বন্দুক ঠেকিয়ে ভারতীয় তরুণীকে পাকিস্তানি যুবকের বিয়ে
পাকিস্তানে ঘুরতে গিয়ে ভালোই বিপদে পড়েছেন ভারতীয় নাগরিক ডা. উজমা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক পাকিস্তানি যুবক জোর করে তাকে বিয়ে ও ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার পাকিস্তানি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের বয়ান নথিভুক্ত করানোর সময়ে এমনটাই জানিয়েছেন নির্যাতিতা ভারতীয় নারী চিকিৎসক। জানা যায়, দিল্লির বাসিন্দা উজমা দুই বছর আগে কর্মসূত্রে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে পাকিস্তানি যুবক তাহিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তবে উজমার অভিযোগ, তাহির নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে অন্য পরিচয় দিয়ে উজমার সঙ্গে সম্পর্ক করে। তাহির স্কুলের গণ্ডিও পেরোয়নি। মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কাজ করত সে। আগে বিয়েও করেছিল এক বার। চারটি সন্তানের পিতা সে। এরপর গত ১ মে তারিখে উজমা পাকিস্তানে বেড়াতে যান। সেখানে তার পুরনো বন্ধু তাহিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়।
তবে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়ালার বাসিন্দা তাহিরের সঙ্গে উজমার সেই সাক্ষাতের পরিণাম হয় ভয়াবহ। স্থানীয় আদালতে উজমা জানিয়েছেন, ৩ মে তাহির তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে করে। শুধু তা-ই নয়, বিয়ের পরে উজমাকে নাকি ধর্ষণও করে তাহির। এসব ঘটনায় ভীত উজমা দিল্লিতে থাকা তার ভাইয়ের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশনে আশ্রয় নেন। পরে ৮ মে ইসলামাবাদের একটি আদালত সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেয়। সেখানেই নিজের অভিযোগের কথা বিশদে বলেন উজমা। অন্য দিকে তাহির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, বিগত দু’বছর ধরে সে এবং উজমা প্রণয়সম্পর্কে আবদ্ধ এবং তাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য নিয়েই উজমা পাকিস্তানে এসেছিলেন। এদিকে ভারতীয় হাই কমিশন অবশ্য আদালতের সামনে স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছে যে, উজমাকে পাকিস্তানে রাখা হবে না। তাকে দিল্লিতে নিজের আত্মীয়দের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
No comments