পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি এবং যৌক্তিকতা
বাংলাদেশের
পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জীবনমানসহ সবদিক ভেবে তাদের ন্যূনতম মজুরি ১৮
হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য
পরিষদ (জি-স্কপ)। এ নিয়ে (রোববার) (১১মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ
সম্মেলন করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাঈমুল হাসান জুয়েল অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম। মজুরির কথা তুললেই মালিকরা বলেন-বেতন বাড়ালে কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের সরকার সম্প্রতি নিম্নতম মজুরি বোর্ড পূনর্গঠন করে দিয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে জি-স্কপ নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইনের ১৪১ ধারা অনুযায়ী ১০টি মানদণ্ডের কথা বলা আছে। সরকারি পে-স্কেল নির্ধারণের ক্ষেত্রে এসব মানদণ্ড মেনে চলা হয়।সেই মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১৮হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানাই।’
বক্তারা ‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-র এক গবেষণা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেন, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের কমপক্ষে ১৭হাজার ৮৩৭টাকা মাসিক আয় থাকা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অক্সফামের গবেষণা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শ্রমিকদের বেতন হতে হবে ২০হাজার ৬৬৬টাকা।
শ্রমিক নেতারা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের কায়িক শ্রমের পরিমাণ অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় কম নয়। শরীর ঠিক রেখে কাজ করতে গেলে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু বর্তমান বেতন দিয়ে তা একেবারেই সম্ভব নয়। খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও বাড়িভাড়া, শিক্ষা-চিকিৎসা খরচ, বিদ্যুতের দামের উর্ধ্বগতি রয়েছে। এগুলো মেটাতে গেলে বেতন বৃদ্ধি যৌক্তিক ও আবশ্যক।’
পোশাক খাতের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী প্রসংগে বাংলাদেশ টেকস্টাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন রেডিও তেহরানকে বলেন, পূনর্গঠিত মজুরিবোর্ডের আগামী ১৯ শে মার্চের প্রথম বৈঠককে সামনে রেখে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন তাদের সুপারিশ তুলে ধরছেন। তবে তাদের প্রায় সকলেই নিম্নতম বেসিক বেতন দশ হাজার টাকা করার দাবী জানিয়েছে।
আবুল হোসাইন অরো বলেন, তাদের এ দাবী ন্যয্য এবং বর্তমান বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়া, মালিকদেরও এ বেতন দেবার সামর্থ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে পাঁচসদস্যের একটি দল মজুরি নির্ধারণ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন। সংগঠনটির যুগ্মআহ্বায়ক কামরুল আহসানের নেতৃত্বে দলে আরও ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, আহসান হাবিব বুলবুল, শাহ মো.আবুজাফর, এম শাহাদাত হোসেন, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাঈমুল হাসান জুয়েল অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম। মজুরির কথা তুললেই মালিকরা বলেন-বেতন বাড়ালে কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের সরকার সম্প্রতি নিম্নতম মজুরি বোর্ড পূনর্গঠন করে দিয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে জি-স্কপ নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইনের ১৪১ ধারা অনুযায়ী ১০টি মানদণ্ডের কথা বলা আছে। সরকারি পে-স্কেল নির্ধারণের ক্ষেত্রে এসব মানদণ্ড মেনে চলা হয়।সেই মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১৮হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানাই।’
বক্তারা ‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-র এক গবেষণা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেন, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের কমপক্ষে ১৭হাজার ৮৩৭টাকা মাসিক আয় থাকা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অক্সফামের গবেষণা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শ্রমিকদের বেতন হতে হবে ২০হাজার ৬৬৬টাকা।
শ্রমিক নেতারা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের কায়িক শ্রমের পরিমাণ অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় কম নয়। শরীর ঠিক রেখে কাজ করতে গেলে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু বর্তমান বেতন দিয়ে তা একেবারেই সম্ভব নয়। খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও বাড়িভাড়া, শিক্ষা-চিকিৎসা খরচ, বিদ্যুতের দামের উর্ধ্বগতি রয়েছে। এগুলো মেটাতে গেলে বেতন বৃদ্ধি যৌক্তিক ও আবশ্যক।’
পোশাক খাতের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী প্রসংগে বাংলাদেশ টেকস্টাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন রেডিও তেহরানকে বলেন, পূনর্গঠিত মজুরিবোর্ডের আগামী ১৯ শে মার্চের প্রথম বৈঠককে সামনে রেখে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন তাদের সুপারিশ তুলে ধরছেন। তবে তাদের প্রায় সকলেই নিম্নতম বেসিক বেতন দশ হাজার টাকা করার দাবী জানিয়েছে।
আবুল হোসাইন অরো বলেন, তাদের এ দাবী ন্যয্য এবং বর্তমান বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়া, মালিকদেরও এ বেতন দেবার সামর্থ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে পাঁচসদস্যের একটি দল মজুরি নির্ধারণ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন। সংগঠনটির যুগ্মআহ্বায়ক কামরুল আহসানের নেতৃত্বে দলে আরও ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, আহসান হাবিব বুলবুল, শাহ মো.আবুজাফর, এম শাহাদাত হোসেন, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
No comments