হেফাজত-জামায়াত জাপার ভোটে ভরসা বিএনপির by মাহাবুব হাসান মেহেদী
জামায়াত-হেফাজতের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির
কমবেশি সমর্থন, সেই সঙ্গে জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের ক্ষোভকে পুঁজি করে
গাজীপুরে আজ ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান জয়লাভ করবেন-
এমনটাই আশা করছে বিএনপি।
এ ছাড়া সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারণেও অনেকে তাঁকে ভোট দেবেন বলে তারা মনে করছে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর এক লাখেরও বেশি ভোট আছে। জাতীয় পার্টিরও রয়েছে সমসংখ্যক ভোট। এর সঙ্গে বিএনপির ভোট ও সরকারবিরোধী সাধারণ ভোট যোগ হলে বিএনপিরই জয় হবে।
গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহাম্মদ বলেন, এলাকার রাস্তাঘাটে হেঁটেও চলা দায়। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে মানুষ উন্নয়ন পায়নি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে এম এ মান্নান এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন। এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা ও গ্রামীণ অবকাঠামো তাঁর সময়ে করা। গাজীপুর মহিলা, পুবাইল কলেজ, কোনাবাড়ি কলেজ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ কারণে মানুষ তাঁকে এখনো মনে রেখেছে। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরে দোয়া করছে। তাই উন্নয়নবঞ্চিত মানুষ অধ্যাপক মান্নানের টেলিভশন প্রতীককে বিজয়ী করবে- এমনটাই আশা করছেন সুরুজ আহাম্মদ।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন বলেন, শেয়ারবাজারের লুটপাট, হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা সেতু, সুরঞ্জিতের রেল দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। পদ্মা সেতু দুর্নীতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আলোচনার খোরাক হয়েছে। মন্ত্রী-এমপিদের লুটপাটের কারণে এলাকায় উন্নয়ন নেই। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়ক-মহাসড়ক ভেঙেচুরে একাকার। চারদিকে সরকারি দলের দখলবাজি। জলাবদ্ধতায় দুর্বিষহ মানুষের জীবন। এসব কারণে সরকারের প্রতি জনসমর্থন উঠে গেছে। তাই সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ভোটাররা বিএনপি নেতা অধ্যাপক মান্নানকে ভোট দেবেন বলে ফজলুল হক মিলন প্রত্যাশা করছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, 'আওয়ামী লীগ দাবি করছে, সাড়ে চার বছরে তারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। এমন জোয়ার বইয়েছে যে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় দেশ ডুবে যাচ্ছে। জোয়ার ঠিকই হয়েছে- তবে দেশের নয়, গুটিকয়েক নেতার। অবমূল্যায়নের কারণে শরিক জাতীয় পার্টিও দূরে সরে গেছে। আর হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে শাপলা চত্বরে যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে, তা দেশের মানুষের মনে গভীর দাগ কেটেছে। এসব কারণে জাতীয় পার্টি ও হেফাজতে ইসলাম আমাদের ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী মান্নানকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে। সরকার ফল ছিনতাই না করলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হান্নান শাহ বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বেড়াচ্ছে- দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ খ্যাত গাজীপুর আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি। এখানে কখনো বিএনপি জিততে পারেনি। তারা ভুলে গেছে, গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালের পর থেকে জাতীয় নির্বাচনে গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপি পরাজিত হয়েছে দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, 'হাসান উদ্দিন সরকার মান্নানের জন্য প্রাণপণ খাটছেন। তাই গ্রুপিং না থাকায় বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হব।'
এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ দলীয় জোট মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অনেকে অধ্যাপক মান্নানকেই ভোট দেবেন বলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আশা করছেন।
এ ব্যাপারে একইভাবে মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি আজকের নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তিনি বলেন, 'গাজীপুরের মানুষ শত প্রতিবন্ধতার মধ্যেও ভোট দিয়ে আমাকেই বিজয়ী করবে।'
এদিকে গতকাল শুক্রবার অধ্যাপক মান্নান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, প্রশাসন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে কাজ করছে। অধ্যাপক মান্নান বিভিন্ন অভিযোগ তুললেও রিটার্নিং অফিসার গুরুত্ব দেননি। ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীর অভিযোগ, এখনো আ. লীগের বহিরাগত অনেক নেতা গাজীপুরে রয়ে গেলেও তাঁদের কিছু না বলে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
