ভাড়া বাঁচাতে গিয়ে জীবন গেল ১০ শ্রমিকের by সিদ্দিক আলম দয়াল
সন্তান
ও স্বজনদের কাছে ফেরা হলো না রেজিয়া বেগম, মারুফা বেগমসহ আট দিনমজুরের।
অল্প টাকায় ট্রাকের রডের উপর দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ট্রাক উল্টে নিহত হন
তারা। নীলফামারী সদর উপজেলার বাসিন্দা রেজিয়া বেগম, মারুফা খাতুন, মোতাহার
হোসেন, ফরহাদ হোসেন, মফিজল মিয়াসহ ২২ জনের দল। নীলফামারীতে দিনমজুরি কম।
তাই বছরের অধিকাংশ সময় নারী পুরুষের এই শ্রমিকের দল দেশের বিভিন্ন স্থানে
ধান কাটা, চারা লাগানো, চাষাবাদ, আলু উত্তোলন, পিয়াজ, মরিচ, ইরি, বোরো
জমিতে রোপণ ও কাটা মাড়াইয়ের কাজ করেন। নীলফামারীতে কাজও কম, মজুরিও কম।
তাই নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ নানা স্থানে যেতে হয়। রেজিয়া বেগম, মারুফা খাতুনসহ ২২ শ্রমিকের দল সারাবছর কাজ করে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে নীলফামারীতে আসার জন্য অপেক্ষা করেন ঢাকায় গাবতলী বাস টার্মিনালে। বাসে যেতে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা জনপ্রতি দিতে হয়। তাই অপেক্ষা করতে থাকে গাবতলী টার্মিনালের পাশে- যাতে সস্তায় বাড়ি যাওয়া যায়। হঠাৎ একটি রড বোঝাই ট্রাক এসে থামে তাদের সামনে। ট্রাকটিও নীলফামারী যাবে। সে কারণে ৫০ টাকায় জনপ্রতি ট্রাক চালককে দিয়ে সবাই উঠে বসে রডের উপর। রাতে রওনা দিয়ে ট্রাকটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ নামকস্থানে এলে একটি বাইসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ফলে বিপুল পরিমাণ রডের নিচে পড়ে মারা যায় রেজিয়া বেগমসহ সাত দিনমজুর। আহত হয় ১৫ জন। তাদের রংপুর, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পৃথক ঘটনায় পলাশবাড়ীতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডে বাস ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ২৩ জন। নিহত ও আহতদের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়।
গোাবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আবুল বাশার জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা থেকে এসএম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পলাশবাড়ীতে ঢাকা রংপুর মহাসড়কে দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডে এলে একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলিতে থাকা ও আশপাশে কর্মরত ট্রলি শ্রমিকদের মধ্যে খায়রুল নামের একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জাকিরুল ও সাজু মিয়া নামে আরো দুই জন মারা যায়। আহত ১২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তাই নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ নানা স্থানে যেতে হয়। রেজিয়া বেগম, মারুফা খাতুনসহ ২২ শ্রমিকের দল সারাবছর কাজ করে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে নীলফামারীতে আসার জন্য অপেক্ষা করেন ঢাকায় গাবতলী বাস টার্মিনালে। বাসে যেতে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা জনপ্রতি দিতে হয়। তাই অপেক্ষা করতে থাকে গাবতলী টার্মিনালের পাশে- যাতে সস্তায় বাড়ি যাওয়া যায়। হঠাৎ একটি রড বোঝাই ট্রাক এসে থামে তাদের সামনে। ট্রাকটিও নীলফামারী যাবে। সে কারণে ৫০ টাকায় জনপ্রতি ট্রাক চালককে দিয়ে সবাই উঠে বসে রডের উপর। রাতে রওনা দিয়ে ট্রাকটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ নামকস্থানে এলে একটি বাইসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ফলে বিপুল পরিমাণ রডের নিচে পড়ে মারা যায় রেজিয়া বেগমসহ সাত দিনমজুর। আহত হয় ১৫ জন। তাদের রংপুর, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পৃথক ঘটনায় পলাশবাড়ীতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডে বাস ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ২৩ জন। নিহত ও আহতদের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়।
গোাবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আবুল বাশার জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা থেকে এসএম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পলাশবাড়ীতে ঢাকা রংপুর মহাসড়কে দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডে এলে একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলিতে থাকা ও আশপাশে কর্মরত ট্রলি শ্রমিকদের মধ্যে খায়রুল নামের একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জাকিরুল ও সাজু মিয়া নামে আরো দুই জন মারা যায়। আহত ১২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
No comments