মুরসির অপসারণ-যুক্তরাষ্ট্রের মিসর নীতি কোন পথে?
দুই মাস আগে মিসরের জন্য ১৩০ কোটি ডলারের
সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
ইসরায়েলের পর কোনো দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা এটি।
১৯৪৮
সাল থেকেই মিসরকে অর্থনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট এই সেনাবাহিনীই গত বুধবার রাতে
মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে
দিয়েছে। যদিও সেনাবাহিনী এই ঘটনাটি অভ্যুত্থান বলতে নারাজ। তবে এর জন্য
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
সামরিক হস্তক্ষেপে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে যেকোনো
দেশকে সাহায্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মার্কিন আইনে। একদিকে
মিসরসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন টিকিয়ে রাখা, অন্যদিকে
মিত্র ইসরায়েলের স্বার্থে মিসরের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক টিকিয়ে
রাখাই যুক্তরাষ্ট্রের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামেল আমর গত বৃহস্পতিবার টেলিফোনে কেরিকে আশ্বস্ত করেন, বুধবারের ঘটনা সামরিক অভ্যুত্থান নয়। 'যুক্তরাষ্ট্র মিসরের কৌশলগত মিত্র এবং মিসরের ভালোমন্দ তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান অবস্থা কোনোভাবেই সামরিক অভ্যুত্থান নয় এবং জনগণের ইচ্ছাতেই আমরা এই অবস্থায় পৌঁছেছি। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র পুরো পরিস্থিতি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।' অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা দখলের যে প্রবণতা থাকে, এ ধরনের কোনো ইচ্ছাই তাদের নেই বলে দাবি করেছে মিসরের সেনাবাহিনী। বরং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার এবং রাজনৈতিক কোনো পক্ষের বিরুদ্ধেই অবস্থান না নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তারা। যদিও গত বৃহস্পতিবারই মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতাকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। দলটির শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের আমল থেকেই মিসরের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা শক্তিশালী ছিল। মুবারক উৎখাতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এবার মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিক্রিয়াও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। মিসরীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে 'উদ্বেগ প্রকাশ' করলেও তাদের হস্তক্ষেপকে 'অভ্যুত্থান' বলতে ইতস্তত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ব্রিটেন মুরসির উৎখাতকে 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর সামরিক হস্তক্ষেপ' অভিহিত করলেও 'জনগণের ইচ্ছাতেই এটি ঘটেছে' বলে মন্তব্য করে। পশ্চিমা বিশ্বসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের মিসরবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডক্টর মাহা আজম বলেন, 'মিসরে গণতন্ত্র রক্ষার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট পরিমাণ উদ্যোগ নেয়নি। গণতন্ত্র রক্ষার যে বুলি তারা আওড়ায়, এর সঙ্গে তাদের কাজের কোনো মিল নেই। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতকারী সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখে তারা কথা ও কাজে বৈপরিত্যের উজ্জ্বল নমুনা রেখেছে।' সেনাবাহিনীর তৎপরতাকে 'অভ্যুত্থান' আখ্যায়িত করলেই মিসরকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি জোরালো হবে। কিন্তু মুরসি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন, তা প্রতিহত করতে মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য বন্ধের কোনো সুযোগ নেই বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : এনবিসি, বিবিসি।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামেল আমর গত বৃহস্পতিবার টেলিফোনে কেরিকে আশ্বস্ত করেন, বুধবারের ঘটনা সামরিক অভ্যুত্থান নয়। 'যুক্তরাষ্ট্র মিসরের কৌশলগত মিত্র এবং মিসরের ভালোমন্দ তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান অবস্থা কোনোভাবেই সামরিক অভ্যুত্থান নয় এবং জনগণের ইচ্ছাতেই আমরা এই অবস্থায় পৌঁছেছি। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র পুরো পরিস্থিতি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।' অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা দখলের যে প্রবণতা থাকে, এ ধরনের কোনো ইচ্ছাই তাদের নেই বলে দাবি করেছে মিসরের সেনাবাহিনী। বরং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার এবং রাজনৈতিক কোনো পক্ষের বিরুদ্ধেই অবস্থান না নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তারা। যদিও গত বৃহস্পতিবারই মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতাকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। দলটির শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের আমল থেকেই মিসরের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা শক্তিশালী ছিল। মুবারক উৎখাতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এবার মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিক্রিয়াও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। মিসরীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে 'উদ্বেগ প্রকাশ' করলেও তাদের হস্তক্ষেপকে 'অভ্যুত্থান' বলতে ইতস্তত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ব্রিটেন মুরসির উৎখাতকে 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর সামরিক হস্তক্ষেপ' অভিহিত করলেও 'জনগণের ইচ্ছাতেই এটি ঘটেছে' বলে মন্তব্য করে। পশ্চিমা বিশ্বসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের মিসরবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডক্টর মাহা আজম বলেন, 'মিসরে গণতন্ত্র রক্ষার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট পরিমাণ উদ্যোগ নেয়নি। গণতন্ত্র রক্ষার যে বুলি তারা আওড়ায়, এর সঙ্গে তাদের কাজের কোনো মিল নেই। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতকারী সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখে তারা কথা ও কাজে বৈপরিত্যের উজ্জ্বল নমুনা রেখেছে।' সেনাবাহিনীর তৎপরতাকে 'অভ্যুত্থান' আখ্যায়িত করলেই মিসরকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি জোরালো হবে। কিন্তু মুরসি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন, তা প্রতিহত করতে মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য বন্ধের কোনো সুযোগ নেই বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : এনবিসি, বিবিসি।
No comments