শিকাগো ঘটনার পর বাংলাদেশের শ্রমিকশ্রেণীর বর্তমান অবস্থা কী
বাজার অর্থনীতিতে সবকিছুই বাজারে লেনদেনযোগ্য পণ্যে পরিণত হয়। মানুষের উৎপাদিত সমুদয় দ্রব্যসামগ্রী এবং সেবা বাজারিক লেনদেনের পর্যায়ে পৌঁছে গেলে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিকাশও সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য জিনিসগুলোই শুধু বেচাকেনার অঙ্গীভূত হয় না, তার সঙ্গে এসব জিনিস উৎপাদন করতে যে শ্রমশক্তি নিয়োগ করা হয়, সেই শ্রমিকরাও লেনদেনযোগ্য পণ্যে পরিণত হয়। অর্থাৎ পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় কেবল জিনিসপত্রই পণ্য নয়, শ্রমও পণ্যে পরিণত হয়। এ পরিবর্তন হঠাৎ করে হয় না, এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি আর্থসামাজিক প্রক্রিয়ার অংশ। প্রাক-পুঁজিবাদী যুগেও মানুষের ব্যবহারের জন্য নানা দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদিত হতো। এগুলো উৎপাদন করত বিভিন্ন ধরনের কারুশিল্পীরা। এ কারুশিল্পীদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, এরা নিজেরাই উৎপাদন যন্ত্রের মালিক। সমাজ পরিবর্তনের ধারায় এমন একটা সময় এলো, যখন কাজ করা মানুষ তাদের কাজের যন্ত্র ও সম্পদগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করল। সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতা ঘটল কৃষকদের মধ্যে। কৃষকরা যে জমি আবাদ করত, সেখান থেকে কৃষকদের উচ্ছেদ করা হল। কৃষকদের জমি থেকে উচ্ছেদের ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছিল ইংল্যান্ডে। এর পেছনে কাজ করেছিল অর্থনীতি। ইংল্যান্ডের কৃষিজমির মূল মালিক ছিল ভূ-স্বামীরা। কৃষকরা খাজনার বিনিময়ে ভূ-স্বামীদের জমি চাষ করত।
তবে কৃষকদের মালিকানায় ছিল কৃষি যন্ত্রপাতি ও হালচাষের পশু। ইউরোপে একসময় হঠাৎ করে ভেড়ার পশমের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। ভেড়ার পশম দিয়ে শীতবস্ত্র তৈরি হতো। ভূ-স্বামীরা দেখল তাদের জমি কৃষকদের চাষাবাদের ব্যবহারে না দিয়ে সেখানে ভেড়া পালন করাই লাভজনক। ভেড়ার পশম থেকে জমির খাজনার চেয়েও বেশি আয় করা যায়। তাই ভূ-স্বামীরা জোর-জবরদস্তি করে কৃষকদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করতে শুরু করল। জমি চাষের অধিকার হারিয়ে কৃষকরা পরিণত হল সর্বহারায়। তারা বাধ্য হল শহরমুখী হতে। শহরের বস্তিতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকে। ১৭৬০ সালের দিকে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয়। কয়েকটি যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে, যেমন- স্টিম ইঞ্জিন এবং স্পিনিং জিনি ইংল্যান্ডে শিল্পায়নের সূচনা হয়। সব ঘটনা এমন পরম্পরায় ঘটল, যা ইংল্যান্ডের সমাজের জন্য ছিল বিপ্লবতুল্য। যেসব কলকারখানা গড়ে উঠল, সেসব কলকারখানায় সর্বহারা বেকার শ্রমিক- নারী, পুরুষ ও শিশু দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে খুবই সামান্য মজুরি পেত। শ্রমিকদের এভাবে শোষণ করে শিল্পকারখানার মালিকরা পুঁজির পাহাড় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এই ছিল ইংল্যান্ডের পুঁজিবাদী অর্থনীতি বিকাশের ইতিহাস। ইংল্যান্ডের পুঁজিবাদ মূলত গড়ে উঠেছিল কৃষকদের জমি থেকে উচ্ছেদ করে। পুঁজিবাদী বিকাশের এটি একটি উদাহরণ। দুনিয়ার সব দেশে পুঁজিবাদ একইরকম পথে গড়ে ওঠেনি। পুঁজিবাদী বিকাশের আরেকটি পথ ছিল বাজার প্রতিযোগিতায় সফল কৃষকদের কাছে প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ কৃষকদের পরাজয়। