ঘিওরে ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়পয়লা খালের উপর ব্রিজের গোড়ায় মাটি না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ঘিওরের পয়লা, সিংজুরী ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার মানুষ। এ সড়ক দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় সাত-আট হাজার লোক যাতায়াত করে। জানা যায়, পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপি অর্থায়নে কিছু বরাদ্দ দিয়ে ব্রিজের তিনটি পায়া তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের অর্থায়নে আবারো কিছু বরাদ্দ দিয়ে বাকি তিনটি পায়া তৈরি করা হয়। শেষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের (এলজিএসপি-২) এর অর্থায়নে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রিজের রেলিংসহ পাটাতনের কাজ করে ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজের দু’পাশের মাটির কাজ বাকি থাকায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। সঙ্গে এ সড়কের প্রায় এক কি.মি. রাস্তা খানাখন্দে বিভিন্ন স্থান গর্ত হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিনেও মেরামত না করায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত পয়লা ইউনিয়নের বাংঙ্গলা, সাইলকাই, নলকোড়িয়া, তেরশ্রী, শ্রীধরনগর, ছোটপয়লা, বড়ড়িয়া, ধামশ্বর ইউনিয়ন কাকড়াদিয়া, তুলন্ড,
নন্দিরবাধা, সিংজুরি ইউনিয়নসহ প্রায় ১০টি গ্রামের ৭-৮ হাজার জনগণকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পয়লা ইউপি চেয়ারম্যান মো: হারুন-অর-রশিদ জানান, ব্রিজের গোড়ার মাটি এবং রাস্তাটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা আমি দেখেছি। কিন্তু পরিষদে বড় কোনো বাজেট না থাকায় কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে শুরু করে কয়েক ধাপে পরিষদের এডিপি ও এলজিএসপি-২ এর অর্থায়নে ব্রিজটির এ পর্যন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বাজেটে ব্রিজটির সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: সাজ্জাকুর রহমান জানান, ব্রিজের গোড়ার মাটি এবং রাস্তাটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিদর্শন করেছি। প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। ব্রিজের গোড়ার মাটির ব্যবস্থা অতিদ্রুত করা হবে।
No comments