শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
শায়েস্তাগঞ্জে
ধর্ষণের পর এক স্কুলছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার পুরাইকলা
বাজার সংলগ্ন চাপরী হাওর থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত
স্কুলছাত্রী ব্রাহ্মণডুরা দক্ষিণ হাটির সাঈদ মিয়ার কন্যা।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন মারফত খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ভুঁড়িও বের হয়ে গেছে। নিহত কিশোরীর চাচা সফিক মিয়া জানান, বিউটি ব্রাহ্মণডুরা মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া (৩০) প্রায়ই বিউটিকে উত্ত্যক্ত করতো। এই বিষয়টি বিউটি তার পিতাকে জানালে এ নিয়ে সালিশ হয়। কিন্তু এরপরও বাবুল তাকে উত্ত্যক্ত করা অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে বাবুল বিউটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বাবুল বিবাহিত ও তার সন্তান থাকায় বিউটির পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে বাবুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতেই থাকে। এক পর্যায়ে বিউটি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এক বছর আগে বিউটি প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে কাজ নেয়। গত ১০ই মার্চ রাত ৮টার দিকে প্রাণ কোম্পানিতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে অলিপুর ও বিশাউড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থান থেকে বাবুলসহ একদল লম্পট তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাবুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা রুজুসহ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার পর বাবুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে বিউটির পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সাঈদ মিয়া বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুণীপুর গ্রামে নানা ফয়জুর রহমানের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পারে বাবুল সেখানে গিয়েও বিউটিকে উত্ত্যক্ত করে। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার গভীর রাতে বিউটি প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান বিউটির চাচা। এক পর্যায়ে খবর পান পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন চাপরী হাওরে জমিতে লাশ পড়ে আছে। তিনি আরো জানান, তাদের ধারণা বাবুলই তার ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে। এদিকে বিউটির মা বাবা কন্যার মৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করা হয়। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অভিযোগের প্রেক্ষিতে লম্পট বাবুল মিয়াকে (৩০) আটক করতে অভিযান চলছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন মারফত খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ভুঁড়িও বের হয়ে গেছে। নিহত কিশোরীর চাচা সফিক মিয়া জানান, বিউটি ব্রাহ্মণডুরা মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া (৩০) প্রায়ই বিউটিকে উত্ত্যক্ত করতো। এই বিষয়টি বিউটি তার পিতাকে জানালে এ নিয়ে সালিশ হয়। কিন্তু এরপরও বাবুল তাকে উত্ত্যক্ত করা অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে বাবুল বিউটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বাবুল বিবাহিত ও তার সন্তান থাকায় বিউটির পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে বাবুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতেই থাকে। এক পর্যায়ে বিউটি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এক বছর আগে বিউটি প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে কাজ নেয়। গত ১০ই মার্চ রাত ৮টার দিকে প্রাণ কোম্পানিতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে অলিপুর ও বিশাউড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থান থেকে বাবুলসহ একদল লম্পট তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাবুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা রুজুসহ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার পর বাবুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে বিউটির পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সাঈদ মিয়া বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুণীপুর গ্রামে নানা ফয়জুর রহমানের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পারে বাবুল সেখানে গিয়েও বিউটিকে উত্ত্যক্ত করে। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার গভীর রাতে বিউটি প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান বিউটির চাচা। এক পর্যায়ে খবর পান পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন চাপরী হাওরে জমিতে লাশ পড়ে আছে। তিনি আরো জানান, তাদের ধারণা বাবুলই তার ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে। এদিকে বিউটির মা বাবা কন্যার মৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করা হয়। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অভিযোগের প্রেক্ষিতে লম্পট বাবুল মিয়াকে (৩০) আটক করতে অভিযান চলছে।
No comments