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে Differentiation। এ পথেও অনেক দেশে বৃহদাকার পুঁজিবাদী কৃষি ফার্মের উদ্ভব ঘটেছে। এ প্রক্রিয়াকে বলা যায় বড় মাছ কর্তৃক ছোট মাছ গিলে ফেলা। অর্থাৎ একদল কৃষক জমি হারাতে থাকল এবং মুষ্টিমেয়সংখ্যক জমির একচ্ছত্র মালিক হয়ে ভূমিহারা কৃষকদের দিনমজুর হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করল। এভাবে কৃষকের এক সময়ের শ্রম পরিণত হল পণ্যে। এ বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, পণ্যায়নই হল পুঁজিবাদের অবধারিত পরিণতি। পুঁজিবাদী পণ্যের বাজারে বিরাট একটা অংশ দখল করে আছে শ্রমিকের শ্রম।
এসব পরিবর্তন সত্ত্বেও অনেক তাত্ত্বিক মনে করেন, পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি অর্থাৎ শ্রমশক্তি এখনও বিশ্বের কোনো দেশে পুঁজিবাদী Factory System-এ উৎপাদিত হয় না। একদিন শ্রমের বাজারে যে মানুষটি প্রবেশ করবে, মাতৃগর্ভে তার যাত্রা শুরু হয় ভ্রূণ আকারে। পারিবারিক পরিবেশে তার লালন-পালন ও পরিচর্যা ঘটে। কোনো পুঁজিবাদী তার জন্ম ও বেড়ে ওঠার দায়িত্ব গ্রহণ করে না। অথচ সেই একদিন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করবে। এ বিচারে বর্তমান বৈশ্বিক পুঁজিবাদ এখন পর্যন্ত সর্বাত্মক পণ্যায়নের স্তরে প্রবেশ করতে পারেনি। এ জন্যই কোনো কোনো পণ্ডিত প্রশ্ন তুলে বলেছেন, বিদ্যমান পুঁজিবাদ সর্বাত্মক পুঁজিবাদ হতে পারেনি। তবে এ কথা সত্য, আধুনিক পুঁজিবাদের সুবিধার্থে সন্তান লালন-পালনের কিছু কিছু দায়িত্ব বাজার ব্যবস্থার মধ্যে চলে গেছে। যেমন- শ্রমজীবী মায়েদের সন্তানদের দিনের একটা সময়ের জন্য Daycare center-এ অবস্থান। আধুনিক শিল্পপুঁজির সূতিকাগার ইংল্যান্ডে যখন শ্রমিকশ্রেণীর উদ্ভব ঘটে, তখন শ্রমিকদের নিয়োগের শর্ত, কর্মঘণ্টা, ছুটি-ছাঁটা এবং কর্মপরিবেশের কোনো বালাই ছিল না। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কারখানা মালিকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে শ্রমিকদের পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে হতো। কারণ তখন শ্রমিকের চাহিদা ও জোগানে বিরাট ফারাক ছিল। কারখানার মালিক কারখানার জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখতে বলত শ্রমিকদের। বলত, ওই যে দেখ কারখানার বাইরে হাজার হাজার মানুষ কাজ পাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। তোমরা যদি আমার কথা না শোনো, তাহলে তোমাদের বিদায় করে দিয়ে কাজের জন্য অপেক্ষারত মানুষদের নিয়োগ দেয়া হবে। এরকম ভয় দেখিয়েই খুব কম মজুরিতে মালিকরা শ্রমিকদের দীর্ঘক্ষণ ধরে খাটাতে পারত। কিন্তু মালিকদের মুনাফা যতই বিনিয়োগ হতে শুরু করল, ততই কলকারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকল। শ্রমিকদের দরকষাকষির ক্ষমতাও বাড়তে থাকল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপজুড়ে শ্রমিক আন্দোলনের প্রবল ঢেউ উঠল। ১৮৭১ সালে প্যারি কমিউনের ঘটনা ঘটল। বেশ কিছুদিনের জন্য প্যারিসের শ্রমিকরা এক ধরনের শ্রমিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি টিকে থাকেনি। