের দুই হাজার ৩৮১টি পোশাক কারখানা পরিদর্শনে দেখেছে, ৯০০ কারখানা শ্রম আইন ভঙ্গ করছে। এগুলোতে শ্রমিকের জন্য যেসব সুবিধা এবং ভবনের যে ধরনের নিরাপত্তা থাকার শর্ত রয়েছে, তা পালিত হচ্ছে না।
গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ৩০০ কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানা পরিদর্শনের জন্য বুয়েটে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ১৮ জনের একটি দল দুই মাস ধরে ১৫২টি কারখানা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১০২টির প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে দলটি। বাকি ৫০টি ভবন পরিদর্শনসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।
তবে শুরুতে আগ্রহ দেখিয়ে আবেদন করলেও ১৪৮টি কারখানা কর্তৃপক্ষ ভবন পরিদর্শনে সহযোগিতা করেনি বলে বুয়েট সূত্র জানিয়েছে। পরিদর্শনের জন্য ফরম সংগ্রহসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন না করায় বুয়েটের দলটি ওই ভবনগুলো পরিদর্শনে যেতে পারেনি।
পরিদর্শন প্রতিবেদনের ব্যাপারে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সভাপতি ও ভবন সমীক্ষা দলের প্রধান অধ্যাপক মুজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দুটি ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত চারটি ছাড়া বাকি ভবনগুলোতে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লেও সেগুলো এই মুহূর্তে ভেঙে পড়ার বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। ত্রুটি ধরা পড়া ৮৮টি ভবনকে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ত্রুটি সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে।
১৪৮টি কারখানা ভবন পরিদর্শনে কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি কারখানাকেই আজ বা কাল ভবনের ঝুঁকি পরীক্ষা করাতে হবে। বুয়েট বা অন্য কোনো বেসরকারি প্রকৌশল সংস্থা থেকে সবার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করানোর জন্য আমরা কাজ করছি। অবশ্যই তা করানো হবে।’
কোন ভবন কোন মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ: বুয়েটের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ শহরের সিদ্দিক খান সুপার মার্কেট ভবন ও রাজধানীর মালিবাগের আল-হামরা গার্মেন্টস ভবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। পলমল গ্রুপের মালিকানাধীন আল-হামরা গার্মেন্টসের ভবনটিতে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পরিদর্শনে ভবনটির বিম ও থামে ফাটল ধরা পড়েছে। দেয়ালগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ।
যোগাযোগ করলে পলমল গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন) শফিউল আজম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভবনটি ইতিমধ্যে খালি করে দিয়েছি। ভবনটি ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেখানে কোনো কার্যক্রম চালাব না।’
প্রতিবেদন অনুসারে, মানিকগঞ্জের সিদ্দিক খান সুপার মার্কেট ভবনটির বাণিজ্যিক ভবনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু ভবনের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি পোশাক কারখানাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নিচতলায় রয়েছে ব্যাংক ও বিপণিবিতান। ভবনটির দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই ভবনের মালিক মোরশেদ খান বলেন, ভবনে সামান্য ফাটল দেখা দেওয়ায় এবং বুয়েট একে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করায় পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে কারখানার যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য ৯৪টি ভবনের ত্রুটি: বুয়েটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক পরিদর্শনে মোটা দাগে দুই ধরনের সমস্যা দেখা গেছে। পরিদর্শন করা ৪০ শতাংশ ভবন রাজউক থেকে যত তলার অনুমতি নিয়েছে, তার চেয়ে এক-দুই তলা অতিরিক্ত নির্মাণ করেছে। রাজউক ও কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ভবনের ছাদে টিনের ঘর থাকতে পারবে না। কিন্তু ওই ৪০টি ভবনের ছাদে টিনের অবকাঠামো দেখা গেছে।
এ ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালার ক্ষেত্রে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হওয়া ৪৮টি কারখানা ভবনের ক্ষেত্রে দেয়ালে সামান্য ফাটল, বিম নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে চিকন, দেয়াল ও বিমের সংযোগ সঠিকভাবে না হওয়া, প্রয়োজনীয় ফাঁকা জায়গা না রেখে ভবন নির্মাণজনিত ত্রুটি পাওয়া গেছে। তবে বুয়েটের মতে, এমন ত্রুটি থাকলেও ভবন ভেঙে পড়ার বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
৯০০ কারখানায় শ্রম আইন ভঙ্গ: শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে শিল্প কারখানার সংখ্যা ১৬ হাজার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা প্রায় সাড়ে চার হাজার। এগুলোর মধ্যে চালু আছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অধিদপ্তর গত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দুই হাজার ৩৮১টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ কারখানায় শ্রম আইন, কারখানা আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেছে। এর প্রায় ৩০০ কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ নেই, দুটি সিঁড়ির স্থলে আছে একটি। ভবনের ছাদের ২৫ শতাংশের বেশি এলাকায় টিনের ঘর রয়েছে বা ভবনের জন্য যথাযথ অনুমোদন নেই।
সূত্র আরও জানায়, ওই ৯০০ কারখানার মধ্যে মে মাস পর্যন্ত ১৬২টির বিরুদ্ধে শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। আরও ১০০টির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
No comments