বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা
আগামী
বর্ষা মৌসুমে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল ভেসে গিয়ে
মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে পাহাড় কেটে এবং পাহাড়ের গাছ কেটে
জ্বালানি সংগ্রহ করছে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা। এমনটা হলে
পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর
সম্মেলন কক্ষে এনজিওদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব আশঙ্কা প্রকাশ
করা হয়েছে। এ সভায় নামি ১৯টি এনজিও’র প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বেশির ভাগ প্রতিনিধিরা বর্ষা মৌসুমে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে
তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি এনজিও প্রতিনিধি বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক বিপর্যয় কেন হতে পারে ওই সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সবাই ল্যাট্রিন, পাহাড় কাটা ও টিউবওয়েল স্থাপন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য দেন। সভায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের সামছুদ্দিন রফিক জানান, আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকরা পাহাড় কেটে এবং পাহাড়ের গাছ কেটে জ্বালানি সংগ্রহ করছে। পাহাড় কাটা এবং গাছ কাটা বন্ধ না করলে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে। এর ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। তিনি জানান, বর্তমানে পাহাড়ে লালমাটি ছাড়া আর কিছু নেই। এজন্য পাহাড় এবং পাহাড়ের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। জ্বালানির বিকল্প হিসেবে বায়োগ্যাস প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। দি হাঙ্গার প্রজেক্টের নাছিমা আক্তার জলি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ৪/৫টি রিং দিয়ে ল্যাট্রিন বানানো হয়েছে। ওই ল্যাট্রিনগুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ল্যাট্রিনগুলো মেরামত করা হচ্ছে না। এর ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। খ্রিস্টিয়ান এইডের মো. আখতার হোসেন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশে ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েলগুলো ঠিকভাবে স্থাপন করা হয়নি। সঠিকভাবে ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল স্থাপন করা না হলে বর্ষাকালে মারাত্মক ক্ষতি হবে। এখন থেকেই ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে। ওয়াটার এইডের ড. খাইরুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা আশ্রিত বসতি এলাকায় ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েলগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়নি। সঠিকভাবে ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল স্থাপন করা না হলে বর্ষাকালে মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই ল্যাট্রিন, বাথরুম এবং টিউবওয়েল স্থাপন বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য পুকুর খনন করে পানির ব্যবস্থা করতে হবে। মোটরচালিত নলকূপ এবং স্থায়ী স্থাপনা করা যাবে না। টিএমএসএসের রেজাউল করিম জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য পানি, খাবার ও স্বাস্থ্য বিষয়ে এখনই কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ভেসে গিয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এনজিও প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ডিজি কে. এম. আব্দুস সালাম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্বিতীয় ফেজের কাজ শুরু হওয়া সম্পর্কে ধারণা দেন। বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এমনভাবে কাজ করা উচিত, যাতে মিয়ানমার নাগরিকরা নিজ দেশে নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে যেতে পারে।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি এনজিও প্রতিনিধি বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক বিপর্যয় কেন হতে পারে ওই সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সবাই ল্যাট্রিন, পাহাড় কাটা ও টিউবওয়েল স্থাপন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য দেন। সভায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের সামছুদ্দিন রফিক জানান, আশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকরা পাহাড় কেটে এবং পাহাড়ের গাছ কেটে জ্বালানি সংগ্রহ করছে। পাহাড় কাটা এবং গাছ কাটা বন্ধ না করলে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে। এর ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। তিনি জানান, বর্তমানে পাহাড়ে লালমাটি ছাড়া আর কিছু নেই। এজন্য পাহাড় এবং পাহাড়ের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। জ্বালানির বিকল্প হিসেবে বায়োগ্যাস প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। দি হাঙ্গার প্রজেক্টের নাছিমা আক্তার জলি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ৪/৫টি রিং দিয়ে ল্যাট্রিন বানানো হয়েছে। ওই ল্যাট্রিনগুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ল্যাট্রিনগুলো মেরামত করা হচ্ছে না। এর ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। খ্রিস্টিয়ান এইডের মো. আখতার হোসেন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশে ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েলগুলো ঠিকভাবে স্থাপন করা হয়নি। সঠিকভাবে ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল স্থাপন করা না হলে বর্ষাকালে মারাত্মক ক্ষতি হবে। এখন থেকেই ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে। ওয়াটার এইডের ড. খাইরুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা আশ্রিত বসতি এলাকায় ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েলগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়নি। সঠিকভাবে ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল স্থাপন করা না হলে বর্ষাকালে মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই ল্যাট্রিন, বাথরুম এবং টিউবওয়েল স্থাপন বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য পুকুর খনন করে পানির ব্যবস্থা করতে হবে। মোটরচালিত নলকূপ এবং স্থায়ী স্থাপনা করা যাবে না। টিএমএসএসের রেজাউল করিম জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য পানি, খাবার ও স্বাস্থ্য বিষয়ে এখনই কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ভেসে গিয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এনজিও প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ডিজি কে. এম. আব্দুস সালাম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্বিতীয় ফেজের কাজ শুরু হওয়া সম্পর্কে ধারণা দেন। বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এমনভাবে কাজ করা উচিত, যাতে মিয়ানমার নাগরিকরা নিজ দেশে নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে যেতে পারে।
No comments