খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি ১৫ মে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। শুনানিতে অংশ নিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। প্রথমে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আইনজীবীরা বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। এত অসুস্থতা নিয়ে তিনি আগে আদালতে আসেননি। অপরি দকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত বিরতিতে যান। বিরতি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় আবেদনটি পুনরায় বিবেচনার আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই তিনি (খালেদা জিয়া) হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন। চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে তার। এর পরও শুধু আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই তিনি আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এ মামলার অন্যতম আসামি তারেক রহমান হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিকালে তিনি আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান। ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেন। ৮ মার্চ এ মামলায় আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। হাইকোর্টের আদেশে বর্তমানে সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে। এদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুর রেজ্জাক খান, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরীসহ দলের নেতারাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
No comments