চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট সভা শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম প্রসঙ্গে তোপের মুখে উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সভায়
শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে কয়েকজন সিনেট সদস্যের তোপের মুখে পড়েছেন ওই
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ। সমালোচনার মুখে উপাচার্য
একপর্যায়ে সাংবাদিকদের ‘মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করেন।
সিনেট
সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আ ন ম মুনির আহমদ
সাংবাদিকেরা অসত্য কিছু লিখলে উপাচার্যকে প্রেস কাউন্সিলে মামলা করার
পরামর্শ দেন। এর জবাবে উপাচার্য বলেন, প্রেস কাউন্সিলও সাংবাদিকদের দখলে।
গতকাল শুক্রবার ছিল সিনেটের ২৫তম অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালে সিনেট সদস্য ও সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে উপাচার্যের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘অনিয়মের পাহাড় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে’ শীর্ষক প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, ‘থার্ড ক্লাস পেয়েও রাজনীতি করা যায়। এমনকি সাংসদও হওয়া যায়। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে মানের প্রশ্নে কোনো রকম আপস করা যাবে না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আরেক সিনেট সদস্য মঞ্জুরুল আমীন চৌধুরীও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের সমালোচনা করেন। এর জবাব দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এ সময় মঞ্জুরুল আমীন পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশন করা হলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ করছি না কেন?’ এর জবাব দেননি উপাচার্য।
একপর্যায়ে সিনেট সদস্য আ ন ম মুনির আহমদ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা শুরু করলে উপাচার্য ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে এ বিষয়ে কথা না বলার অনুরোধ করেন। কিন্তু মুনির আহমদ এ প্রসঙ্গে বক্তব্য চালিয়ে যান। তিনি বলেন, অযোগ্য ব্যক্তিরা নিয়োগ পেলে যোগ্য ব্যক্তিরা বঞ্চিত হন। তা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তিনি শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতার সঙ্গে আপস না করতে উপাচার্যের কাছে অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (আইইআরটি) যেসব শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা কি যোগ্য? জবাবে উপাচার্য বলেন, তাঁরা যোগ্য এবং তাঁদের যোগ্যতা প্রকাশ করা হলে অনেকেই বিব্রত হবেন। উল্লেখ্য, ওই ইনস্টিটিউটে উপাচার্যের ছেলেসহ একটি কলেজের ১৮ শিক্ষককে কৌশলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্যের সভাকক্ষে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী অর্থবছরের জন্য ১৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। তবে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র নয় লাখ টাকা। বাজেটের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরতে চাইলে সময়স্বল্পতার কথা বলে সিনেট সদস্য মনসুর উদ্দিন আহমদকে থামিয়ে দেন উপাচার্য। এতে মনসুর উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সিনেট সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন আকবর প্রমুখ।
গতকাল শুক্রবার ছিল সিনেটের ২৫তম অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালে সিনেট সদস্য ও সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে উপাচার্যের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘অনিয়মের পাহাড় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে’ শীর্ষক প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, ‘থার্ড ক্লাস পেয়েও রাজনীতি করা যায়। এমনকি সাংসদও হওয়া যায়। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে মানের প্রশ্নে কোনো রকম আপস করা যাবে না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আরেক সিনেট সদস্য মঞ্জুরুল আমীন চৌধুরীও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের সমালোচনা করেন। এর জবাব দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এ সময় মঞ্জুরুল আমীন পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশন করা হলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ করছি না কেন?’ এর জবাব দেননি উপাচার্য।
একপর্যায়ে সিনেট সদস্য আ ন ম মুনির আহমদ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা শুরু করলে উপাচার্য ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে এ বিষয়ে কথা না বলার অনুরোধ করেন। কিন্তু মুনির আহমদ এ প্রসঙ্গে বক্তব্য চালিয়ে যান। তিনি বলেন, অযোগ্য ব্যক্তিরা নিয়োগ পেলে যোগ্য ব্যক্তিরা বঞ্চিত হন। তা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তিনি শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতার সঙ্গে আপস না করতে উপাচার্যের কাছে অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (আইইআরটি) যেসব শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা কি যোগ্য? জবাবে উপাচার্য বলেন, তাঁরা যোগ্য এবং তাঁদের যোগ্যতা প্রকাশ করা হলে অনেকেই বিব্রত হবেন। উল্লেখ্য, ওই ইনস্টিটিউটে উপাচার্যের ছেলেসহ একটি কলেজের ১৮ শিক্ষককে কৌশলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্যের সভাকক্ষে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী অর্থবছরের জন্য ১৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। তবে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র নয় লাখ টাকা। বাজেটের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরতে চাইলে সময়স্বল্পতার কথা বলে সিনেট সদস্য মনসুর উদ্দিন আহমদকে থামিয়ে দেন উপাচার্য। এতে মনসুর উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সিনেট সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন আকবর প্রমুখ।
No comments