পৃথিবীর নিরাপত্তার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি অপরিহার্য
রাষ্ট্রপতি
মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পৃথিবীর নিরাপত্তার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি
অপরিহার্য। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সমন্বিত নীতিনির্ধারণ ও
অর্থায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। রোববার ভারতের নয়াদিল্লিতে
বিশ্বের ১২১ দেশের সৌরবিদ্যুৎ সহযোগিতাবিষয়ক জোট ইন্টারন্যাশনাল সোলার
অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) ‘ফাউন্ডিং কনফারেন্সে’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এ কথা
বলেন। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন কালচারাল সেন্টারে (আরবিসিসি) এ সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়। আবদুল হামিদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য
নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন খুবই জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ
শুধু আন্তর্জাতিক বিষয় নয়, বরং প্রান্তিক মানুষের জ্বালানি সুবিধা
নিশ্চিতের জন্য এ উদ্যোগ। পৃথিবীর নিরাপত্তার জন্যও এটি অপরিহার্য। তিনি
বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা মেটানোর জন্য সমন্বিতনীতি ও বড় ধরনের
অর্থায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ক্ষতির দিক তুলে ধরে
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরূপ
প্রভাব দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দায়ী না
হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রয়াস
চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান জ্বালানিশক্তি
যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো দ্রুত নবায়নযোগ্য
জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে। এর প্রযুক্তিগত ব্যয়ও দিন দিন কমে
আসছে। ফলে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা
সম্মেলনে তুলে ধরেন আবদুল হামিদ। এ সম্মেলনের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের
ব্যবহার, গবেষণা ও উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আইএসএর সদস্য
দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। সবার জন্য
সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য
পরস্পরকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলেও রাষ্ট্রপতি জানান। ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর
যৌথ সভাপতিত্বে এ সম্মেলনের সূচনা পর্বে দুই কো-চেয়ার এবং ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত,
শ্রীলংকা, ফ্রান্সসহ ২৩ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান/সরকারপ্রধান এবং ৯ দেশের
মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেন।
No comments