অধ্যাপক মান্নান প্রচারণার ধকল সামলে নিতে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাসায় সময় কাটান এবং দুপুরে টঙ্গীতে জুমার নামাজ আদায় করেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথমেই তিনি ভাঙা রাস্তা মেরামত ও ড্রেন নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করবেন। গাজীপুরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একাধিক নতুন রাস্তা করবেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান, যাতায়াতের সুব্যবস্থা করবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই বিজয়ী হবেন দাবি করে অধ্যাপক মান্নান বলেন, ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর এক লাখেরও বেশি ভোট আছে। জাতীয় পার্টিরও রয়েছে সমসংখ্যক ভোট। এর সঙ্গে বিএনপির ভোট ও সরকারবিরোধী সাধারণ ভোট যোগ হলে বিএনপিরই জয় হবে।
গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহাম্মদ বলেন, এলাকার রাস্তাঘাটে হেঁটেও চলা দায়। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে মানুষ উন্নয়ন পায়নি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে এম এ মান্নান এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন। এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা ও গ্রামীণ অবকাঠামো তাঁর সময়ে করা। গাজীপুর মহিলা, পুবাইল কলেজ, কোনাবাড়ি কলেজ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ কারণে মানুষ তাঁকে এখনো মনে রেখেছে। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরে দোয়া করছে। তাই উন্নয়নবঞ্চিত মানুষ অধ্যাপক মান্নানের টেলিভশন প্রতীককে বিজয়ী করবে- এমনটাই আশা করছেন সুরুজ আহাম্মদ।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন বলেন, শেয়ারবাজারের লুটপাট, হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা সেতু, সুরঞ্জিতের রেল দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। পদ্মা সেতু দুর্নীতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আলোচনার খোরাক হয়েছে। মন্ত্রী-এমপিদের লুটপাটের কারণে এলাকায় উন্নয়ন নেই। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়ক-মহাসড়ক ভেঙেচুরে একাকার। চারদিকে সরকারি দলের দখলবাজি। জলাবদ্ধতায় দুর্বিষহ মানুষের জীবন। এসব কারণে সরকারের প্রতি জনসমর্থন উঠে গেছে। তাই সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ভোটাররা বিএনপি নেতা অধ্যাপক মান্নানকে ভোট দেবেন বলে ফজলুল হক মিলন প্রত্যাশা করছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, 'আওয়ামী লীগ দাবি করছে, সাড়ে চার বছরে তারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। এমন জোয়ার বইয়েছে যে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় দেশ ডুবে যাচ্ছে। জোয়ার ঠিকই হয়েছে- তবে দেশের নয়, গুটিকয়েক নেতার। অবমূল্যায়নের কারণে শরিক জাতীয় পার্টিও দূরে সরে গেছে। আর হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে শাপলা চত্বরে যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে, তা দেশের মানুষের মনে গভীর দাগ কেটেছে। এসব কারণে জাতীয় পার্টি ও হেফাজতে ইসলাম আমাদের ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী মান্নানকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে। সরকার ফল ছিনতাই না করলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হান্নান শাহ বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বেড়াচ্ছে- দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ খ্যাত গাজীপুর আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি। এখানে কখনো বিএনপি জিততে পারেনি। তারা ভুলে গেছে, গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালের পর থেকে জাতীয় নির্বাচনে গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপি পরাজিত হয়েছে দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, 'হাসান উদ্দিন সরকার মান্নানের জন্য প্রাণপণ খাটছেন। তাই গ্রুপিং না থাকায় বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হব।'
এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ দলীয় জোট মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অনেকে অধ্যাপক মান্নানকেই ভোট দেবেন বলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আশা করছেন।
এ ব্যাপারে একইভাবে মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি আজকের নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তিনি বলেন, 'গাজীপুরের মানুষ শত প্রতিবন্ধতার মধ্যেও ভোট দিয়ে আমাকেই বিজয়ী করবে।'
এদিকে গতকাল শুক্রবার অধ্যাপক মান্নান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, প্রশাসন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে কাজ করছে। অধ্যাপক মান্নান বিভিন্ন অভিযোগ তুললেও রিটার্নিং অফিসার গুরুত্ব দেননি। ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীর অভিযোগ, এখনো আ. লীগের বহিরাগত অনেক নেতা গাজীপুরে রয়ে গেলেও তাঁদের কিছু না বলে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
অধ্যাপক মান্নান প্রচারণার ধকল সামলে নিতে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাসায় সময় কাটান এবং দুপুরে টঙ্গীতে জুমার নামাজ আদায় করেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথমেই তিনি ভাঙা রাস্তা মেরামত ও ড্রেন নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করবেন। গাজীপুরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একাধিক নতুন রাস্তা করবেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান, যাতায়াতের সুব্যবস্থা করবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই বিজয়ী হবেন দাবি করে অধ্যাপক মান্নান বলেন, ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
No comments