তাইওয়ানকে ‘ঐতিহাসিক শাস্তি’ দিতে চান সি চিন পিং
চীনের
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, তাইওয়ান যদি চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়,
তবে তিনি এমন শিক্ষা দেবেন, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার চীনের
পার্লামেন্টের সমাপনী অধিবেশনে এই হুঁশিয়ারি দেন সি। চীনের রাবার স্ট্যাম্প
পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে সিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত
করে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাইওয়ান প্রশ্নে এই প্রথম কথা
বললেন সি। স্বশাসিত তাইওয়ান বরাবরই চীনের জন্য বড় মাথাব্যথার বিষয়। চীন এ
দেশটিকে তাদের নিজেদের অঞ্চল বলে বিবেচনা করে। তাইওয়ানের ওপর চীনের বিদ্বেষ
আরও বাড়ে ২০১৬ সালের পর থেকে। ওই বছর তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী
প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনর দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি নির্বাচনে জয়ী
হয়। চীন সন্দেহ করে, সাই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার জন্য গোপনে চেষ্টা করছেন।
তবে সাই বরাবরই বলে আসছেন, তিনি একটা স্থিতাবস্থা চান। শান্তির জন্যই তাঁর এ
পদক্ষেপ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মার্কিন
ভাইস প্রেসিডেন্ট একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে উচ্চপর্যায়ের মার্কিন
কর্মকর্তারা তাইওয়ানের যেতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের কোনো
আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। আর দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই আইন
দরকার ছিল। আজ পার্লামেন্টের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, চীন ‘মাতৃভূমির
শান্তিপূর্ণ একত্রীকরণে’ কাজ করবে। চীনের উন্নয়নের সুফল যাতে তাইওয়ানের সব
মানুষ ভোগ করতে পারে, সে জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। এরপর সির হুঁশিয়ারি
ছিল, ‘চীনকে ভাঙার যেকোনো চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এসব প্রচেষ্টাকারীকে ঐতিহাসিক
শাস্তি পেতে হবে।’ যুক্তরাষ্ট্র কিছুদিন আগে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর
শুল্ক আরোপ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয় চীন। তারপর তাইওয়ানের জন্য আইন তৈরি চীনকে
আরও ক্ষুব্ধ করেছে। আজ সি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী যেকোনো কর্মকাণ্ড রুখে
দেওয়ার শক্তি ও সামর্থ্য চীনের আছে।
No comments