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগোয় শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা শ্রমদিবসের জন্য আন্দোলনে নামল। কয়েকজন শ্রমিক পুলিশের হাতে নিহত হল। সেই থেকে ১ মে বিশ্ব শ্রমদিবস পালনের রেওয়াজ চালু হল। শ্রমিকরা জানিয়ে দিল দিবস, রজনীর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টা হবে কাজ,
৮ ঘণ্টা হবে বিশ্রাম এবং ৮ ঘণ্টা ব্যবহৃত হবে শ্রমিক সংগঠনের কাজে। সেই থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের কাজের শর্ত, মজুরির শর্ত, দরকষাকষির অধিকারের শর্ত চালু হতে শুরু করল। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক শ্রমের বাজারের উদ্ভব ঘটল। এটা মে মাস। ক’দিন আগে ১ মে বাংলাদেশেও মে দিবস পালিত হয়েছে। তবে পাকিস্তান আমলেও দিবসটি যতটা জঙ্গিরূপে পালিত হতো, এখন শ্রমিক আন্দোলনে সেই জঙ্গিরূপটি আর নেই। শ্রমিক সংগঠনের বিশাল সংগঠিত রূপটিও আর দেখা যায় না। পাকিস্তান আমলে রেল শ্রমিকদের, পাটকল শ্রমিকদের, সুতাকল ও চিনিকল শ্রমিকদের আন্দোলন বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি বিরাট শক্তির উৎস ছিল। এখন অবশ্য জঙ্গি শব্দটিও একটি ঝঃরমসধ-য় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক রয়েছে। তাদের যদি কোনো সংগঠিত শক্তি থাকত, তাহলে সারা দেশ প্রকম্পিত হয়ে উঠতে পারত। রেল খাতের সেবা ও মানুষের যাতায়াত চাহিদা পূরণের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পাওয়ার ফলে এখন আর রেলশ্রমিকদের আন্দোলনেও কোনো তাপ অনুভূত হয় না। এমনকি রেলশ্রমিক আন্দোলনের কথাও শোনা যায় না। বাসশ্রমিকরা এখন মালিকদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তারা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। সরকারের মন্ত্রী নেতা হওয়ার ফলে এরা এখন সরকারের ভেতরে এক ধরনের সরকারে পরিণত হয়েছে। তাদেরও কোনোরকম নিয়মকানুন ও শর্তের বন্ধনে আবদ্ধ করা যাচ্ছে না। বরং কিছু নিয়মকানুন বহাল করতে চাইলে তারা গণবিরোধী অবস্থানে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে লিখিত ও মৌখিক চুক্তি এবং অন্যান্যভাবে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ২ কোটি ৩৪ লাখের বেশি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ লাখই মৌখিক সম্মতিতে কাজ করছেন।
মৌখিক সম্মতিতে কর্মে নিয়োজিতদের মধ্যে আবার ১ কোটি ১০ লাখের বেশি পুরুষ। এ ছাড়া ৩১ লাখ নারীশ্রমিকও লিখিত চুক্তি ছাড়াই মৌখিক সম্মতিতে কাজ করছেন। অর্থাৎ দেশে প্রায় ৬০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছেন মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে। সীমিত চুক্তিতে দৈনিক মজুরি ও মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন ৬৯ শতাংশের বেশি শ্রমিক। আশ্চর্যের বিষয় হল, যারা যত বেশি শিক্ষিত, শ্রমবাজারে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তত কম। বাংলাদেশে শ্রমিকদের গড় মজুরিও এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় কম। এ তথ্য পাওয়া গেছে দৈনিক বণিক বার্তা সূত্রে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? বাংলাদেশে বেশ ক’বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়া সত্ত্বেও কী করে শ্রমবাজারের অনানুষ্ঠানিক বৈশিষ্ট্য বজায় থাকতে পারছে? এর জন্য আমাদের প্রবৃদ্ধির চরিত্রের ওপর আলোকপাত করতে হবে। বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৫০ শতাংশেরও অধিক আসে সেবাখাত থেকে। কৃষিখাত থেকে আসে ১৮-১৯ শতাংশের মতো। কৃষি ও সেবাখাতে উৎপাদন-সংগঠন ঐতিহাসিকভাবে অনানুষ্ঠানিক চরিত্রের। এ জন্য শ্রমবাজারেও নিয়োগ চলছে প্রধানত মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে। গ্রাম-বাংলায় লাখ লাখ ক্ষুদ্র কৃষিজাতে যখন শ্রমিক খাটানো হয়, তখন কোনো নিয়োগপত্র দিতে হয় না। কৃষিতে শ্রমিক নিয়োগ হয় সংক্ষিপ্ত মৌসুমি ভিত্তিতে। এর জন্য আনুষ্ঠানিকতার বালাই থাকে না। বাংলাদেশের কৃষিপণ্য ধীরে ধীরে বাজারমুখী হয়ে উঠলেও বিশ্বের উন্নত দেশের মতো এখানে বৃহদায়তন খামার তৈরি হয়নি। সেটি জবরদস্তিমূলক উচ্ছেদের পথেই হোক কিংবা পার্থক্যায়নের পথেই হোক। ক্ষুদে উৎপাদন ব্যবস্থায় আনুষ্ঠানিকতার বালাই থাকে না। এটা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। এ ছাড়া কৃষিতে পারিবারিক শ্রমের গুরুত্ব থাকায় পরিবারবহির্ভূত শ্রমের নিয়োগ চলছে প্রথার ভিত্তিতে, আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে নয়।
একই কথা বলা যায় সেবাখাতের ব্যাপারেও। বাংলাদেশের সেবাখাতের সামান্য অংশই উন্নত ও আনুষ্ঠানিক। বাদবাকি বৃহদাংশ মাত্রার দিক থেকে ক্ষুদ্র, প্রযুক্তির দিক থেকে অনুন্নত এবং দেশব্যাপী বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা। এর ফলে এ খাতেও আনুষ্ঠানিকতার চাপ অনুভূত হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় চাপটি আসতে পারত যদি আধুনিক শিল্পখাত এবং আধুনিক সেবাখাত এমনভাবে বিকশিত হয়ে উঠত, যার ফলে বাংলাদেশে শ্রমের বাজারে শ্রমের জোগান চাহিদার তুলনায় কমে যেত। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গুণগত মান এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়নি যে, শ্রমউদ্বৃত্তের দেশ শ্রমঘাটতির দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই যে শ্রমবাজার বহুলাংশে আনুষ্ঠানিক চুক্তিভিত্তিক হয়ে গেছে, তার পেছনে কাজ করেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুণগত মান। তাছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল অর্থনৈতিক উত্তরণেরই অংশ। বাংলাদেশ সেই উত্তরণ-বিন্দু থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম লোকের অনুপাত বেশি। তদসত্ত্বেও বিনিয়োগস্বল্পতা ও প্রয়োজনীয় শ্রমদক্ষতার অভাবে এ জনমিতিক লভ্যাংশ বা উবসড়মৎধঢ়যরপ ফরারফবহফ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তদুপরি রয়েছে রূপান্তর প্রক্রিয়ার অভ্যন্তরীণ নানা জটিলতা ও বিভিন্ন অনুঘটকের মধ্যে নানা অসঙ্গতি।
ড. মাহবুব উল্লাহ : অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ
ড. মাহবুব উল্লাহ : অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ
No comments