ভারতের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসবাদী ছিলেন নাথুরাম গডসে: আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
ভারতে
গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে একনম্বর সন্ত্রাসী ছিলেন বলে মন্তব্য
করেছেন মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন
ওয়াইসি এমপি।
আজ (রোববার) গণমাধ্যমে প্রকাশ তিনি গতকাল (শনিবার) বিজেপিশাসিত মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, এ কথা বলার জন্য পুলিশ যদি তাকে নোটিশ পাঠায় তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি বলেন, ‘পুলিশ কী আমাকে এজন্য নোটিশ দেবে? আমি গডসের বিরুদ্ধে বলবো। ভারতের সবচেয়ে বড় একনম্বর সন্ত্রাসী ছিলেন নাথুরাম গডসে। মহাত্মা গান্ধীকে কে হত্যা করেছিল?’
ওয়াইসি বলেন, ‘বিগত ৭০ বছর ধরে আমদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা ভয় পাওয়ার নই। আপনারা বেশি বেশি করে কী করতে পারেন, আপনারা জীবনে মেরে ফেলতে পারেন, তো মেরে দিন। কিন্তু আমরা যদি বেঁচে থাকি এখানেই বাঁচব এবং যদি মারা যাই তো এখানেই মরবো।’
আসাদউদ্দিন ওয়াসি বলেন, ‘ভারতীয় মুসলিমরা সিরিয়ায় যাবে না, বা পাকিস্তানেও যাবে না। যারা পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিলেন তারা আগেই সেখানে চলে গেছেন। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে লড়াই করেছেন, শহীদ হয়েছেন। তারা কখনো মুচলেকা দিয়ে ব্রিটিশদের সামনে বশ্যতা স্বীকার করেননি।’
তিনি ওই সমাবেশে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা তাৎক্ষণিক তালাক বিল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা তাকে শত্রু বলে অভিহিত করেন।ওয়াইসি বলেন, ‘মিস্টার মোদি, চোখ খুলে দেখুন এবং মনের পর্দা সরিয়ে ফেলুন। মুসলিম নারীদের উপরে আপনার কোনো সহানুভূতি নেই। আপনি আমাদের দুশমন এবং আমাদের না-ইনসাফির (অবিচারের) ব্যবস্থাপনা করছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মা ও বোনেরা মিছিলে অংশ নিয়ে অত্যাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছেন। এবং আমাদের তরুণ ও বুজুর্গদের বার্তা দিয়েছেন যে আপনাদেরও শরীয়া রক্ষার জন্য দাঁড়াতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হকের বক্তব্য:
নাথুরাম গডসে সম্পর্কে মন্তব্য করে পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক আজ (রোববার) রেডিও তেহরানকে বলেন, "ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হলেন নাথুরাম গডসে। এবং ভারতসহ পৃথিবীর অন্যতম বড় সন্ত্রাসী সংগঠন হল আরএসএস। তাদের মতাদর্শ হল পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের সেবা করা। এখন তারা কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদের সেবা করতে লেগেছেন। এজন্য তারা মূল বিষয়গুলোকে আড়াল করতে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছেন ও অন্যদেরও বদনাম দিচ্ছেন।
এই কাজটা প্রথম গডসে শুরু করেছিলেন গান্ধীকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। যাকে সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন ‘জাতির জনক’ (গান্ধী)। আজকের দিনে নাথুরাম গডসের পক্ষের লোকেদের শক্তি বেড়ে গেছে। তার পক্ষে মন্দির হচ্ছে, এটা হল আমাদের জাতীয় লজ্জা! অবিলম্বে বিশ্বের শান্তির স্বার্থে আইসিসকে যেমন নিষিদ্ধ করা উচিত তেমনি ভারতের স্বার্থে আরএসএসকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।"
আজ (রোববার) গণমাধ্যমে প্রকাশ তিনি গতকাল (শনিবার) বিজেপিশাসিত মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, এ কথা বলার জন্য পুলিশ যদি তাকে নোটিশ পাঠায় তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি বলেন, ‘পুলিশ কী আমাকে এজন্য নোটিশ দেবে? আমি গডসের বিরুদ্ধে বলবো। ভারতের সবচেয়ে বড় একনম্বর সন্ত্রাসী ছিলেন নাথুরাম গডসে। মহাত্মা গান্ধীকে কে হত্যা করেছিল?’
ওয়াইসি বলেন, ‘বিগত ৭০ বছর ধরে আমদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা ভয় পাওয়ার নই। আপনারা বেশি বেশি করে কী করতে পারেন, আপনারা জীবনে মেরে ফেলতে পারেন, তো মেরে দিন। কিন্তু আমরা যদি বেঁচে থাকি এখানেই বাঁচব এবং যদি মারা যাই তো এখানেই মরবো।’
আসাদউদ্দিন ওয়াসি বলেন, ‘ভারতীয় মুসলিমরা সিরিয়ায় যাবে না, বা পাকিস্তানেও যাবে না। যারা পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিলেন তারা আগেই সেখানে চলে গেছেন। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে লড়াই করেছেন, শহীদ হয়েছেন। তারা কখনো মুচলেকা দিয়ে ব্রিটিশদের সামনে বশ্যতা স্বীকার করেননি।’
তিনি ওই সমাবেশে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা তাৎক্ষণিক তালাক বিল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা তাকে শত্রু বলে অভিহিত করেন।ওয়াইসি বলেন, ‘মিস্টার মোদি, চোখ খুলে দেখুন এবং মনের পর্দা সরিয়ে ফেলুন। মুসলিম নারীদের উপরে আপনার কোনো সহানুভূতি নেই। আপনি আমাদের দুশমন এবং আমাদের না-ইনসাফির (অবিচারের) ব্যবস্থাপনা করছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মা ও বোনেরা মিছিলে অংশ নিয়ে অত্যাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছেন। এবং আমাদের তরুণ ও বুজুর্গদের বার্তা দিয়েছেন যে আপনাদেরও শরীয়া রক্ষার জন্য দাঁড়াতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হকের বক্তব্য:
নাথুরাম গডসে সম্পর্কে মন্তব্য করে পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক আজ (রোববার) রেডিও তেহরানকে বলেন, "ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হলেন নাথুরাম গডসে। এবং ভারতসহ পৃথিবীর অন্যতম বড় সন্ত্রাসী সংগঠন হল আরএসএস। তাদের মতাদর্শ হল পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের সেবা করা। এখন তারা কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদের সেবা করতে লেগেছেন। এজন্য তারা মূল বিষয়গুলোকে আড়াল করতে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছেন ও অন্যদেরও বদনাম দিচ্ছেন।
এই কাজটা প্রথম গডসে শুরু করেছিলেন গান্ধীকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। যাকে সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন ‘জাতির জনক’ (গান্ধী)। আজকের দিনে নাথুরাম গডসের পক্ষের লোকেদের শক্তি বেড়ে গেছে। তার পক্ষে মন্দির হচ্ছে, এটা হল আমাদের জাতীয় লজ্জা! অবিলম্বে বিশ্বের শান্তির স্বার্থে আইসিসকে যেমন নিষিদ্ধ করা উচিত তেমনি ভারতের স্বার্থে আরএসএসকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।"
No comments