টেলিফোন ও ইন্টারনেটে গুপ্তচরগিরি-ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসছে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র
ইন্টারনেট ও টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন
নজরদারি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন
(ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ইইউর একাধিক কূটনৈতিক
সূত্র জানিয়েছে, আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইইউর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি টিটিআইপির বৈঠক
অনিশ্চয়তায় পড়ার কারণেই 'গোপন নজরদারির' মীমাংসার প্রশ্নটি সামনে চলে
এসেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আটলান্টিকের দুই তীরের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিশ্লেষকসহ দুই পক্ষের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরাও বৈঠকে মিলিত হবেন। ইইউর ২৮ দেশের রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকের বিষয়ে একমত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক বলেন, 'প্রথম বৈঠকটি ৮ জুলাই করার কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে আন্ত-আটলান্টিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের (টিটিআইপি) প্রথম অধিবেশনটি শুরু করতে দেরি না হয়।'
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন জুন মাসের গোড়ার দিকে ইন্টারনেট ও টেলিফোনে গোপন নজরদারি কর্মসূচি প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে সারা বিশ্বে। পরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কার্যালয়সহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসেও এ নজরদারি চালানো হয়েছে। এ খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা চায় ইইউ। ইইউ পার্লামেন্টের স্পিকার মার্টিন শুলজ জানান, ঘটনা যদি সত্য হয় তবে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি টিটিআইপির বৈঠক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। ফ্রান্স বৈঠকটি পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলে। তবে জার্মানি বৈঠক এগিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসো শেষ পর্যন্ত একটি আপসরফার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য আলোচনা শুরু হবে, তবে একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তির মাত্রা অনুসন্ধানে একটি তদন্তকারী দলও কাজ করবে। এরই ভিত্তিতে সোমবারের নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেন যে যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্র ও অংশীদারদের উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। সূত্র : এএফপি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আটলান্টিকের দুই তীরের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিশ্লেষকসহ দুই পক্ষের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরাও বৈঠকে মিলিত হবেন। ইইউর ২৮ দেশের রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকের বিষয়ে একমত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক বলেন, 'প্রথম বৈঠকটি ৮ জুলাই করার কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে আন্ত-আটলান্টিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের (টিটিআইপি) প্রথম অধিবেশনটি শুরু করতে দেরি না হয়।'
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন জুন মাসের গোড়ার দিকে ইন্টারনেট ও টেলিফোনে গোপন নজরদারি কর্মসূচি প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে সারা বিশ্বে। পরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কার্যালয়সহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসেও এ নজরদারি চালানো হয়েছে। এ খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা চায় ইইউ। ইইউ পার্লামেন্টের স্পিকার মার্টিন শুলজ জানান, ঘটনা যদি সত্য হয় তবে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি টিটিআইপির বৈঠক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। ফ্রান্স বৈঠকটি পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলে। তবে জার্মানি বৈঠক এগিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসো শেষ পর্যন্ত একটি আপসরফার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য আলোচনা শুরু হবে, তবে একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তির মাত্রা অনুসন্ধানে একটি তদন্তকারী দলও কাজ করবে। এরই ভিত্তিতে সোমবারের নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেন যে যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্র ও অংশীদারদের উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। সূত্র : এএফপি।
No comments