আটকের একদিন পর সেই চেয়ারম্যান মুক্ত
ত্রাণের পাঁচ টন চাল আত্মসাতের ঘটনায় হাতেনাতে গ্রেফতার সেই চেয়ারম্যান আটকের একদিন পরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বরাদ্দ পাঁচ টন চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে তাকে আটক করা হয়। তিনি উপজেলার ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হরনাথ দাস।
জানা যায়, মামলার ধারাগুলো দুদকের সিডিউলভুক্ত হওয়ায় মামলাটি দুর্নীতিদমন কমিশন ময়মনসিংহ অঞ্চল তদন্ত করবে উল্লেখ করে পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার তাকে কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করে। এ সময় জামিন আবেদন শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক চেয়ারম্যান হরনাথ দাসকে জামিনে মুক্তি দেন। এদিকে যখন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে, খাবারের সন্ধানে হাওর ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দলে-দলে কৃষক কাজের সন্ধানে শহরের উদ্দেশ্যে ছুটছে তখন গ্রেফতারের পরের দিনই ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যান হরনাথ দাসের জামিনে বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন,
ত্রাণের বিপুল পরিমাণ চালসহ একজন সরকারি কর্মকর্তার মামলায় হাতেনাতে গ্রেফতারের পরেরদিনই জামিনে মুক্তি পাওয়ার ঘটনাটি এ ধরনের অপরাধকে আরও উৎসাহিত করবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান খান যুগান্তরকে জানান, সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে উত্তলিত পাঁচ টন ত্রাণের চাল গত ১ মে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বিতরণের কথা ছিল। এ চাল বিতরণ না করে ওই চেয়ারম্যান কালোবাজারে বিক্রি করে আত্মসাৎ করছেন।
No comments