‘স্বৈরাচার–ব্যবস্থা এখনও অটল’ -আনু মুহাম্মদ
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘স্বৈরাচারকে সাথে নিয়েই ঘটা করে স্বৈরাচারদের গুলিতে নিহতদের স্মরণ করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর (গতকাল সোমবার) দুই শহীদকে স্মরণ করা হয়েছে। কিন্তু যে স্বৈরাচারের গুলিতে নূর হোসেন জীবন দিয়েছেন, যেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পতনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ ষাটের দশকে, আশির দশকে আন্দোলন করেছে। সেই স্বৈরাচার–ব্যবস্থা এখনো অটল আছে।’ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হলরুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাষাসংগ্রামী আবদুল মতিন স্মরণসভা কমিটি আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও একটা আন্তর্জাতিক কিংবা উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মিত হয়নি এ দেশে। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিরা অসুস্থ হলে বিদেশে চলে যান। এ দেশের সাধারণ মানুষের কোনো নাগরিক সুবিধা নেই। অথচ কিউবার মতো অনেক কম সম্পদের ছোট রাষ্ট্রে সব নাগরিকের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকৌশলীদের সম্পর্কে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে থাকা খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য এখনো দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি হয়নি। বঙ্গোপসাগরে যে গ্যাস সম্পদ রয়েছে, তা দিয়ে শত বছরের জ্বালানি সমস্যা মিটে যেত। কিন্তু সেই সম্পদ উত্তোলনে আমাদের দক্ষ প্রকৌশলী নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাষাসংগ্রামী আবদুল মতিন স্মরণসভা কমিটির আহ্বায়ক মতিলাল বণিকের সভাপতিত্বে ও অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কমিটির সদস্যসচিব নাসির মিয়া। সভায় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক কাজী মাসুদ আহমেদ, সিপিবির নেতা ঈসা খাঁন, জেলা জাসদের সভাপতি আকতার হোসেন সাঈদ, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার আহ্বায়ক সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল ও ঐক্য-ন্যাপ সভাপতি প্রবীর কুমার দেব। সভায় একুশের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেন, হাবিবুর রহমান পারভেজ ও বাছির দুলাল।
No comments