মা-শিশুর দাঁতের চিকিৎসায় মার্কারির ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা
আগামী
১ জুলাই থেকে গর্ভবতী মা ও শিশুর দাঁতের চিকিৎসায় মার্কারির (পারদ)
ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি (বিডিএস)। শনিবার
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ
ঘোষণা দেয়া হয়।
বিডিএস এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট
অর্গানাইজেশন (এসডো) যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে
বিডিএস মহাসচিব ডা. হুমায়ন কবির বুলবুল বলেন, দাঁতে মার্কারি অ্যামালগাম
ফিলিং করা হলে তা থেকে মার্কারি বেরিয়ে আসে। খাদ্য গ্রহণের সময় তা মানবদেহে
প্রবেশ করে। এ থেকে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি যেমন মস্তিষ্ক,
কিডনি, ফুসফুস, প্রজনন ক্ষমতায় ব্যাঘাত, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম এবং সদ্যোজাত
শিশুর বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও এটি থেকে যে বর্জ্য তৈরি হয় তা
পানি, মাটি, বায়ু দূষণ এবং গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে পরিবেশের ওপর
বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। বুলবুল আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন
(ইইউ) গর্ভবতী মা ও ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুর দাঁতের চিকিৎসায় মার্কারি
অ্যামালগামের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে
কার্যকর হবে। বাংলাদেশেও আমরা এর গুরুত্ব অনুধাবন করে মা ও শিশুদের দাঁতের
চিকিৎসায় মার্কারিযুক্ত অ্যামালোগাম বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছি। একই সঙ্গে
বিডিএসের সব সদস্যের প্রতি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিডিএসের সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আমি সব ডেন্টাল সার্জনকে অনুরোধ করব
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এবং পরিবেশ রক্ষার্থে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে মা ও
শিশুর দাঁতের চিকিৎসায় মার্কারি ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে পরিহারের জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে এসডোর চেয়ারপারসন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ মিনামাটা কনভেনশনের সিগনেটরি দেশ হিসেবে ২০২০ সালের
মধ্যে মার্কারিযুক্ত সব পণ্যের ব্যবহার ও আমদানি বন্ধের ব্যাপারে সরকারের
কাছে আবেদন জানান।
No comments