মহিউদ্দিন গ্রুপে এমপি লতিফ সুজনের কী হবে?
চট্টগ্রাম
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে
সখ্য এবং তার হাত ধরে ২০০৮ সালে হঠাৎ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীকে
সংসদ সদস্য হওয়ার পর চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএ লতিফকে নিজ
বাড়িতে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী।
শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির অভিযোগ
উঠার পর জনসভা করে সংসদ সদস্য এমএ লতিফকে লাঠিপেটার হুমকিও দিয়েছিলেন
মহিউদ্দিন চৌধুরী। আর তার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মহিউদ্দিন
চৌধুরীর অনুসারী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি খোরশেদ
আলম সুজন।
যিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হওয়ার আশায় আছেন। ২০০৮ সালে এ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েও কেন্দ্রের ইচ্ছায় প্রার্থী হন এমএ লতিফ।
আর সেই সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপে। যিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবদ্দশায় ভুলেও পা মাড়াননি প্রয়াত নেতার বাসায়। হঠাৎ গতকাল রোববার বিকেলে সেই এমএ লতিফ যোগ দেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর জেয়াফত অনুষ্ঠানে।
আর পক্ষান্তরে জেয়াফত অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মহিউদ্দিন চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতা খোরশেদ আলম সুজনকে। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও খোরশেদ আলম সুজনের অনুসারী নেতাকর্মীদের মাঝে। নানা কৌতূহলের জন্ম নেয় মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সমপাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে এমএ লতিফের খোশগল্প করতে দেখে।
নেতাকর্মীদের কৌতূহল দেখে এ নিয়ে এমএ লতিফের সঙ্গে কথা বলেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। প্রশ্নের জবাবে এমএ লতিফ বলেন, গ্রুপিংয়ের কারণে এতদিন মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাসায় আসা বন্ধ ছিল, এটা অসত্য নয়। তবে আমি দেখছি মহিউদ্দিন ভাইয়ের দুই ছেলে নওফেল এবং সালেহীন দুজনই উচ্চশিক্ষিত। আচার-ব্যবহার খুব ভালো। তারা কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন না। কাউকে খাটো করে দেখেন না। যাদের জ্ঞানের গভীরতা কম, তারাই মানুষকে খাটো করে দেখে।
গ্রুপ বদলের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বর্তমান মেয়রের সঙ্গে ছিলাম। তিনিও আওয়ামী লীগ করেন। আমি আওয়ামী লীগ করি। তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরির কারণ আমার কাছে পরিষ্কার নয়। হয়তো তিনি ভালো বলতে পারবেন। আর ব্যক্তিগত কারণে কেউ যদি দূরত্ব তৈরি করে সেটার দায়দায়িত্ব তো আমার নয়।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ট্রেডবডি থেকে রাজনীতিতে এনেছেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করার চেয়েও রাজনীতি করতে গেলে অনেক অভিজ্ঞতার দরকার হয়। আমার রাজনীতির বয়স মাত্র নয় বছর। আমার অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। রাজনীতির অভ্যন্তরেও রাজনীতি থাকে। এতদিন সেটা বুঝতাম না।
লতিফ ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তিনি এখন মহিউদ্দিন গ্রুপে। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে নানা মেরুকরণের মধ্যে লতিফের গ্রুপ বদল নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিশ্বস্ত অনুসারী খোরশেদ আলম সুজনের কথা।
নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৮ সালে খোরশেদ আলম সুজন বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এমএ লতিফ বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে এবার খোরশেদ আলম সুজনের মনোনয়ন পাওয়ার জোর দাবি ছিল অনুসারীদের। এ অবস্থায় লতিফ মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপে যোগ দিলে খোরশেদ আলম সুজনের কি হবে? এমনটাই প্রশ্ন অনুসারী নেতাকর্মীদের।
বন্দর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মতে, নির্বাচনের আগে এমএ লতিফ মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপে যোগ দিয়ে মনোনয়ন গেম খেলেছেন। এদিক থেকে মূল ত্যাগী নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। এমএ লতিফের এ গেম আমরা মেনে নেব না।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, লতিফরা স্বার্থান্বেষী। স্বার্থের জন্য যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। সেদিক থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তবে গ্রুপ বদল করে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন বলে আমি মনে করি না। তবে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এ বিষয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমি কোনো মেরুকরণে নেই। তিনিও মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার। আমিও মেম্বার। আমরা কেন শত্রুতা তৈরি করবো। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সামনে নির্বাচন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে হবে। নৌকা যিনি পাবেন, আমি তার পক্ষে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরে আধিপত্য নিয়ে মেয়রের সঙ্গে এমএ লতিফের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীদের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ বিষয়ে মেয়র নাছির উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
যিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হওয়ার আশায় আছেন। ২০০৮ সালে এ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েও কেন্দ্রের ইচ্ছায় প্রার্থী হন এমএ লতিফ।
আর সেই সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপে। যিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবদ্দশায় ভুলেও পা মাড়াননি প্রয়াত নেতার বাসায়। হঠাৎ গতকাল রোববার বিকেলে সেই এমএ লতিফ যোগ দেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর জেয়াফত অনুষ্ঠানে।
আর পক্ষান্তরে জেয়াফত অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মহিউদ্দিন চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতা খোরশেদ আলম সুজনকে। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও খোরশেদ আলম সুজনের অনুসারী নেতাকর্মীদের মাঝে। নানা কৌতূহলের জন্ম নেয় মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সমপাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে এমএ লতিফের খোশগল্প করতে দেখে।
নেতাকর্মীদের কৌতূহল দেখে এ নিয়ে এমএ লতিফের সঙ্গে কথা বলেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। প্রশ্নের জবাবে এমএ লতিফ বলেন, গ্রুপিংয়ের কারণে এতদিন মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাসায় আসা বন্ধ ছিল, এটা অসত্য নয়। তবে আমি দেখছি মহিউদ্দিন ভাইয়ের দুই ছেলে নওফেল এবং সালেহীন দুজনই উচ্চশিক্ষিত। আচার-ব্যবহার খুব ভালো। তারা কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন না। কাউকে খাটো করে দেখেন না। যাদের জ্ঞানের গভীরতা কম, তারাই মানুষকে খাটো করে দেখে।
গ্রুপ বদলের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বর্তমান মেয়রের সঙ্গে ছিলাম। তিনিও আওয়ামী লীগ করেন। আমি আওয়ামী লীগ করি। তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরির কারণ আমার কাছে পরিষ্কার নয়। হয়তো তিনি ভালো বলতে পারবেন। আর ব্যক্তিগত কারণে কেউ যদি দূরত্ব তৈরি করে সেটার দায়দায়িত্ব তো আমার নয়।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ট্রেডবডি থেকে রাজনীতিতে এনেছেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করার চেয়েও রাজনীতি করতে গেলে অনেক অভিজ্ঞতার দরকার হয়। আমার রাজনীতির বয়স মাত্র নয় বছর। আমার অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। রাজনীতির অভ্যন্তরেও রাজনীতি থাকে। এতদিন সেটা বুঝতাম না।
লতিফ ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তিনি এখন মহিউদ্দিন গ্রুপে। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে নানা মেরুকরণের মধ্যে লতিফের গ্রুপ বদল নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিশ্বস্ত অনুসারী খোরশেদ আলম সুজনের কথা।
নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৮ সালে খোরশেদ আলম সুজন বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এমএ লতিফ বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে এবার খোরশেদ আলম সুজনের মনোনয়ন পাওয়ার জোর দাবি ছিল অনুসারীদের। এ অবস্থায় লতিফ মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপে যোগ দিলে খোরশেদ আলম সুজনের কি হবে? এমনটাই প্রশ্ন অনুসারী নেতাকর্মীদের।
বন্দর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মতে, নির্বাচনের আগে এমএ লতিফ মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপে যোগ দিয়ে মনোনয়ন গেম খেলেছেন। এদিক থেকে মূল ত্যাগী নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। এমএ লতিফের এ গেম আমরা মেনে নেব না।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, লতিফরা স্বার্থান্বেষী। স্বার্থের জন্য যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। সেদিক থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তবে গ্রুপ বদল করে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন বলে আমি মনে করি না। তবে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এ বিষয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমি কোনো মেরুকরণে নেই। তিনিও মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার। আমিও মেম্বার। আমরা কেন শত্রুতা তৈরি করবো। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সামনে নির্বাচন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে হবে। নৌকা যিনি পাবেন, আমি তার পক্ষে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরে আধিপত্য নিয়ে মেয়রের সঙ্গে এমএ লতিফের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীদের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ বিষয়ে মেয়র নাছির উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
No comments